নবীর আগমনবার্তা – কাজী জহিরুল ইসলাম
|

নবীর আগমনবার্তা – কাজী জহিরুল ইসলাম

দূরত্বের চিৎকার শুনেছিলো ক্রাচের কিশোর তখনি অন্ধকারের সাহস দুপায়ে বেঁধে নেয় সূর্য লাল হয় চন্দ্র গোল হয় বালুর নিচ থেকে উঠে আসে উটপাখিদের ডিম, ডানা ঝাপটায় নিস্ফলা পৃথিবীতে আলো-প্রান্তরের রেখার ওপর দাঁড়িয়ে শেখায় মরুদৌড় হতাশ উটপাখিদের। গাধার কাফেলাকে বলে, মশক খুলে চুমুক দাও মনিবের রক্তে, কেননা এই অরণ্য শুধু স্টালিওনের নয়। সন্ধ্যাকে থামিয়ে দেয় সমুদ্রের…

নির্জন স্বজনে… – পিয়াল রায়
|

নির্জন স্বজনে… – পিয়াল রায়

” বারে-বারে একটি সুর এসে যেন বাজে হৃদয়ের মধ্যে নিঃশব্দচরণে নেমে আসে ছিন্নবিচ্ছিন্ন বিস্মৃত দিনের কাহিনী “ কখনো কখনো এমন দিন আসে, চতুর্দিকে যেন ফুটে ওঠে বিষাদের ছায়া। প্রভাতের ফুল ম্লানমুখে পড়ে থাকে কঠোর মৃত্তিকার কোলে।সুখের সমস্ত সুর নস্যাৎ করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে বেয়াদপ পাগলামী।ঘুরে ঘুরে নাচতে থাকে কোনো সর্বনাশের ইঙ্গিত নিয়ে। কবরের ঠান্ডা হাওয়ায়…

কাদম্বরী – আর্যতীর্থ
|

কাদম্বরী – আর্যতীর্থ

সব আগুনের একটা চকমকি লাগে। সে তুষের ধিকিধিকিই হোক, বা দাবানলের দাউ দাউ। কে জ্বলে ছাই হবে, আর কে হবে চিরদীপ্যমান, সেই দহনের বিস্তারের বহু আগে, অন্ধকারে লুকিয়ে থাকে চকমকিদের গল্প। ইতিহাস সাক্ষী, চিরভাস্বর রবিরও একজন কাদম্বরীর প্রয়োজন হয়েছিলো। সব সোনার একটা কষ্টিপাথর লাগে। যাতে ঘষে দেখতে হয়, আর কত পুড়ে গেলে নিখাদ সোনা পাওয়া…

চন্দনের ঝিল্লিময়তা – ঐন্দ্রিলা মহিন্তা
|

চন্দনের ঝিল্লিময়তা – ঐন্দ্রিলা মহিন্তা

( প্রবাসের যাঁতিখেলায় একমাত্র অন্তমিলে যে ত্রিমুণ্ড ফাগ-আলপনা রচিত হয় , তারই কৃপাণের একফালি তারজালিতে আদিত্যর তপস্যা ধীর পায়ে প্রণাম করে ) নবীন কেতকী বেছানো হাসি , ভাঁজ করা এসরাজের আঙিনায় বিছিয়ে রেখেই — মেঘ থেকে একমুঠো শৈশব হাতড়ায় । রচিত হয় গ্রীস্মের কলতানে কদমের ভস্ম । ঘোমটাজড়ানো জাহাজ-ডেকে অস্তমিত ভানু জানান দেয় : পশ্চিমপারের…

দ্যা লেডি উইথ এ হিডেন ল্যাম্প – ব্রতশুদ্ধ
|

দ্যা লেডি উইথ এ হিডেন ল্যাম্প – ব্রতশুদ্ধ

বুলেটবিদ্ধ নিঃসঙ্গ জীবন… ছবি হয়ে বেঁচে থাকা সুইসাইডাল উপাখ্যান । একটা এপ্রিল ২১ আরো আসবে দাবানল হয়ে , আরো শাড়ীর আঁচল জ্বলে উঠবে করোনার শ্বাসরুদ্ধ কোর্টের মিথে । কাদম্বরী নামে কোন ফুল নেই । আফিম বাগান খুঁড়েও পাওয়া যায়নি কোন নিঃসঙ্গ স্পেসিমেন । বুনিয়াদ ভিটার ভিড়ে আজো কাদম্বরী কাঁদে। শত বছর ডিঙিয়ে সে রোদ হয়ে…

স্থাবর ও জঙ্গম – সারা বসু
|

স্থাবর ও জঙ্গম – সারা বসু

শুধু পিছলে যাওয়াটাই স্থির। শব্দ তুমি শব্দ তুমি চক্রবৎ। নোঙরমাত্রই যোজনা। বিপদে মোরে রক্ষা করো এ প্রার্থনা ছিলওনা দুর্বলের। কারণ বিপদের ঘাস জন্মায় না হাতের তালুতে। হাতে জব্দ, বাকিরা ভবিতব্য। দীপ্তিমান লুব্ধক দেখে পথ চলে। আমাকে তুমি নিয়ে চলো সখা,আমি পিচ্ছিল চিনিনা।

আয়না – শৈলেন রায়
|

আয়না – শৈলেন রায়

দেউতিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রুমের আয়না। আশ্চর্য, আয়নাটা এখনও আছে! আধ মানুষ সমান সেই আয়নাটা। আমরা বলতাম হেড স্যারের আয়না। হেড স্যারের ঠিক পিছনে একটু উঁচু করে টাঙানো ছিল দেওয়ালে। চার ধার সেগুন কাঠে  বাঁধানো, ম্যাড়মেড়ে পালিশ। ওখানে আয়না কেন, কোথা থেকে এল জানি না। জানার ইচ্ছেও হয়নি কোনও দিন। স্যরের ঘরের চেয়ার-টেবিল-আলমারির মতো আয়নাটাও…

বসন্ত – তৈমুর খান
|

বসন্ত – তৈমুর খান

বসন্ত দেখতে এলাম। তোদের আবার বসন্ত! চারপাশে হাড়ের স্তূপ। ঝাঁক ঝাঁক কাক উড়ছে। চিৎকার করছে ভিখিরিরা। কারও পরনে কাপড় নেই। হৃদয়ে হৃদয় পুড়ে ছাই হাতে হাতে সভ্যতার থালা … এসে আর ফিরে যাবার রাস্তা নেই দুর্ভিক্ষে টেনে ধরছে হাত পা— রাস্তার ধারে স্বপ্নদের বাড়ি একবার সেখান থেকে আগুন চেয়ে আনি চলো কেমন আছে ওরা দেখি…

দেবমহিমা – দেবাশিস মুখার্জী
|

দেবমহিমা – দেবাশিস মুখার্জী

বিকেল গড়িয়ে সন্ধে হতে চললো, গাছের ছায়াগুলো কেমন লম্বা লম্বা হয়ে মন্দিরের গায়ে দুলছে…আকাশে মেঘ জমছে, দূরে হয়তো কোথাও বৃষ্টিও নেমেছে…হাওয়ায় কেমন একটা ঠান্ডা ঠান্ডা ভিজে ভাব। দিনের এই সময়টা এই বুড়ো শিবের মন্দির খালিই থাকে, গ্রামের এক প্রান্তে এই মন্দির, পাশের রাস্তা সোজা গেছে নদীর ঘাটে, ঘাটে নৌকো ভিড়লে কিছু লোক চলাচল করে এই…

পথিক বলছি – ব্রতশুদ্ধ
|

পথিক বলছি – ব্রতশুদ্ধ

স্বস্তিকারূপী ছাইরঙা রাস্তার কেন্দ্রে দাঁড়ালে জামরুল নীল হয়ে যায়। লাল হয় অনাকাঙ্ক্ষিত তাতানো বর্ষার একটা গাছের দেড়শো কদম ফুল। ডানে যাবো?  চলো যাওয়া যাক। এবার বামে?  ঠিক আছে।  চলো! বিদায় আহ্বান এমন হবে বুঝিনি। এর আগে কোনদিন বৃশ্চিক হেটে যায় নি আমার মরুভূমির মধ্যপথ ধরে। বল্গাহীন স্বপ্ন চুপটি করে বসেনি কোন সীমানাহীন মানচিত্রের চাতালে। আমি…