
Similar Posts

জাগরণ – দীপন বন্দ্যোপাধ্যায়
সৃষ্টি-সেরা নারী-রে তুই, তবুও অনাহূত, বোঝা ভেবে আজন্ম অপমান, আজও অব্যাহত। মাটির প্রতিমা পুজিতা হন, জ্যান্ত প্রতিমা লাশ, বিকৃত পুরুষ, বিকৃত বাসনা, ঘটায় সর্বনাশ। পুরুষ-জাতির ভোগ্যা হয়ে, হারাস নিজ শরীর, মৌন পৃথিবী দেখে শুনে, স্বার্থ মগ্নেই বধির। তিন কিংবা তিরাশি হোক, কেউই পেলনা ছাড়, মানবরূপী দস্যু পশুর, অবাধ অত্যাচার। ‘ধর্ষিতা’ তকমা নিয়ে-রে তুই, সম্মান খুঁজিস…

সর্বেশ্বরদয়াল সাক্সেনা-এর কবিতা – ভাষান্তর: রূপায়ণ ঘোষ
কবি পরিচিতি: সর্বেশ্বরদয়াল সাক্সেনার জন্ম ১৯২৭ সালে উত্তরপ্রদেশের এক সামান্য বস্তিতে। এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে, জীবিকা অর্জনের জন্য তিনি ফেরিওয়ালা থেকে শিক্ষকতা, ক্লার্ক তথা পত্রিকার সম্পাদক রূপেও কাজ করেছেন। তাঁর কবিতা এক আশ্চর্য মানবচৈতন্যের কথা বলে যেখানে ‘অহং’ (আমি) ও ‘সোহহং’ (তুমি) একই সঙ্গে যুক্ত হয়, বিমুক্ত হয়, প্রবাহিত হয়। সর্বেশ্বরদয়াল সাক্সেনার কবিতা…

কাহিনি একটি শরণার্থীশিবির – অরিত্র সান্যাল
একটা সাদা কালো সুর শোনা যাচ্ছে কি? মনোভঙ্গির মতো শীর্ণ একটা গাছ, হৃদয়ের মতো অপূর্ব এক যতি, আর বহুক্ষণ নিয়ে ভূমিষ্ট হচ্ছে দুঃখের জগত। একটা সাদা কালো সুর শোনা যাচ্ছে কি? আমি দেখেছি, প্রতিটা দুঃখের তিনটি করে মা থাকে। একটি সেই কুকুর, ছোটোবেলার গল্প থেকে অনেকদূর তাড়া খেয়ে যে আজ রাত্রি অব্দি দিগন্তের পরিধি বাড়িয়ে…

পথিক বলছি – ব্রতশুদ্ধ
স্বস্তিকারূপী ছাইরঙা রাস্তার কেন্দ্রে দাঁড়ালে জামরুল নীল হয়ে যায়। লাল হয় অনাকাঙ্ক্ষিত তাতানো বর্ষার একটা গাছের দেড়শো কদম ফুল। ডানে যাবো? চলো যাওয়া যাক। এবার বামে? ঠিক আছে। চলো! বিদায় আহ্বান এমন হবে বুঝিনি। এর আগে কোনদিন বৃশ্চিক হেটে যায় নি আমার মরুভূমির মধ্যপথ ধরে। বল্গাহীন স্বপ্ন চুপটি করে বসেনি কোন সীমানাহীন মানচিত্রের চাতালে। আমি…

বিকাশ – কৃষাণু নস্কর
ধপধপে সাদা একটা বক বসে আছেছোটো ছোটো কচুরিপানার উপর,জলের মধ্যে ডুব দিচ্ছে ডাকপাখি,খেলা করছে ঝিঁঝিঁপোকা, ফড়িং।ঘাটের সিঁড়িতে সুরকি আর ভাঙা ইট বেরিয়েআসছে, পড়ে আছে বিসর্জনের কাঠামোভেসে আসছে ফুরফুরে বাতাস,হালকা আঁচড় কেটে, জলের গা বরাবর। এখানে আর কিছুদিনের ভিতরে,একটা আর্টিফিশিয়াল লেক হবেআর তার চারিদিকে থাকবে একটাজগিং ট্রাংযাক আর ঝলমলে বাতির সারি।খালের ধার বরাবর গজিয়ে উঠবে একাধিকহাইরাইজ,…

অয়ন ঘোষের পাঁচটি কবিতা
যুদ্ধ পুকুরে ডুব দিয়ে তুলে আনেশামুক-গুগলি, চুনো-পুঁটিজলের সংসার টালমাটালমাছরাঙার শ্যেন দৃষ্টিতে আগামী যুদ্ধের নিশান উড়ছে। কিস্তিমাত দুঃখকে পোষ মানিয়েআড়াই চালে মাতচৌষট্টি খোপ সাজানো আছেঈশ্বর আমি মুখোমুখি। শীত দু’হাতে তাড়াচ্ছি শীতআগুন কৌশলেঅরণি শেখাল, ভিতরের কাঁপন থামলেশীত আপনা থেকেই বসন্তকে পথ করে দেয়। নিস্তার একটা কৌণিক বিন্দু থেকেমেপে নিয়ে যাত্রাপথতির্যক আলোর সাথে সুরবুকের বাঁ’দিকে এসে সংসার পাতলঘুম…