আঁধার কাটল না, তিনি চলে গেলেন – রণজিৎ অধিকারী
|

আঁধার কাটল না, তিনি চলে গেলেন – রণজিৎ অধিকারী

আঁধার কাটল না, তিনি চলে গেলেন (শিল্পী সংগঠক লেখক শিক্ষক সনজীদা খাতুনের স্মৃতিলেখ) রণজিৎ অধিকারী ‘অবরোধ-বাসিনী’ নারী সমাজের চিত্র তুলে ধরে বাঙালি নারীকে জেগে ওঠার আহ্বান করেছিলেন রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, সেই বিশ শতকের গোড়ায়। তখনো বাঙালি মুসলমান সমাজে জাগরণ আসেনি। সলতে পাকানো সবে শুরু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠল মুসলিম সাহিত্য সমাজ আর তাদের…

ঋত্বিক ঘটক স্মারক বক্তৃতা এবং গ্রন্থপ্রকাশ অনুষ্ঠান

ঋত্বিক ঘটক স্মারক বক্তৃতা এবং গ্রন্থপ্রকাশ অনুষ্ঠান

আপনপাঠ পত্রিকা এবং প্রকাশন উদ্যোগ ১৮ জুলাই ২০২৪ পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির জীবনানন্দ সভাঘরে গত ১৮ জুলাই ২০২৪-এ আপনপাঠ পত্রিকা ও প্রকাশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল প্রথম ঋত্বিক ঘটক স্মারক বক্তৃতা। আপনপাঠ পত্রিকা এবং প্রকাশনের কর্ণধার সন্দ্বীপ নট্ট অনুষ্ঠানের সূচনায় জানালেন, বিশ্বচলচ্চিত্রে ঋত্বিক ঘটকের অবিস্মরণীয় অবদানকে মনে রেখে এই স্মারক বক্তৃতা এরপর থেকে প্রতি বছরই নির্দিষ্ট দিনে…

বার্বাডোজে মিশে গেল মধ্য রাত্রের কলকাতা —  সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়

বার্বাডোজে মিশে গেল মধ্য রাত্রের কলকাতা — সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়

রাত বারোটা বাইশ। পার্ক সার্কাস মোড়ে বাইক আর চার চাকা গাড়িতে জাতীয় পতাকা নিয়ে উল্লাসে মত্ত একদল যুবক। একের পর এক বাইকে করে ছুটে চলেছে অল্প বয়সী ছেলেদের দল। তারা হয়ত আজ সারা রাত ঘুরবে। ভবানীপুরের পদ্মপুকুর এলাকায় রাত বারোটা পঁচিশে বেশ কয়েকটা গলির মুখে অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদের দল দাঁড়িয়ে। কাঠের বেঞ্চ পেতে পতাকা টাঙ্গানোর…

আশাকর্মী – রিনি গঙ্গোপাধ্যায়

আশাকর্মী – রিনি গঙ্গোপাধ্যায়

সকাল থেকে এই নিয়ে প্রায় দশটা ঘর ঘোরা হয়েছে। কম বেশি প্রত্যেকটা বাড়িতেই একই কথা বলতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যোজনা, পোলিও, প্রেগনেন্ট মায়েদের নানা নির্দেশাবলী, কন্ডোম, আইপিল, কন্যাভ্রূণের জন্মের খরচ সরকারের ইত্যাদি ইত্যাদি। অবশ্যই শর্তাবলী প্রযোজ্য। সুমিত্রার কষের পাশে ফেনা জমে উঠেছে। জল তেষ্টা পেয়েছে। খিদেও লেগেছে একটু। সেই কখন ঘর থেকে একটু চিঁড়ে লেবু দিয়ে…

ভারতের নাস্তিক নিরীশ্বর ঐতিহ্য – অমিতাভ ভট্টাচার্য

ভারতের নাস্তিক নিরীশ্বর ঐতিহ্য – অমিতাভ ভট্টাচার্য

ভারতে এখন হিন্দু পুনরুত্থানের চেষ্টা চলছে । ধর্মের পুনরুত্থান পৃথিবীর কোথাও ভালো কাজে লাগে না । আফগানিস্তানের তালিবানরা তার প্রমাণ । ধর্মীয় পুনরুত্থান হলে পিছিয়ে যাওয়া অনিবার্য । বলা হচ্ছে ভারত অধ্যাত্মবাদের দেশ, ধর্মের দেশ । সেটা সকলে বেশ খাচ্ছে । পালে হাওয়া আছে তাই ধর্মরক্ষার নিরাপদ আন্দোলনে অনেকেই নাম লিখিয়েছেন । সেই সুযোগে ছড়ি…

|

হৃদয়ের ঠিকানা হারিয়ে গেছে – অরবিন্দ উজির অনুবাদ : তপন মহন্ত

[লেখক পরিচিতি: অরবিন্দ উজিরের জন্ম ১৯৫৯ সালে। বোড়ো সাহিত্যের বিশিষ্ট এই কবির কবিতায় একজন চিত্রবাদী এবং প্রতীকবাদীর পরিচিতি ফুটে ওঠে। ২০১০ সালে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন ‘Swdwbni Swler’ শীর্ষক কাব্যগ্রন্থের জন্য। তাঁর আরও দুটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। Stream of consciousness শৈলীতে বেশ কিছু ছোটোগল্পও লিখেছেন। তাঁর কোনো ছোটোগল্পের সংকলন প্রকাশিত না হলেও বিভিন্ন সংকলন গ্রন্থে…

বেলারানির গল্প বা শেষ বড় ম্যাচ – অর্ণব রায়

বেলারানির গল্প বা শেষ বড় ম্যাচ – অর্ণব রায়

এদিকের রাইট উইং-এর থেকে বলটা একটা সোজা ফলো থ্রু তে মাঠ ক্রস করে ওদিকের পেনাল্টি বক্সের কাছাকাছি গিয়ে পড়ার আগের বেলারানি তার দৌড় শুরু করেছিল। এদিকের স্ট্রাইকার ছেলেটি একটু বেশীই ছটফটে। এর আগে বার দুয়েক অপোনেন্টের পেনাল্টি বক্সের কাছে কাছে ঘুরঘুর করছিল। ডিফেন্ডার গোলকিপার হাত নেড়ে চেঁচিয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সেসময় ওই এলাকায় বল…

হারানো লজেন্সগুলো – রূপায়ণ ঘোষ

হারানো লজেন্সগুলো – রূপায়ণ ঘোষ

ছেলেটার বয়স পাঁচ কি ছয়! ভরদুপুর-প্রাচীন ভাড়া বাড়ির কাঠের দরজা ঠেলে সে নেমে পড়ল নুড়ি-মোরাম বিছানো পাড়ার গলিতে। ছোটো ছোটো পায়ে লম্বা নির্জন গলিটা পেরিয়ে সে এসে দাঁড়ায় একটা মনোহারী দোকানের সামনে। হরেকরকম জিনিসের দোকান। সেখানে কাচের বয়ামে থরে থরে সাজানো কতরকমের লজেন্স। ছেলেটা জুলজুল করে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে আর মাঝে মাঝে হাফ-প্যান্টের পকেটে হাত…

অয়ন মুখোপাধ্যায়ের পাঁচটি কবিতা

অয়ন মুখোপাধ্যায়ের পাঁচটি কবিতা

আত্ম উপলব্ধি প্রস্থছেদের কোনো জানালা- আরো কিছু নির্বাসনের নদী। শব ছুঁয়ে আছে ঢেউ। চিতার আগুন থেকে স্ফুলিঙ্গ; অস্থি কলস ভেসে যায় । রাতের অন্ধকার -নিস্তব্ধ নক্ষত্র -কেউ নেই…….. নির্বাসন। আর কেউ জেগে উঠবে না। অপলকের কাছাকাছি …. মনুষ্যত্বের নাম প্রেম। স্মৃতি তর্পনে রাত্রি নামে অন্ধ হওয়ার পর। আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি আমার চারপাশের বেঁটে মানুষের…

ভোজ কয় যাহারে (সপ্তদশ পর্ব) : ওল- সত্যম ভট্টাচার্য

ভোজ কয় যাহারে (সপ্তদশ পর্ব) : ওল- সত্যম ভট্টাচার্য

সেই যে আছে, যা আমরা বঙ্গসন্তানেরা সবাই প্রায় পড়েছি ছোটবেলায়, বর্ণমালা মুখস্থ করবার সময়-ওল খেও না ধরবে গলাঔষধ খেতে মিছে বলা… এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই ছড়াটির লেখককে কোনোদিন কি ওল খেয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিলো? হয়তো তাই। না হলে কেন এমন একটি চমৎকার সবজিকে তিনি এমন ভাবে দেগে দেবেন যাতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বড় হবে একটি…