সীমান্ত – সৌরভ দাস
সীমান্তের দিকে..
ওটা কি ? ওটা ? ওটা কামান , সোনা । কামান ! ওটা এখানে কেন মা ? স্মৃতি বোলতে পারো । কিসের স্মৃতি মা ? যুদ্ধের । ওও । যে যুদ্ধে বাবা মরে গেছে ?
কিছুতেই বোঝাতে পারছি না আমি কী ভীষণ যন্ত্রণায় আছি: লেখার খাতাও দেখি কলম ছোঁয়ালে লাল হয়ে যাচ্ছে এক লহমায় পাথর চিবিয়ে যে পেট ভরে না সে কথা বলি কাকে, এখন সবাই পাথর চিবিয়ে দিন কাটাচ্ছে আমার মত শুধু মনে হয়ে যে যার বাড়ির রাস্তা ভুলে একদিন এক খোলা মাঠে জড় হবে আর স্লোগানে না- কবিতায়…
তোমার ফেরারি মন হয়তো বা কখনও এক বিন্দু শিশিরের মত মুহূর্তের বশ্যতায় স্হির হয়ে লেগে থাকে সম্পর্কের গায়ে৷ আমি মুহূর্তকে শাশ্বত বলে ভ্রম করি৷ গোধূলির গায়ে লিখে রাখি সমর্পণ৷ স্বপ্ন-সম্ভবা হয়ে সম্পর্কের ভেতর নদী হয়ে বয়ে চলি৷ যাপনের ঘ্রাণ নিয়ে অনুভূতিরা শুয়ে থাকে আমার নিমজ্জিত সত্তার ভ্রূণে৷ সময়ের সম্মোহন ছিঁড়ে গেলে তুমি আবার পলাতক৷ তবু…
ভালোবাসা নেই, যে কারণে নেই, খুঁজে পাও যদি তুমি, থাকবে চোখটি বুজে? মধুসূদনের, আর্তি মনে কি পড়ে? বাঙালির মন যে ভাষার ঠোঁটে নড়ে তাকে অবহেলা— রক্ত ঝরছে দেখো— বাংলার মুখ! তুমি তো ভাবছ— তো! অবক্ষয়িতের, ভেসে যাওয়া সেই গতি— পরিচয়হীন, আত্মহত্যা, রতি আর কী বলব— কী আর বলার আছে, মায়ের ভাষার গভীরে আলোটি আছে… সেই…
মুখ ফিরিয়ে নিও না– একবার মুখ ফিরিয়েছিলাম আমি–আর দেশ হারিয়েছি– আর ভাষা হারিয়েছি যা হারিয়েছি তাদের নামও হারিয়েছি, আকার হারিয়েছি রয়ে গেছে কেবল কাগুজে মানচিত্রের উপর ফাঁকা কিছু স্থান– নিঃশব্দ, শুনশান; এখন রুখু হাওয়ায় কেবল ধুলো ওড়ে সেখানে রয়ে গেছে অর্থহীন কয়েকটা শব্দ; গোঙানির মত, সেই ভৌতিকতা–শিহরণ আনে মুখ ফিরিয়েছিলাম, তাই অপেক্ষায় আছি একদিন কেউ…
একদিন সারাদিন ছোটো ছোটো বদ্রী পাখির মতো দিনগুলি ভাবি দিনভর ওরা কোঠাঘরে কিচমিচ করে ঠান্ডা লাগে, জ্বর আসে যেমনভাবে জ্বরে কাবু সারা শহর দানাপানির জন্য ভিক্ষাপাত্র নিয়ে ঘুরি বাগড়াইচণ্ডীতলায় বিশাল হাট সেখানে ফ্রীঞ্চ, ককাটেল, জাভা, লাভ বার্ডের আসর তবুও ভিক্ষা মেলে না মাথার ভেতর বুড়ো কাছিমের মতো হাঁটে একেকটা দিন সমুদ্র ফেনায় শুশ্রূষা কেটে যায়–…