বসন্ত দেখতে এলাম। তোদের আবার বসন্ত!
চারপাশে হাড়ের স্তূপ। ঝাঁক ঝাঁক কাক উড়ছে।
চিৎকার করছে ভিখিরিরা।
কারও পরনে কাপড় নেই। হৃদয়ে হৃদয় পুড়ে ছাই
হাতে হাতে সভ্যতার থালা …
এসে আর ফিরে যাবার রাস্তা নেই
দুর্ভিক্ষে টেনে ধরছে হাত পা—
রাস্তার ধারে স্বপ্নদের বাড়ি
একবার সেখান থেকে আগুন চেয়ে আনি
চলো কেমন আছে ওরা দেখি !
আজ কোকিল ডাকার মতো শব্দ নেই
ফুল ফোটাবার মতো রং নেই
বিজ্ঞাপন লেখার মতো বাক্য নেই
আত্মগোপন করার মতো রাত্রি নেই
[কবি পরিচিতি: মঙ্গলেশ ডবরালের জন্ম হয় ১৯৪৮ সালে উত্তরাখণ্ডে। পরবর্তীতে কর্মসূত্রে দিল্লি নিবাসী। প্রখ্যাত ‘জনসত্তা’ পত্রিকার সাহিত্য বিভাগের পদে ছিলেন দীর্ঘদিন। শেষ দিকে ‘ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট’-এর পরামর্শদাতা হিসেবেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। হিন্দি সাহিত্যের প্রগতিশীল ভাবধারার এই কবির কবিতা মূলত সামাজিক অবক্ষয়, গণচেতনা তথা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। ‘পাহাড় পর্ লাল্টেন’, ‘ঘর কা রাস্তা’…
ওগো দুখজাগানিয়া ( কাদম্বরী দেবীর মৃত্যুতে কবিগুরুর একটি অসম্পূর্ণ দলিল ) রাত্রির মতো ভেসে যাচ্ছে রাত কল্পনার মুখে একচামচ সন্ধ্যা তুলে দিলাম তুমি সেই তাকিয়ে ছিলে – তোমার চোখের থেকে মুক্তা ঝরে অনুরূপ – ওগো দুখজাগানিয়া- তোমায় গান শোনাব নীরবতার কাছে ঘনিষ্ঠ হয়ে যা কিছু ছিল সে সব আমার ছড়িয়ে গিয়েছে কোথায় ছেলেবেলার সেই খেলা…
নিষ্ক্রমণ ইচ্ছের উপর রাখে ভোরের বাঁশি এই যে বাজনা বাজে আলো আঁধারের মিলিতরেখায় আর দূরে সরে যায় সমস্ত উপেক্ষা, আমার ভিতর ছড়িয়ে পড়ে নীল ধ্রুবতারা—ভাঙা ভাঙা বাদামি ত্বকের শ্যাওলা পরিত্রাণ চায়—সমস্ত নোটিফিকেশন ছাড়াই জ্যামিতিক বিন্দুরা নিষ্ক্রমণ ইচ্ছের উপর রাখে ভোরের বাঁশি সে এক অনন্ত পথের গ্রিনলাইট, ফ্লাইওভার ছিঁড়ে সাগরকোনণ থেকে উঠে আসে গুচ্ছ গুচ্ছ ফার্ন—…
শুরু নারাণ মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু হল এই বর্ষাকাল,যূথী নাই জাতী নাই, প্রতীতি কি হবে?প্রতীতি, শব্দের মানে সহাস্য কুসুম।ঘন রাস্তা লোক ভিড় নতুন ফলের গন্ধ সঙ্গে নিয়ে বর্ষা এল সন্ধে সন্ধে,‘একটি কবিতা চাই’ বর্ষা এল শিয়ালদাবাজারবেঁটে ছাতা ত্রিশ টাকা দরদামে চমৎকার খুশি হয়ে লাফিয়ে ধরেছ যে রানিংয়ের ট্রেন,তোমাকে শোনাই এসো গ্বালিবের প্রেমিকাটি বাঙ্গালিনী ছিল এ প্রবাদ…
আহত শেকলের সুখ কেনার দিনে আমাদের পাম পাম শোক মেঘ পোষা শিকড়ে আ-কারান্ত বিসর্জন অক্সিজেনে পালক আঁকে নীলাম্বরী সুতোয় হে র বালিঢালা গোধূলি কবিতায় পুতুল ঢালে ভেসে ওঠে তিনকোনা ঝুলন বিষণ্ণ ক্যাকাফনির জোছনাহাসি একটা বিকেলও আর ফিরিয়ে দেয়নি
রাতের কলকাতা চিরমায়াবিনী। দিব্যি কেমন ন্যাকা সেজে গা এলিয়ে পড়েছিল একপাশে— যেন তাড়া নেই। জমাট অন্ধকার চিরে গাড়িগুলি উত্তর থেকে দক্ষিণে চলে গেল হেঁকে হেঁকে… একবার ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল না অব্দি! হঠাৎ কী মনে হতে ধীর পায়ে হেঁটে হেঁটে চলে এল এদিকে! কত অস্বাভাবিক সহজ সে চলা। কোত্থেকে কি গন্ধ- টন্ধ মেখে এসেছে, ডুবিয়ে মারবে…
