সীমান্ত – সৌরভ দাস
সীমান্তের দিকে..
নিয়নের আলো ফ্লুরোসেন্ট লাল গোলাপ আকাশের চেয়ে অনেক নীচে আকাশ তারাদের চেয়ে অনেক নীচে তারামণ্ডলী স্বপ্নের চেয়ে স্বপ্নালু সুখানুভূতি। সবটাই বেশ সাজানো সবটাই বেশ মাপজোক করা সুন্দর অতিরিক্ত আলোয় অন্ধকারকে আড়ালের প্রয়াস স্পষ্ট অতিরিক্ত আমোদে আক্ষেপ ভোলানোর ব্যর্থ চেষ্টা ঠিক কোনো রমনীর দুঃখ চাপা মেকি হাসির মতন। বড় বেশি সাজানো পার্কস্ট্রীটে একটা অগোছালো শিশুর বেমানান…
অন্তহারা সৌভাগ্যেবাংলা ভাষা বেঁচে উঠল প্রেমে ও প্রতিবাদে জীবনেরউচ্ছ্বসিত এই উৎস আবার শিলচরে জাগবেহয়তো তার আগে ফাল্গুন ঈষৎ ঝরে যাবে তবুওকৃষ্ণচূড়া জেগে রইবে
একটা সাদা কালো সুর শোনা যাচ্ছে কি? মনোভঙ্গির মতো শীর্ণ একটা গাছ, হৃদয়ের মতো অপূর্ব এক যতি, আর বহুক্ষণ নিয়ে ভূমিষ্ট হচ্ছে দুঃখের জগত। একটা সাদা কালো সুর শোনা যাচ্ছে কি? আমি দেখেছি, প্রতিটা দুঃখের তিনটি করে মা থাকে। একটি সেই কুকুর, ছোটোবেলার গল্প থেকে অনেকদূর তাড়া খেয়ে যে আজ রাত্রি অব্দি দিগন্তের পরিধি বাড়িয়ে…
আয়না যেন অনন্ত এক শব্দ আকর মুখ দেখে নেয় নীলবিবরে মৌসুমিরাত দৌড়ে তুমি ছুঁয়ে দেখো কবির বাড়ি দৃপ্ত মুখে পাটাতনে চলছে মিছিল । স্বপ্ন নিয়ে কবি জানি একাই মিছিল একাই তিনি জাগিয়ে রাখেন নদীর টানে রমণীয় শিশির যেন জমা হীরে ভিতর থেকে বাইরে ওড়ে পানসি ঘুড়ি । জেগে ওঠা রক্ত তখন কোঁচকানো মেঘ খরার সময়…
অনেকটা ঘুমের ভিতর তুমি বড় হয়ে গেছ স্বপ্নে এখন ফড়িং আসে ফড়িংয়ের হাঁটুতে কান থাকে আমি সেই হাঁটুতে চোখ রেখে শুনি বড় হওয়ার গল্প গল্প তুমি এখনও স্তন টিপে টিপে পান করছ মাতৃত্বের হাওয়া
কত কি মনে পড়ে এমন মন কেমনের দিনে। কত কি ?টাপুর টুপুর বৃষ্টি পরে কাঁঠাল পাতায়। জানলার ফাঁক দিয়ে বাড়িয়ে দেওয়া হাতে জলের ছাট। মোবাইলে তোলা সেই বৃষ্টি ভেজা পাতা। এই তো সেই সেদিনের কথা। জানলায় বসে একমনে দেখতাম কাঁঠাল গাছের ভিজে পাতাগুলো। আজ সেই গাছটা নেই জানো। কাটা পড়ে গেছে। আজ বৃষ্টি র ছাটে…