Similar Posts

অক্ষর শপথ এবং আত্মস্থ জানালা – সুজিত মণ্ডল
লিখতে লিখতে ফুরিয়ে যাচ্ছে অবেলা মা-ভাষায় ডাক দিচ্ছে কেউ আমি জবাব কুড়িয়ে তোমাকে নিচ্ছি একুশ… এই ভাষা-সংসার আমার মুক্তির ঋণ ঋণের শপথে লিখে দিই পলাশ পাখির গান ভাষা সোহাগে তোমাকেও বাসি ভালো প্রিয় নদী এখন আত্মস্থ জানালায় শিস দেয় অক্ষর চাবুক সংসার শুধু ঝরিয়ে যায় পাতা একুশের মতো দুঃখ এবং গৌরবে এবার তুমিও দীর্ঘগামী হও…

কবিতারা ভীষণ ক্ষতপ্রিয় – পিনাকী
কিছু ব্যথা — ব্যথার চেয়ে অধিক কিছু ক্ষত সর্বদা স্বাগত কিছু হাঁটা– আপনভোলা পথিক কিছু আঁচড় হৃদয়ে শাশ্বত। কিছু বিকেল ছিল রাগাশ্রয়ী কিছু সময় নিবিড়তাই প্রিয় কিছু নজর গভীর মোহময়ী কিছু কথা নীরবতায় দিও। কিছু চাওয়া অপূর্ণতার দিকে যা যা পেলাম– অনির্বচনীয় ধরো আঙুল নিজস্ব আঙ্গিকে কবিতারা ভীষণ ক্ষতপ্রিয়। [চিত্র : ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ]

সদুত্তর – অর্পণ কুমার মাজি
যাকে তুমি পরকীয়ার বলো বিটনুন, মরিচগুঁড়ো মাখিয়ে সুস্বাদু গসিপ বিক্রি করো হাটে বাজারে মসৃণ মলাট, রঙ্গিন কভারে মুড়ে; তার পিছনের দহনের গল্প শুধু সেই ছাই হয়ে যাওয়া খড়কুটোই জানে। যা তুমি উপভোগ করো তারিয়ে তারিয়ে বাজারি গল্পের মতো, হঠাৎ করে কোনো ভোরে ডেকে না ওঠা একটা মোরগ নামিয়ে আনে যে চিরঘুমের রাত; সেই ক্ষতেও তুমি…

এক পৃথিবী সুখ! – সুজাতা মিশ্র
হ্যাঁ রে মরদ, বাসবি ভালো চটকে খাবি সুখ? এক বর্ষা কদম গন্ধে ভরিয়ে দিবি বুক? রাতবিরিতে জানলা খুলে উড়িয়ে দিবি ডানা? কাকের বাসায় আসবি রেখে কোকিল সুরের ছানা? হ্যাঁ রে মরদ নিজেই আবার হবি আকাশ বুক? চাঁদের আলো হতে দিবি এক পৃথিবী সুখ?

অজিত ভড়ের পাঁচটি কবিতা
ব্যক্তিগত ভেবেছিলুম যাব মঞ্জুমালা এসে জানলা খুলে দিল।যেন মৃত্যু বেরিয়ে গেল ঘর থেকে। তারপর সন্তুর বিয়েনানারকম রান্নার গন্ধখেয়ে উঠে বেরোতেই সায়ন্তনীর সঙ্গে দেখা: সায়ন্তনী শব্দহীন :যেন ভিনরাজ্যের ঝিলম নদীর বাঁক,আর শিল্পিতা?অনেকদিন আগের ট্রেন ছেড়ে যাওয়া প্ল্যাটফর্ম এখানে এক পা– ওখানে এক পাঘরে ঢুকিজানলা খোলাদেখি– আবার মৃত্যু ঢুকেছে ঘরে… এই বয়সে আর মশারি খাটাতে ভাল্লাগে না!…
যুদ্ধাগ্নি – মৌ দাশগুপ্ত
আমি কখনও যুদ্ধের বা যুদ্ধবাজ মানুষদের চোখে চোখ রাখিনি, তবু দু হাতে মুখ ঢাকার ছলে দশ আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে দেখে নিয়েছি ধ্বংসের সাথে সর্বনাশের সহবাস, চোখের জলের সাথে আপাত বৈরিতার অভিনব গমণদৃশ্য, লোভ আর আর হিংসার সর্বগ্রাসী ব্যভিচার, আর আগ্রাসী ক্ষমতার সাথে রাজনৈতিক আগুনের অবাধ কামলীলা। যুদ্ধের আগুন নিভে গেলে স্তিমিত ভস্মের কাছে আঁজলা পেতেছি,…