Similar Posts
শান্তি চাই – মিঠু নাথ কর্মকার
খেললে তো অনেক রক্তের খেলা, ইতিউতি ছড়ানো শবের মেলা, এনেছো ডেকে অকাল বসন্ত, হিংসার আগুন জ্বলছে অনন্ত, নিয়েছ কেড়ে কতো নিরীহ প্রাণ, অনাথ হয়েছে অগণিত সন্তান, বিবর্ণ করেছ সিঁথি, তোমার দীর্ঘশ্বাসে, মায়ের শূন্য কোল চোখের জলে ভাসে, ভাইকে পাঠিয়েছ অচিন পরপারে, বোনের নিস্ফল আকুতি তোমার দরবারে, মৃত্যুপুরীর শোকের বেদনার্ত হাহাকার, তোমায় কি করে না একটুও…
রাজেশ্বরী ষড়ংগী-র পাঁচটি কবিতা
শব্দপ্রিয় পাখি পারানি এমন হোক, মধুকণ্ঠ গানশান্ত টেবিল জুড়ে পড়ে থাকে কিছু অভিমান তোমার নক্ষত্র খুলে পুড়ে যাচ্ছে আগুনের দেশবিষন্ন ছাই,প্রতি রাতে জেগে উঠি ম্লান-চক্ষু ভেঙে একা,শোকহীন বিদীর্ণ গভীরে ধীরে! তার অহংটুকু পোড়াতে দিও তুমি। তবু আলোর আত্মহত্যা কখনও লিখিনি।মুখের ভেতর জেগে ওঠেপাখিদের প্রিয় কোনো দ্বীপ।প্রতিটি শান্ত ভোর ঘুম ভাঙা মুগ্ধ সকাল। ভেসে থাকা জলভার,…
হেকেটির স্বপ্ন – অমিত পাটোয়ারী
ওরা খ্যাতির সাগরে কুটো নিয়ে এসেছিল পৌষালি মেয়ে, যার কি বা দাম ! ঠাকুরবাড়ি, তবু তোমাকে প্রণাম | এখন ক্রমশ যাবার সময় আসছে শরীরে মিশেছে অসম্ভবের বিষ মনে পড়ছে রবির বন্দিশ এখন আর কোনো রাগ নেই জ্যোতিবাবু তোমায় গোপন চিঠি লেখেন যিনি, তার কাছে যাও, চলে যাও সরোজিনী | রবি, কেবল তোমার কাছে আর্জি তোমার…
পাঁচটি কবিতা – শাশ্বতী সরকার ও সৌম্যজিৎ রজক
শাশ্বতী সরকারের তিনটি কবিতা যেন গান মনে থাকে ১)আর দুঃখ নয়, মা ছেলেকে খাইয়ে দিচ্ছে ভাতঅন্নজল অভাবের দেশে ধানখেতে ফুটে উঠছে খুঁটি, বিদ্যুতের তার জুড়ে বসে আছে শালিকের জোড়তুমি যেন গজে নয়, পাহাড় থেকে সোজা নদীর উপরে চেপে এলেপ্রকৃতই পর্বতদুহিতা এই শাদা জলধারা ২)বিরাট রাজার বাড়ি। সৈরিন্ধ্রী এলোচুলে ঘোরে। কী আশা করেছিলে? শীতকাল — পাথরের…
উৎসব – সন্দীপ ভট্টাচার্য্য
অন্যান্য দিনের মতই অশান্ত কম্পমান বুকে, ছেলেটি ভীত সন্ত্রস্ত চোখ রাখল জানালায়। সূর্য উঠেছে আজও প্রতিদিনের মতই, শুধু পুঞ্জীকৃত কালো ধোঁয়ার আস্তরণটা নেই আজ। “আজ কি তবে কোন উৎসব?” ভালো খারাপের পার্থক্য না বোঝা বারুদের প্রাণঘাতী পোড়া গন্ধ নেই আজ। নেই বোমারু বিমানের আগ্রাসী হুংকার। নির্দয় ট্যাংকারের তালে তালে, ভারী জুতোর শব্দগুলোও কোথাও হারিয়ে গেছে…
ইতি তোমার নদী – অনিন্দিতা মিত্র
একটানা প্রবল বর্ষণে ঘুমহীন শঙ্কিত রাত কাটাও নদীতীরে, বুকে তোমার কাঁপন জাগায় নদী, খোঁজ নাও বারেবারে- ‘কতটা জল বাড়লো?’ পূর্বদক্ষতায় কষে নাও হিসেব- আর ঠিক কতটা জল বাড়লে ছাড়াবে বিপদসীমা, ঠিক কোন মূহুর্তে পালাবে বসতি ছেড়ে, খুঁজে নেবে আবার কোন সাময়িক আশ্রয় বারংবার বিলাপে। এতই যখন ডুবতে ভয় তোমার তবে প্লাবিত হবে জেনেও কেন নদীপাড়েই…

