সীমান্ত – সৌরভ দাস
সীমান্তের দিকে..
অন্তহারা সৌভাগ্যেবাংলা ভাষা বেঁচে উঠল প্রেমে ও প্রতিবাদে জীবনেরউচ্ছ্বসিত এই উৎস আবার শিলচরে জাগবেহয়তো তার আগে ফাল্গুন ঈষৎ ঝরে যাবে তবুওকৃষ্ণচূড়া জেগে রইবে
অবলোকন বিজ্ঞানমেলায় প্লাস্টিকের ছাউনিতে বসে পূর্ণাঙ্গ আকাশ, তারকাখচিত মণ্ডল, টরাস, ক্যাসিওপিয়া… সমুদ্র প্রাচীন এক ভয়ে খুব সন্তর্পনে হাঁটু অব্দি সবেমাত্র নেমেছি, কে যেন বলে উঠলো – “দেখো, দেখছে তোমাকে।” অস্পষ্ট সঞ্চালিকার গলা -কিশোরীর, অন্ধকারে একটা শিশু কেঁদে উঠলো , ‘ বিলয় ‘ শব্দটা তখনই হটাৎ মাথায় আসে। যে অশ্রুপুঞ্জ মেঘ হয়ে এতদিন থমথমে করে রেখেছিল…
যুদ্ধ হলে ঠিক কি হয় তা নিয়ে আমার ধারণা পরিস্কার নয়। রাজনীতি এবং সমকালীন উচ্চমার্গীয় বিষয়েও ওয়াকিবহাল না হওয়ায় যুদ্ধের কারন টাও বেশ আবছা। ছোটবেলায় আঁকার স্কুলে যেতাম তখন কারগিলের যুদ্ধ হচ্ছে। সবাই যুদ্ধের ছবি আঁকত তখন। জলপাই রঙ টা বানাতে পারতাম না তাই হলুদ পোষাকে স্যাপ গ্রীন দিয়ে আঁকা হত আমাদের সৈনিকের ছবি। তখন…
নিরাপদ মাননীয় মানব সমাজ ‘I smell dark police in the trees’. দীর্ঘ দেবদারু বীথি আজ কোনো আকাশ দেখে নাএখন আকাশ জুড়ে নষ্ট চাঁদ, শুরু হবে পিশাচের নাচ; এখন বাতাস দগ্ধ দুধকলা দিয়ে পোষা সাপের নিঃশ্বাসে… ভাল আছে—নিরাপদ—আমাদের মাননীয় মানব সমাজ॥ [রাস্তায় যে হেঁটে যায় / প্রথম প্রকাশ: ১৩৭৯] কবিতা পরিষদের ‘বইমেলায়’ আমরা সবাই চাঁদের আলোয়…
এইতো সেদিন বাসের ভিতর, তোমায় ছেঁড়ার ক্ষত, একটা দেখি ষোলো বছর, ফ্রন্ট পেজেতে ফটো। এদিক ওদিক কথার মাঝে তোমার কথা এলে, চেঁচিয়ে বলি হেন কারেগা, ওই ব্যাটাদের পেলে। ফেরার পথে ট্রেনেই দেখি দাড়িয়ে তুমি সাথে, আলতো করে পিঠ ছুঁয়ে দি, ভিড়ের অজুহাতে। দিনের শেষে কাজের ফাঁকে একটু সময় পেলে, তোমার জন্য প্রতিবাদী, মোমবাতিটা জ্বেলে।
“যুদ্ধ” শব্দটা যেখানে যখনই উচ্চারিত হয় তখনই বিভীষিকাময় কিছু চিত্রকল্প এবং তার সাথে সম্পর্কিত কিছু শব্দের অনুষঙ্গ আমাদের প্রাত্যহিকতা সর্বস্ব বেঁচে থাকাকে যেন শিহরিত করে। তখন যুদ্ধ আর সেই চিত্রকল্প বা তার সাথে সম্পর্কিত শব্দের অনুষঙ্গগুলির মধ্যে কোন প্রভেদ থাকে না, তারা হয়ে ওঠে একই সমান্তরাল রেখায় অবস্থানকারী দুটি বিন্দুর মত অভিন্ন, হয়ে ওঠে একে…