
Similar Posts

ইতি তোমার নদী – অনিন্দিতা মিত্র
একটানা প্রবল বর্ষণে ঘুমহীন শঙ্কিত রাত কাটাও নদীতীরে, বুকে তোমার কাঁপন জাগায় নদী, খোঁজ নাও বারেবারে- ‘কতটা জল বাড়লো?’ পূর্বদক্ষতায় কষে নাও হিসেব- আর ঠিক কতটা জল বাড়লে ছাড়াবে বিপদসীমা, ঠিক কোন মূহুর্তে পালাবে বসতি ছেড়ে, খুঁজে নেবে আবার কোন সাময়িক আশ্রয় বারংবার বিলাপে। এতই যখন ডুবতে ভয় তোমার তবে প্লাবিত হবে জেনেও কেন নদীপাড়েই…

মধুচন্দ্রিমার বিছানা – সাইফুল ভূঁইয়া
মধুচন্দ্রিমার বিছানায় ঝরছে বৃষ্টি ঘুমন্ত মুখে উড়ছে তোমার চুল ঝরনার জল শরীর বেয়ে নামছে সুতাং নদী ঘা-ক্ষত গায়ে নিয়ে ভাবছি- আমি কোন্ মাছ মেঘালয় থেকে এসেছি শ্যাওলার ঘ্রাণে ভাটির দেশে আমি যাবো ফিরে। মধুচন্দ্রিমার বিছানায় একটা টিয়া পাখি ঠোঁটে এক মৃত চিঠি অশ্রুতে ধুয়ে গ্যাছে সব নীল অক্ষর জানালায় কাঁদছে লাল-ফ্রক একটা অন্যের-চাঁদ আমি…

মা – দেবলীনা দলুই
মা তোমাকে আঁকার জন্য ভাষা পাইনা আমি হাতড়ে বেড়াই, শব্দ খুঁজি কিন্তু পাইনা তোমার হৃদয়ের অনন্ত ঝারলন্ঠনকে নাম দেওয়ার শব্দ পুড়তে দাওনি কখনও দাওনি আমায় গলতে তোমার ওই দুহাত দিয়ে আমার ক্ষত যত ছিল সব নিয়েছো টেনে নিজের বুকে ঘুম পাড়িয়ে আমায় নিজে থেকেছো নিদ্রাহীন দিনের পর দিন তোমার চোখ, নাক, চুল বেয়ে নেমে আসা…
চুপ কথা – অনিন্দিতা সেন
চুপ কথা যত গল্প হয়ে ছড়াক কথার মেঘ, মেঘালয়া কথারা চলে দিনের পিছে পিছে, মোহ জড়ানো আবেশ দ্যাখে নির্ভার সে আবেগ আমার আমিকে হারাই যখন ধূপছায়ারই বাঁকে! মনে রাখা সেই রূপকথারই সম্মোহনের ডাক, সব ফেলে দিয়ে ছূট্টে আসা…… বাঁশিওয়ালার হাঁক, উপেক্ষিত আদর তখন জানালার ফাঁকে ফাঁকে হৃদয় যেভাবে বুক পেতে দেয়….. নিরলস ছবি আঁকে।

ডেরেক ওয়ালকট-এর তিনটি কবিতা অনুবাদ: অভিনন্দন মুখোপাধ্যায়
[লেখক পরিচিতি: স্যার ডেরেক এলটন ওয়ালকট ১৯৩০ সালের ২৩শে জানুয়ারিতে সেন্ট লুসিয়ার ক্যাস্ট্রিজ-এ জন্মগ্রহণ করেন। মূলত কবি এবং নাট্যকার হিসেবে পরিচিত ডেরেক ওয়ালকট ১৯৯২ সালে নোবেল পুরস্কার পান। তাঁর কবিতায় ঔপনিবেশিক শাসনের ভারে ভারাক্রান্ত মানুষের জীবন, ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের মানুষজনের খণ্ড-বিখণ্ড আত্মপরিচিতি বার বার উঠে আসে। ২০১৭ সালের ১৭ই মার্চ তাঁর মৃত্যু হয়।] মুষ্টি একটি মুষ্টি…
অদ্ভুত আঁধার এক… – রেহান কৌশিক
পৃথিবীর জনতা তিন শ্রেণির। একদল ক্ষমতালোভী। যারা পৃথিবীর জল-মাটি-হাওয়ায় দখলদারি কায়েমের লক্ষ্যে বিশৃঙ্খলার জন্ম দেয়। আরেক দল হল সাধারণ জনতা। গতানুগতিক সময় ও জীবনকে মেনে নিয়ে হেঁটে চলে। শোষিত হয়। কখনো অপেক্ষা করে পরিত্রাণের। কেউ যদি মুক্তির পথ দেখায়, তাকে সঙ্গ দেয়। নিজে থেকে পরিত্রাণের পথ আবিস্কার করতে পারে না। তৃতীয় দল হল বিপ্লবী। সমাজের…