আহত বাস্তব – তনুজা চক্রবর্তী

আহত বাস্তব – তনুজা চক্রবর্তী

যতবার পুরুষ কে মানুষ ভাবতে চেয়েছি ততবার গোল খেয়েছি! প্রতিপক্ষ বড়ো কমজোরি , শব্দের খেলায়ও নারীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে, অতর্কিতে আক্রমণ জারি রাখার চেষ্টা চলতে থাকে ! জন্মদাতা ও পরাজয়ে আনন্দ পায়, নারী দিবসের শুভেচ্ছা জানায় ! জন্মদাত্রী আনন্দ পায় শুধুমাত্র , সইতে জানে বলে।

জাগরণ – দীপন বন্দ্যোপাধ্যায়

জাগরণ – দীপন বন্দ্যোপাধ্যায়

সৃষ্টি-সেরা নারী-রে তুই, তবুও অনাহূত, বোঝা ভেবে আজন্ম অপমান, আজও অব্যাহত। মাটির প্রতিমা পুজিতা হন, জ্যান্ত প্রতিমা লাশ, বিকৃত পুরুষ, বিকৃত বাসনা, ঘটায় সর্বনাশ। পুরুষ-জাতির ভোগ্যা হয়ে, হারাস নিজ শরীর, মৌন পৃথিবী দেখে শুনে, স্বার্থ মগ্নেই বধির। তিন কিংবা তিরাশি হোক, কেউই পেলনা ছাড়, মানবরূপী দস্যু পশুর, অবাধ অত্যাচার। ‘ধর্ষিতা’ তকমা নিয়ে-রে তুই, সম্মান খুঁজিস…

রাঁধুনি – সংস্কৃতি ব্যানার্জী

রাঁধুনি – সংস্কৃতি ব্যানার্জী

আলো থেকে অসুখের দিকে যেতে আস্ত এক সরাইখানা, আঁশটে, স্যাঁতস্যাঁতে পাকানো তেলছোপ। লেগে যেতে যেতে সম্পর্কের তলায় আরো মোচড়, ওপর থেকে নিচ। ধিমে আঁচে স্মৃতি রেঁধে যাই রোজ পাত পেড়ে বসে থাকে অভুক্ত সংসার।

শুধু এক মুঠো ভাতের আশায় – কৌশিক দাস

শুধু এক মুঠো ভাতের আশায় – কৌশিক দাস

আমি এক মুঠো ভাতের আশায় আজ আমি এই পথে…………. খিদের জ্বালায় বিধবার থানে লাগিয়েছি রঙ, সতীপনার জাল ছিঁড়ে দারিদ্রটাকে মাড়িয়ে এসে গেছি এই মোহল্লাদের জগতে। এখানে ভাত আছে কাপড় আছে আছে ভুঁড়ি ভুঁড়ি টাকা, নেই শুধু মনসত্ব আর নেই নারীর ইজ্জত, আছে যৌনের রেশ নেই প্রেমের আবেশ। শুধু এক মুঠো ভাতের আশায় আজ আমি এই…

বিস্ময় – মৌমিতা পাল

বিস্ময় – মৌমিতা পাল

 আজন্মকাল থেকে তুমিতো জানতে  -‘এ বাড়ি তোমার নয়!’ প্রকৃতির নিয়মে তারপর ক্রমাগত বেড়ে ওঠা, শখের বাগানের অযাচিত -অনাহুত  আগাছার মতো। পুতুল খেলার ছলে শেখোনি কি! এ ধরনীর সামান্য ধুলিকনাতেও তোমার নেই কোনো দাবী, নেই অধিকার। সমস্ত জীবনব্যপী তুমি শুধু বাঁধা ক্রীতদাসী। এ সমাজ,এ সভ্যতা,এ বিশ্বায়ন, এই বিশাল মহাবিশ্বের এক বিন্দুও  তোমার নয়! জেনেছো তো সব…

নারী দিবস শুধু একদিনের নয় – অর্পিতা ভট্টাচার্য্য

নারী দিবস শুধু একদিনের নয় – অর্পিতা ভট্টাচার্য্য

 আন্তর্জাতিক নারী দিবসটা আশা করি সবাই খুব উৎসাহের সাথে পালন করেছেন, কি তাইতো? অবশ্য আমি কিন্তু ভুলে গেছিলাম একদম; সোশ্যাল মিডিয়া গুলো এত হাকডাক করছিল ওই দিনটাকে নিয়ে- তারপর মনে পড়ে গেছে। এতে হয়তো আপনারা ভাবতেই পারেন, একজন নারী হয়ে নারী দিবসের কথা ভুলে গেছি! তা অনেক কিছুই ভাবতে পারেন…তবে তার জন্য আমার তরফ থেকে…

একলা নারী – সোহিনী সামন্ত

একলা নারী – সোহিনী সামন্ত

ধ্রুবতারার জ্বলজ্বলে অনুভূতিতে লক্ষ্যভেদের ব্যাপক আশা, পথের মোড়ে একলা হেঁটে চলার বিশেষ অভিধান , উন্মুক্ত করে পাখির মতন স্বাধীন অভিব্যক্তির অক্লান্ত নেশা…… স্যাঁতস্যাঁতে চৌরাস্তায় , কাঁকড় বিস্মৃত লালমাটি………… শত্রুর দামামা বাজে বকুলের অসহায়তায় …… দুর্বহ পথে একলা নারীর গৌরবের জয়গান, মুগ্ধ পলাশ ছুঁয়ে যায় একান্ত স্বাধীনতায়……।।

একটুখানি মেয়েবেলা – মধুশ্রী ভট্টাচার্য্য

একটুখানি মেয়েবেলা – মধুশ্রী ভট্টাচার্য্য

মেয়েবেলা মানে বেঁচে থাকা আর সবাইকে নিয়ে বাঁচা মেয়েবেলা মানে ঘুম থেকে উঠে সকালে কাপড় কাচা। মেয়েবেলা মানে কাউক্কে না বলে লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম মেয়েবেলা মানে হঠাৎ প্ল্যানিং দীঘা ঘুরে আসে ট্রেন। মেয়েবেলা মানে কলেজে আড্ডা টেবিল বাজিয়ে গান মেয়েবেলা মানে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকা দিনমান। মেয়েবেলা মানে ছেলেটা আমার শুধুই বন্ধু আজীবন মেয়েবেলা…

নারীর প্রতি – শাহিন চাষী

নারীর প্রতি – শাহিন চাষী

তুমি চাইলেই পায়ের শিকল ছিঁড়তে পারো নির্দ্বিধায় যেমন ছেঁড়-সেলাই সুতার। তুমি চাইলেই প্রদীপ জ্বেলে মুছে নিতে পার অবলীলায় তোমার যাবতীয় অন্ধকার। কে দেয় তোমাকে বাঁধা? কে রোখে তোমার পথ? তুমি তো আমার জীবন সত্ত্বার জ্যোতির্ময় অহংকার। সাহসিনী হও, কেটে যাবে মেঘ, বাতাসে মিলাবে অনাহুত দীর্ঘশ্বাস, দিগন্তে আসবে আলোর বাণ। তুমি জাগলেই তোমার সীমান্ত জুড়ে বসন্ত…

সিদ্ধান্ত – অনন্যা বন্দোপাধ্যায়

সিদ্ধান্ত – অনন্যা বন্দোপাধ্যায়

এই সময়টায় অফিসে প্রচন্ড প্রেশার থাকে ।একটা স্লট থেকে অন্য স্লটে চেঞ্জ হওয়ার সময়টুকু ডেস্কের কর্মীদের চূড়ান্ত ব্যস্ততার মধ্যে ফেলে রাখে । তার সাথে বিজ্ঞাপন সব কিছু নিয়ে প্রায় নাজেহাল অবস্থা । এমন সময়েই  মোবাইল ফোন টা ল্যাপটপের পাশ থেকে গেয়ে উঠলো “আলোকের এই ঝর্ণাধারায়” । রিনি চট করে ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখে ফোনের ডিসপ্লেতে …