কৃষ্ণচন্দ্র দে, সঙ্গীত মহীরুহ – সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় (১ম অংশ)
|

কৃষ্ণচন্দ্র দে, সঙ্গীত মহীরুহ – সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় (১ম অংশ)

রেকর্ডে, অভিনয় মঞ্চে, ঘরোয়া মেজাজে বা বৈঠকি আসরে বাংলা গানের নবযুগের সূচনা যাঁরা করেছিলেন তাঁদের মধ্যে মহীরুহ ছিলেন শ্রীকৃষ্ণচন্দ্র দে (১৮৯৩ – ১৯৬২) মহাশয়; যিনি ‘কে.সি. দে’ নামে সারা দেশে পরিচিত ছিলেন। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে জন্মাষ্টমীর দিন কলকাতার মদন ঘোষ লেনের বাড়িতে তাঁর জন্ম। বাবা শিবচন্দ্র দে-র ছোটো ছেলে ছিলেন তিনি। যেহেতু কৃষ্ণের জন্মদিনে ছেলের জন্ম, তাই…

আমার এ লেখা – মন্দাক্রান্তা সেন
|

আমার এ লেখা – মন্দাক্রান্তা সেন

সীমান্ত সেজে ওঠে অস্ত্রে ও শস্ত্রেযখন পড়েছে টান খাদ্যে ও বস্ত্রেসেসব সমস্যা কি? আমি-মানি-জানিনাশ্রমিক কৃষক মরে? অতসব মানি না আমি এক ভারতীয়, চাই শুধু যুদ্ধবাকি সব ভুলে গেছি আগামুড়োসুদ্ধদু’টো বোম ফেলে এলে ওপাশের দেশটায়দু’মুঠো জুটবে কিছু? খিদেতে ও তেষ্টায়? গোলি মারো প্রশ্নতে গোল্লায় যাও রেদুশমন মেরে ফুসমন্তর গাও রেএদেশের কোণে কোণে সীমাহীন দৈন্যসীমান্তে মরে যায়…

রংমিলন্তি – সুতপা চ্যাটার্জি
|

রংমিলন্তি – সুতপা চ্যাটার্জি

রাতের কলকাতা চিরমায়াবিনী। দিব্যি কেমন ন্যাকা সেজে গা এলিয়ে পড়েছিল একপাশে— যেন তাড়া নেই। জমাট অন্ধকার চিরে গাড়িগুলি উত্তর থেকে দক্ষিণে চলে গেল হেঁকে হেঁকে… একবার ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল না অব্দি! হঠাৎ কী মনে হতে ধীর পায়ে হেঁটে হেঁটে  চলে এল এদিকে! কত অস্বাভাবিক সহজ সে চলা। কোত্থেকে কি গন্ধ- টন্ধ মেখে এসেছে,  ডুবিয়ে মারবে…

অবেলার ঢেউ – রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়
|

অবেলার ঢেউ – রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়

ছোট থেকেই তিতলির নিজেকে নিয়ে বড় কৌতূহল। আর পাঁচটা মেয়ের থেকে সে বড় আলাদা ৷ অনুশূয়া সেদিন স্কুলে বলছিল,‌ “জানিস, কাল বাড়ি গিয়ে দেখি স্কার্টে রক্ত লেগে, মা বলল, বড় হলে মেয়েদের এমন হয় প্রতি মাসে।” মাকে এসে তিতলি প্রশ্ন করে, “এটা কি জ্বরের মতো কোনো শরীর খারাপ? আমারও হবে বুঝি?” মার চোখটা ছলছল করে…

আদিম বুদবুদ – মোজাফ্‌ফর হোসেন
|

আদিম বুদবুদ – মোজাফ্‌ফর হোসেন

আলতো করে কড়া নাড়ার শব্দ–কেউ একজন টোকা দেবে কি দেবে না মনের এই দোটানা থেকে ছুঁয়ে গেছে। পশ্চিমের দেয়ালে সেঁটে থাকা ঘড়িতে তখন তখন রাত ১২.৪২ মিনিট। কিছুক্ষণ আগে যখন মেয়েটি ‘গুট নাইট’ জানিয়ে গেল তখনও ঘড়ির কাটাগুলো এখানেই ছিল। আবার কি বলতে চায় মেয়েটি? ‘গুডনাইট জানাতে ভুলে গেছি। গুডনাইট বাবা।’ দরজা খুলতেই ঘরের ভেতর…

ইতি তোমার নদী – অনিন্দিতা মিত্র
|

ইতি তোমার নদী – অনিন্দিতা মিত্র

একটানা প্রবল বর্ষণে ঘুমহীন শঙ্কিত রাত কাটাও নদীতীরে, বুকে তোমার কাঁপন জাগায় নদী, খোঁজ নাও বারেবারে- ‘কতটা জল বাড়লো?’ পূর্বদক্ষতায় কষে নাও হিসেব- আর ঠিক কতটা জল বাড়লে ছাড়াবে বিপদসীমা, ঠিক কোন মূহুর্তে পালাবে বসতি ছেড়ে, খুঁজে নেবে আবার কোন সাময়িক আশ্রয় বারংবার বিলাপে। এতই যখন ডুবতে ভয় তোমার তবে প্লাবিত হবে জেনেও কেন নদীপাড়েই…

মধুচন্দ্রিমার বিছানা – সাইফুল ভূঁইয়া
|

মধুচন্দ্রিমার বিছানা – সাইফুল ভূঁইয়া

মধুচন্দ্রিমার বিছানায় ঝরছে বৃষ্টি ঘুমন্ত মুখে উড়ছে তোমার চুল ঝরনার জল শরীর বেয়ে নামছে সুতাং নদী ঘা-ক্ষত গায়ে নিয়ে ভাবছি- আমি কোন্ মাছ মেঘালয় থেকে এসেছি শ্যাওলার ঘ্রাণে ভাটির দেশে আমি যাবো ফিরে।   মধুচন্দ্রিমার বিছানায় একটা টিয়া পাখি ঠোঁটে এক মৃত চিঠি অশ্রুতে ধুয়ে গ্যাছে সব নীল অক্ষর জানালায় কাঁদছে লাল-ফ্রক একটা অন্যের-চাঁদ আমি…

প্রেম ও দ্রোহ – পিনাকী
|

প্রেম ও দ্রোহ – পিনাকী

এখনো তো কত শোক রয়ে গেছে বাকি রক্তের ঋণ বেড়ে গেছে ক্রমাগত কত বঞ্চনা, টাটকা গভীর ক্ষত তা’বলে গোলাপ আজকে ফুটবেনা কি? কত শত লোক এমনিই মরে গেছে কত বিদ্রোহ প্রভাব রাখেনি কোনো তবুও তো চাকা থমকে যায়নি, শোনো মানুষ এখনো হাতে হাত রেখে বাঁচে। যারা বলে গেছে ভালোবাসো ভালোবাসা স্পর্শ করেনি তাদেরকে কারো ঘৃণা…

প্রেম – সুতপা
|

প্রেম – সুতপা

শব্দ। প্রতিশব্দ। সাতচললিশ, একাত্তর, বিরানব্বই, বিশ উনিশ… তলিয়ে যাওয়া স্মৃতি রাত জাগে অতীতের গহন ফুঁড়ে। জন্মভূমি জরাসন্ধ হয় বিনা দোষে। তবু জেন… এ আমার দেশ। আমার জন্মভূমি। আমার ভাষা। আমার প্রেম। সবুজ ঘাস আর লাল প্রান্তরের ডাকে তোমার কপালে মুছে দেব সীমানার বলিরেখা।

পেটুক প্রেমিকা  – বিদিশা মন্ডল
|

পেটুক প্রেমিকা – বিদিশা মন্ডল

কুনাল রেস্টুরেন্টে ঢুকেই দেখল শ্রেয়া মোটি মোমো ঠুসছে। ওকে দেখেই রে রে করে তেড়ে এলো কুনাল-” এই ঢেপসি, তুই আবার খাচ্ছিস ,আচ্ছা খাওয়া ছাড়া কি তোর আর কিছু মাথায় আসে না।” শ্রেয়া বিন্দুমাত্র ওরদিকে না তাকিয়েই বলল-” আমি খাচ্ছি তো তোর বাপের থুড়ি তোর কি? জানিস না আমি খাদ্যরসিক।” চাপা স্বরে কুনাল বলল-” ওটাকে খাদ্যরসিক…