সীমান্ত – সৌরভ দাস
সীমান্তের দিকে..
আকাশের কাছে আমাদের সাহায্য প্রার্থনামনের পথে-পথে যারা হেঁটেছিমন, খরোস্বী লিপির চিরশয্যা, মন দাবানলদাবানলের পথে যারা হেঁটেছিদূরের দেশ, নিজেকে তুমি কোথায় ফেলে এসেছো ভাবোভাবো, রক্ষাকবচ ভেসে গেছে কোন কূলে থেকে অকূলেমনের পথে-পথে যারা হেঁটেছিরক্ষাকবচ ভেসে গেছে যাদেরশতাব্দীর মতো একনিষ্ঠ যারাসৃষ্টির মতো, লয়ের মতো একামনের পথে-পথে যারা হেঁটেছি বাতাস এখনো শোকগাথা, শোকগাথার বাতাসে এসে দাঁড়ালাম দেহকার্য এখনো…
“যুদ্ধ” শব্দটা যেখানে যখনই উচ্চারিত হয় তখনই বিভীষিকাময় কিছু চিত্রকল্প এবং তার সাথে সম্পর্কিত কিছু শব্দের অনুষঙ্গ আমাদের প্রাত্যহিকতা সর্বস্ব বেঁচে থাকাকে যেন শিহরিত করে। তখন যুদ্ধ আর সেই চিত্রকল্প বা তার সাথে সম্পর্কিত শব্দের অনুষঙ্গগুলির মধ্যে কোন প্রভেদ থাকে না, তারা হয়ে ওঠে একই সমান্তরাল রেখায় অবস্থানকারী দুটি বিন্দুর মত অভিন্ন, হয়ে ওঠে একে…
শব্দপ্রিয় পাখি পারানি এমন হোক, মধুকণ্ঠ গানশান্ত টেবিল জুড়ে পড়ে থাকে কিছু অভিমান তোমার নক্ষত্র খুলে পুড়ে যাচ্ছে আগুনের দেশবিষন্ন ছাই,প্রতি রাতে জেগে উঠি ম্লান-চক্ষু ভেঙে একা,শোকহীন বিদীর্ণ গভীরে ধীরে! তার অহংটুকু পোড়াতে দিও তুমি। তবু আলোর আত্মহত্যা কখনও লিখিনি।মুখের ভেতর জেগে ওঠেপাখিদের প্রিয় কোনো দ্বীপ।প্রতিটি শান্ত ভোর ঘুম ভাঙা মুগ্ধ সকাল। ভেসে থাকা জলভার,…
তোমার ফেরারি মন হয়তো বা কখনও এক বিন্দু শিশিরের মত মুহূর্তের বশ্যতায় স্হির হয়ে লেগে থাকে সম্পর্কের গায়ে৷ আমি মুহূর্তকে শাশ্বত বলে ভ্রম করি৷ গোধূলির গায়ে লিখে রাখি সমর্পণ৷ স্বপ্ন-সম্ভবা হয়ে সম্পর্কের ভেতর নদী হয়ে বয়ে চলি৷ যাপনের ঘ্রাণ নিয়ে অনুভূতিরা শুয়ে থাকে আমার নিমজ্জিত সত্তার ভ্রূণে৷ সময়ের সম্মোহন ছিঁড়ে গেলে তুমি আবার পলাতক৷ তবু…
হ্যাঁ রে মরদ, বাসবি ভালো চটকে খাবি সুখ? এক বর্ষা কদম গন্ধে ভরিয়ে দিবি বুক? রাতবিরিতে জানলা খুলে উড়িয়ে দিবি ডানা? কাকের বাসায় আসবি রেখে কোকিল সুরের ছানা? হ্যাঁ রে মরদ নিজেই আবার হবি আকাশ বুক? চাঁদের আলো হতে দিবি এক পৃথিবী সুখ?
একটি কাব্য ও তাহার খোসা ১. হে আলোচ্য জীবন! সঠিক শব্দটি আমি খুঁজিতেছি শূন্য পূরণের নিমিত্তে। এত নগণ্য শস্যের সূচি। এত আলোর অভাব। দূরত্ব হেতু আমি পৌঁছাইতে অপারগ তোমার ঔষধি অবধি। অথচ একটি দুটি গান পাইলে মাঠের ঘুম ভাঙিত। সহজ হইত মাটি। দেখো কী আবেগ করিয়া আসিতেছে দিগ্বলয় জুড়িয়া। কত করুণ ওই সজল। হে অপঠিত…