Similar Posts
কারন বিপ্লব একটি মিথ – ঔরশীষ ঘোষ
কিছুতেই বোঝাতে পারছি না আমি কী ভীষণ যন্ত্রণায় আছি: লেখার খাতাও দেখি কলম ছোঁয়ালে লাল হয়ে যাচ্ছে এক লহমায় পাথর চিবিয়ে যে পেট ভরে না সে কথা বলি কাকে, এখন সবাই পাথর চিবিয়ে দিন কাটাচ্ছে আমার মত শুধু মনে হয়ে যে যার বাড়ির রাস্তা ভুলে একদিন এক খোলা মাঠে জড় হবে আর স্লোগানে না- কবিতায়…
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়ের পাঁচটি কবিতা
বসন্ত পূর্ণিমা রোজ সকালকে বলছি আকাশের নামান্তরআমার তোমার মাঝের এই এক তীব্র প্রত্যয়এভাবে আমি ও তুমির সাংসারিক মিঠাতানবলি মাতৃত্ব বুঝিয়ে দাওবলে যাই দাম্পত্য কেন-নাবলা যায় না নীরবতাহাক্লান্ত বসন্ত!পূর্ণিমা খাচ্ছি এখন মাঝরাতক্ষুধা, অশ্রুর অস্তরাগএ বিচলন সময়ের হতদ্যমমাংস রান্নার রংটা তিতকুটেমাংস রান্নার স্বাদটা এমারল্ডবদ্ধ উঠানে মঞ্চ আবির, দোলের যাত্রাএত সোচ্চার! যেন নাভির উচ্চারণহাঁটু ভাঁজ করে ক্ষমা চাইছি…
পার্থপ্রতিম মজুমদারের পাঁচটি কবিতা
লাহিড়িপুর উৎসর্গঃ ৺প্রশান্ত রায়চৌধুরী কতখানি দূর? সে লাহিড়িপুর? আজও কি সেখানে ভয় এসে নামে? জোছনার আলো পড়ে নদীতীরে? লঞ্চ ছুটে যায় আঁধারকে চিরে? এইসব কথা আগে অন্তত কেউ একজন সঠিক জানত আজ সে-ও নেই পড়ে আছে হাওয়া ফুরিয়েছে আজ সব চাওয়া-পাওয়া তবু আজও আছে সে লাহিড়িপুর কত কাছাকাছি তবু কত দূর ! পরিপার্শ্ব যা তোমার…
মা – দেবলীনা দলুই
মা তোমাকে আঁকার জন্য ভাষা পাইনা আমি হাতড়ে বেড়াই, শব্দ খুঁজি কিন্তু পাইনা তোমার হৃদয়ের অনন্ত ঝারলন্ঠনকে নাম দেওয়ার শব্দ পুড়তে দাওনি কখনও দাওনি আমায় গলতে তোমার ওই দুহাত দিয়ে আমার ক্ষত যত ছিল সব নিয়েছো টেনে নিজের বুকে ঘুম পাড়িয়ে আমায় নিজে থেকেছো নিদ্রাহীন দিনের পর দিন তোমার চোখ, নাক, চুল বেয়ে নেমে আসা…
ভোরের পাখি – চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু
ভোরের পাখি ভোরের পাখি ঘুম ভাঙাতে ব্যস্ত তুমি তাইতো করো ডাকাডাকি। তোমার বুঝি ঘুম অাসে না ভালো বুঝি কেউ বাসে না তাইতো ওঠো ভোরের বেলা কিচির মিচির সুরে লাফাও তুমি গাছের ডালে বেড়াও ঘুরে ঘুরে। তোমার ডাকে ঘুম ভেঙে যায় অমনি উঠি জেগে তোমার…
স্থাবর ও জঙ্গম – সারা বসু
শুধু পিছলে যাওয়াটাই স্থির। শব্দ তুমি শব্দ তুমি চক্রবৎ। নোঙরমাত্রই যোজনা। বিপদে মোরে রক্ষা করো এ প্রার্থনা ছিলওনা দুর্বলের। কারণ বিপদের ঘাস জন্মায় না হাতের তালুতে। হাতে জব্দ, বাকিরা ভবিতব্য। দীপ্তিমান লুব্ধক দেখে পথ চলে। আমাকে তুমি নিয়ে চলো সখা,আমি পিচ্ছিল চিনিনা।