Similar Posts
রাখী দে’র গুচ্ছ কবিতা : পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
১.প্রতিক্রিয়াহীন কথাগুলিকেসাজিয়ে রাখি পার্শ্বরেখা বরাবর,ঘোলা জল এসে ঝাপটা দেয়,দুলকি চালে পাশ কাটিয়ে যাই,জন্ম শেষে না-নেভা দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি। ২.বুকে খই উথলে উঠলেআঁচটুকু কমিয়ে দিই,ফেনার শরীর ঘেঁটে জড়ো করিপাখিটি নীরব জলে সাঁতার কাটে! ৩.ক্ষতটি জেগে আছে,পাড়ময় ফুটে আছে সন্ধির ফুল,একেকটি ফুল তুলে নৈবেদ্য সাজাইচিকণ রোমের মুখ তুলে ধরি,তুমি কথা বলে ওঠো। ৪.যেদিকে বিকেল হাঁটে,সেদিকে পড়ে আছে…
ফুলের কাছে – বদরুদ্দোজা শেখু
ফুলের কাছে যাও নিঃশব্দে দাঁড়াও দ্যাখো, অবলোকন করো অনুভব করো ওর সৌন্দর্যের প্রাচুর্য অনুধাবন করো ওর মুখরিত মধুরিমা অনুসরণ করো ওর অনুচ্চার প্রেমের মাহাত্ম্য ওকে স্পর্শ ক’রে দ্যাখো, কিন্তু তুলিও না তাহলে ও ঝ’রে যাবে, ম’রে যাবে সৌন্দর্য ম’রে যাবে সুগন্ধ ঝ’রে যাবে আনন্দ ঝ’রে যাবে বাতাস বিবর্ণ হবে পরিবেশ নির্বান্ধব হবে ।…
সুবিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়-এর পাঁচটি কবিতা
হৈমন্তিকা তুমি বললে শরৎআসলে হেমন্ত এখন। বাতাসে কান পাতো। শুনবে পাতা খসে পড়ার আওয়াজ। যেমন পুরনো বাড়ির গা থেকে পলেস্তারা যত।মানুষের চেনা ক্যামোফ্লেজ প্রয়াস। আয়ু -১ কুয়াশায় ভরে গেল মাঠতুমি বললে হাঁটো। হাঁটতে হাঁটতে গাছ।নীচ থেকে ওপরে তাকিয়ে দেখলাম গাছ।আমি ওপর থেকে নীচে দেখলাম গাছ। চণ্ডী মণ্ডপের মাঠ।ফেলে আসা ফুরনো বাজির প্যাকেট উড়ে যাচ্ছে হাওয়ায় হাওয়ায়ও প্যাকেট যেও…
কাদম্বরী – আর্যতীর্থ
সব আগুনের একটা চকমকি লাগে। সে তুষের ধিকিধিকিই হোক, বা দাবানলের দাউ দাউ। কে জ্বলে ছাই হবে, আর কে হবে চিরদীপ্যমান, সেই দহনের বিস্তারের বহু আগে, অন্ধকারে লুকিয়ে থাকে চকমকিদের গল্প। ইতিহাস সাক্ষী, চিরভাস্বর রবিরও একজন কাদম্বরীর প্রয়োজন হয়েছিলো। সব সোনার একটা কষ্টিপাথর লাগে। যাতে ঘষে দেখতে হয়, আর কত পুড়ে গেলে নিখাদ সোনা পাওয়া…
কুণাল বিশ্বাসের পাঁচটি কবিতা
অনুষঙ্গ ছিন্ন হও প্রেম — আমাকে সুযোগ দাওএসো গান করিবাতাবিসকল, পটভূমি জুড়ে ভোরের প্রথম ফুলকপিআনাজ, বাসনজল, তামা — সকলেই খুঁজে নেয় আলো তোমাকে এককথায় প্রকাশ সম্ভব নয়জামরুল তলায়, প্রসূতিসদনের ছাদে মেঘ করে আসে, দ্যাখোঘামে ভেজা শরাফত আলির কবর… ফুটে আছে ঘুমআমরা সকলে আজ ধীবরচরিত পড়ি এই পথে আসে গাড়ি, পৌরাণিক চাকা, দেবতার ফল… ঈশপের গল্প…
কাল্পনিক চরিত্র – রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়
পৃথিবীর প্রকোষ্ঠে ক্লেশ ছড়ায় ৷ মানুষের অকাতর ঘুম বিবেকের পাশ ফিরে শুয়ে থাকা ৷ যে গাছটা আভূমি বিস্তৃত শুধু তোমাকে ঘিরে ৷ যার পাতায় পাতায় তোমার যাতায়াত, যার ডাল শিকর তোমার নৈবেদ্য সাজায় , তাকে তুমি ছারখার কর ৷ মরিচ ঢেলে দাও দু’চোখের পরিখায় ৷ অন্ধত্বের দায় নিয়ে তবু বারবার ফিরে যাই তোমার ভুল ঠিকানায়…
Besh Bhalo laglo pore