কোজাগরী – রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়

কোজাগরী – রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়

তোমার ফেরারি মন হয়তো বা কখনও এক বিন্দু শিশিরের মত মুহূর্তের বশ্যতায় স্হির হয়ে লেগে থাকে সম্পর্কের গায়ে৷ আমি মুহূর্তকে শাশ্বত বলে ভ্রম করি৷ গোধূলির গায়ে লিখে রাখি সমর্পণ৷ স্বপ্ন-সম্ভবা হয়ে সম্পর্কের ভেতর নদী হয়ে বয়ে চলি৷ যাপনের ঘ্রাণ নিয়ে অনুভূতিরা শুয়ে থাকে আমার নিমজ্জিত সত্তার ভ্রূণে৷ সময়ের সম্মোহন  ছিঁড়ে গেলে তুমি  আবার পলাতক৷ তবু…

হারানো সুর – শুভদীপ চক্রবর্তী

হারানো সুর – শুভদীপ চক্রবর্তী

ভারাক্রান্ত হৃদয়ের ডাকে অস্পষ্ট চোখগুলো মাঝে মাঝেই ভাষা হারিয়ে মিশে যায় মেলানকলির অতলে। বিষন্ন মন ভেসে যেতে চায় অশ্রু ধারায়, সযত্নে লালিত স্বপ্নের ডিঙি বেয়ে ছন্দহীন কোনো সুর তালে।   যে নিরিবিলি ছায়ায় একদিন মনের সাথে মনের কাটাকুটি খেলত ওরা, আজ দেখো ওদের দৈন দশা। গ্রহণ কেটে বাস্তবতার তীব্র তাপে জ্বলছে ওদের দাহ্য ভালোবাসা।  …

এক পৃথিবী সুখ! – সুজাতা মিশ্র

এক পৃথিবী সুখ! – সুজাতা মিশ্র

হ্যাঁ রে মরদ,  বাসবি ভালো চটকে খাবি সুখ? এক বর্ষা কদম গন্ধে ভরিয়ে দিবি বুক? রাতবিরিতে জানলা খুলে উড়িয়ে দিবি ডানা? কাকের বাসায় আসবি রেখে কোকিল সুরের ছানা? হ্যাঁ রে মরদ নিজেই আবার হবি আকাশ বুক? চাঁদের আলো হতে দিবি এক পৃথিবী সুখ?

বিবর্ণ হ্যাটের নিচে লুকিয়ে ছিল হর্সরাইডারদের ছায়ারং – উদয় শংকর দুর্জয়

বিবর্ণ হ্যাটের নিচে লুকিয়ে ছিল হর্সরাইডারদের ছায়ারং – উদয় শংকর দুর্জয়

প্রিয় দেবীদক্ষিণ মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে লিখছি।   এর আগে তোমাকে এমন অবিশ্রান্তভাবে লিখিনি, এমন করে তোমাকে পোড়াইনি আগুনে। আমারও কি পুড়তে ইচ্ছে করে বলো! কিন্তু সেই আক্রান্ত কবিতাগুলো আর কিছুতেই পালিয়ে গেলো না, ঘাপটি মেরে বসে রইল আমার অজানা কোষের ঘরে। তোমাকে বলেছিলাম মনে আছে, চলো অন্ধ হয়ে যাই, অন্ধ হয়ে যাওয়ার আনন্দই আলাদা!…

প্রেম – সুতপা
|

প্রেম – সুতপা

শব্দ। প্রতিশব্দ। সাতচললিশ, একাত্তর, বিরানব্বই, বিশ উনিশ… তলিয়ে যাওয়া স্মৃতি রাত জাগে অতীতের গহন ফুঁড়ে। জন্মভূমি জরাসন্ধ হয় বিনা দোষে। তবু জেন… এ আমার দেশ। আমার জন্মভূমি। আমার ভাষা। আমার প্রেম। সবুজ ঘাস আর লাল প্রান্তরের ডাকে তোমার কপালে মুছে দেব সীমানার বলিরেখা।

মধুপ্রলেপ – রুমা চক্রবর্তী

মধুপ্রলেপ – রুমা চক্রবর্তী

চৈত্র মাসের মাঝামাঝি, তবু এখনই গরমটা বেশ জাঁকিয়ে বসেছে। বৃষ্টি নিরুদ্দেশ। কোনো রকমে ক্লান্ত, ঘামে সর্বাঙ্গ সিক্ত শরীরটকে বহন করে বাড়ির পথে পা বাড়ালাম। স্টেশনে পৌঁছে দেখি, অসংখ্য মানুষের ভিড়। সূর্যের আগুনঝরা তাপ থেকে নিজেকে বাঁচাতে শেডের নিচে সকলে আশ্রয় নিয়েছে। কেউ বা স্টেশন-সংলগ্ন বেসিনে গিয়ে মুখে, ঘাড়ে, হাতে জল বুলিয়ে নিচ্ছে। আমিও গেলাম তাদের…