রাতের কলকাতা চিরমায়াবিনী। দিব্যি কেমন ন্যাকা সেজে গা এলিয়ে পড়েছিল একপাশে— যেন তাড়া নেই। জমাট অন্ধকার চিরে গাড়িগুলি উত্তর থেকে দক্ষিণে চলে গেল হেঁকে হেঁকে… একবার ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল না অব্দি! হঠাৎ কী মনে হতে ধীর পায়ে হেঁটে হেঁটে চলে এল এদিকে! কত অস্বাভাবিক সহজ সে চলা। কোত্থেকে কি গন্ধ- টন্ধ মেখে এসেছে, ডুবিয়ে মারবে এবার। রকম- সকম বুঝে ইজি-চেয়ার থেকে উঠে পড়ে সুদীপ্ত। ফিরফিরে ঠান্ডা হাওয়া দিচ্ছে — বৃষ্টি নামল বলে! বড়ো বড়ো জলের ফোঁটা গায়ে লাগতেই দৌড়ে সিঁড়ি বেয়ে নেমে এল সে। কাল সক্কালে বেরতে হবে। বৃষ্টি ভিজলে চলবে না কিছুতেই…
একতাল নিস্তব্ধতার মাঝে নির্মমভাবে অ্যালার্মটা বাজল। এখনো ভোরের আলো ফোটেনি। নতুন-পুরনো বইয়ের গন্ধে স্টাডিরুমের বাতাসটা ভারী হয়ে আছে! ছোটো ঘর— বইয়ে ঠাসা— তায় আবার দরজা জানালা সব বন্ধ। এ-ঘরের ভাগ হয় না… এখানের প্রতিটা শ্বাস তার একার! আলতো হেসে সুদীপ্ত উঠে দাঁড়ায়। রাতে চেয়ারেই ঘুমিয়ে পড়েছিল! টেবিলের একপাশে পড়ে থাকা সোনালি কলমটা ল্যাম্পের আলোয় চিকচিক করছে, ওটা তুলে বার-কয়েক ডায়েরিতে নিজের নাম লিখলো সে। আসলে এটা ছিল আর. বি. স্যারের নোটস্ নেওয়ার খাতা। নোটস্ সে নিত না— ঘোড়ায় জিন দিয়ে ছুটতো সে! এক এক লাফে হার্ভার্ডের করিডোর থেকে করিডোর পার করে ফেলতো… ফিক্ করে একটু হেসে বাকিটা গিলে নিলো। ছুরি বিঁধলো বুকে…
“অমনি করে দেখা দিয়ে কি চলে যেতে হয়?”— সুদীপ্ত মায়ের কথায় চমকে তাকায়! পারিপাট্যের কান্নাটি ঠিক কতটা সুখের? জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছে করে। এমন যাওয়া সে কখনো যেতে চায়নি— কথাটাও ডালে-ভাতে মেখে গোগ্রাসে গেলা গেলো।কৌটোতে কৌটোতে ভালোবাসা সাজানো… একে একে সবগুলো ব্যাগে তুলে নিলো।… জীবনের গল্পখানি শুরু হতে না হতে আঁচড়ে আঁচড়ে শেষ করে দেয় অন্য কেউ!…
লাল- নীল- হলুদ- সবুজ অনেক রঙের মাঝে ছোটো হতে হতে ক্রমশ মিশে গেল সুদীপ্তর রিকশাটা…
To whomever this beautiful composition is dedicated , it’s truly means how sacred and innocent dreams of few lovable unique and genious creation of GOD been compromise it to maintain and keep the Others Happy, without being justify with self. Hats off to author to reveal this story of all those Heroes who are still busy to make their associates happy without having any regret of himself. I salute.