
Similar Posts

একুশ প্রাণহরা এক আকাশ – রিজোয়ান মাহমুদ
বায়ান্নর ঘুড়িটি আমার ছিল।রক্তঝরা মাটির চিৎকারে জন্মের ফাগুন — সে-ওআমাদেরই ছিল। ভাষা সে আমার মা বেঁধেছে বর্ণের অনুরাগ। ভাষাকে দেখেছি অর্থাৎ আমার মা’কে হেঁটে যেতে দেখেছি গহীন অরণ্যের দিকে। ভাষা আকাশের বুকে কবুতরের পালক হলে উড়িয়ে দিয়েছি মেঘ ও রৌদ্রে।জব্বার ও বরকত সালাম রফিক-এর ক্ষত বুক লাল অক্ষরের রোদ নিয়ে বসে আছে সারাদিন — ওঁরা…

সিন্টু প্রধানের পাঁচটি কবিতা
পোশাক তোমার চাদরটার সাথে আজ দেখা হয়েছিল। এই শীতের সকালে ওই একটা চাদর কতজনের গায়ে ঘুরছে তা আমার জানা নেই। জানা নেই ঠিক এই মুহূর্তে কতজন রোদে শুকোতে দিয়েছে চাদরটা। কেবল দেখা হয়ে যায়… তোমার পাজামাটার সাথে, ওড়নাটার সাথে, চাদরটার সাথে, অন্য অন্য শরীরে। তোমার প্রতিটা চুড়িদার গোছানো আছে আমার মাথার ভিতর। তারা কখনো পুরনো…

ছটি কবিতা – গৌতম চৌধুরী ও দেবদাস আচার্য
দেবদাস আচার্যর কবিতা প্রাণ-গঙ্গা এত প্রাণচারিদিকে বিন্দু বিন্দু সহস্র প্রাণচিনি বা না চিনিদেখিঝরে পড়ছে যুগ যুগ ধরে ক্রমাগতযেন বৃষ্টি ঝরে অবিরত প্রাণের ভিতরে আমি আত্মহারাপ্রাণ প্রবাহে ডুবেস্নান করি অনন্ত অসংখ্য বিদ্যুৎ কণিকারছুটন্ত ভাসমান ঢেউপ্রণম্য প্রভুমৃত্যুমৃত্যু পরম শক্তিমান ও অমরতোমার পুচ্ছের গতিময় তারকাগুলিরঢেউজীবনকে ধারণ ও বহন করে করেনিত্য ধাবমান। গৌতম চৌধুরীর কবিতা নিঃসঙ্গ কাফেলা ১. অমোঘ…
বৈশাখ – জ্যোতির্ময় রায়
আদুরে রোদে পোড়া মুখ ।সে সুখে… বৃষ্টি কিনেছে মাটি ।শয্যাগত তার ভীষণ মন খারাপের অসুখে ।। এরপর চেনা নাম ধরে ডাকে কেউ দোপাটি’র ছাতা খুলে।শরীর ভেজায় সেও।। ডাকপিয়নে পরে থাকে চিঠি।চলে গেছে ফাল্গুন , আমি ভাবি সোহাগী রাত ,তার হয়েছে খুন।অন্য সে’আগুন।। কেন ভুলে যাই এ অবহেলা , কেন ভুলে যাই দাগকাটা তার বিষন্ন বিকেল…

শুভঙ্কর দাসের কবিতা
সুড়ঙ্গস্থাপন ১আগুনের ভেতর থেকে ছাইমাখা গাছগুলোবেরিয়ে আসছে, নগ্ন সন্ন্যাসেরর মতোযা উড়ছে বেলুন, শিকড়ের দিন হয়েছে গত!২অথচ একদিন শিকড়ের শ্বাসে জেগে উঠত মাটিমাটিই তো দিত নারীর স্তনের আকার অথবাপুরুষের শরীরের ভেতর শরীরজন্মর জল্পনা অলৌকিক, বাসি খই-গুড়-ক্ষীর!৩ক্ষীরের পুতুল কবে আবার রক্তমাংসের হবেবদলে দেবে নিসর্গচিত্র, নদী-চাঁদ-পারিজাত বাগানপেটে তার রঙের পেনসিল বাঁধাচাই না প্রেমপ্রস্তাব যাকে দিই, সে হোক রাধা!৪দরজার…

ছাপ।বৈধতা – কৃষ্ণেন্দু দাসঠাকুর
সময়ে, সময়ে গলাগলি হয় চেঞ্জ হয়ে যায় লাল আলো জ্বলা গলি যন্ত্রণা দুগালে জড়িয়ে মেয়েটির বিপরীত মুখে বয়ে যাওয়া স্রোতে লেপ্টে যায় কালো রঙ নিজের সামনে আয়না, কোনদিন দাঁড়ায়নি তবু অবৈধ শিশির গুড়ো মিশে যায়– মেয়েটির অবুঝ সবুজ শিরায় পলাশ নামক শব্দ তালুর রেখায় পুরেনি মাখতে চাইনি আবির।বসন্ত এসেছে লোমকূপে তার ঝুরো ঝুরো নিসপিসে হাত…