চিঠি – অমিতাভ গুপ্ত
এই নাচিকেত অগ্নিকে চেনো, কমরেড
এই নাচিকেত অগ্নিকে চেনো, কমরেড
ধ্রুবতারার জ্বলজ্বলে অনুভূতিতে লক্ষ্যভেদের ব্যাপক আশা, পথের মোড়ে একলা হেঁটে চলার বিশেষ অভিধান , উন্মুক্ত করে পাখির মতন স্বাধীন অভিব্যক্তির অক্লান্ত নেশা…… স্যাঁতস্যাঁতে চৌরাস্তায় , কাঁকড় বিস্মৃত লালমাটি………… শত্রুর দামামা বাজে বকুলের অসহায়তায় …… দুর্বহ পথে একলা নারীর গৌরবের জয়গান, মুগ্ধ পলাশ ছুঁয়ে যায় একান্ত স্বাধীনতায়……।।
স্পষ্ট একটি মুখ। থুতনির ডানদিকে একটা উঁচু মতো তিল। সাদা মলিন শাড়ি পরে, এলোমেলো রুক্ষ কাঁচা-পাকা চুলে মাথায় আধ-ঘোমটা দিয়ে স্বপ্নে এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন করুণা মাসিমা। করুণা মাসিমা বলছিলেন নিজের কথা। বলতে বলতে ইস্কুলবেলায় খেলাধুলার কথাও বলছিলেন। উদাস স্বরে করুণামাসিমা বলছিলেন – অন্ধ তো সবাই। অন্ধকারের ভেতর আলোর আসা-যাওয়ার একটা পাতলা প্রলেপ লেগে থাকে। লালচে একটা…
নিয়নের আলো ফ্লুরোসেন্ট লাল গোলাপ আকাশের চেয়ে অনেক নীচে আকাশ তারাদের চেয়ে অনেক নীচে তারামণ্ডলী স্বপ্নের চেয়ে স্বপ্নালু সুখানুভূতি। সবটাই বেশ সাজানো সবটাই বেশ মাপজোক করা সুন্দর অতিরিক্ত আলোয় অন্ধকারকে আড়ালের প্রয়াস স্পষ্ট অতিরিক্ত আমোদে আক্ষেপ ভোলানোর ব্যর্থ চেষ্টা ঠিক কোনো রমনীর দুঃখ চাপা মেকি হাসির মতন। বড় বেশি সাজানো পার্কস্ট্রীটে একটা অগোছালো শিশুর বেমানান…
ঘ্রাণ নেবো – নাসিকা উঁচিয়ে টানি; পৃথিবী কি চিরকাল অঘ্রাণেই থাকে? আমাকে তো অঘ্রাণের ধান ডেকে ফিরে শীতের আলস্য কিছুতে ছাড়ো না তুমি আমার সে শস্যদানা উঠে না দেউড়ি ঘরে সোমলতা জোছনায় গড়াগড়ি যায়, এভাবেই বুঝি পৌষমাসে সর্বনাশ আসে… দ্বিখন্ড পঞ্চমী চাঁদে ভেজা চুমু লেগে থাকে গায়ে সর্বনাশা অশ্রু জলে ভাসিয়ে দেয় ছাতার শরীর
আদুরে রোদে পোড়া মুখ ।সে সুখে… বৃষ্টি কিনেছে মাটি ।শয্যাগত তার ভীষণ মন খারাপের অসুখে ।। এরপর চেনা নাম ধরে ডাকে কেউ দোপাটি’র ছাতা খুলে।শরীর ভেজায় সেও।। ডাকপিয়নে পরে থাকে চিঠি।চলে গেছে ফাল্গুন , আমি ভাবি সোহাগী রাত ,তার হয়েছে খুন।অন্য সে’আগুন।। কেন ভুলে যাই এ অবহেলা , কেন ভুলে যাই দাগকাটা তার বিষন্ন বিকেল…
শিথিল পেশির মেধাস্বত্ব এইমাত্র মৃত শ্রমিকের পিঠে, নামুক বৃষ্টি মাঠ নিঃশ্বাসে নেই অনুতপ্ত ক্রেন নিঃশ্বাসে নেই তলপেটের ঘ্রাণ বৃষ্টির জল ছুঁয়েছে কীর্তিহাট পেশিতে পেশিতে ইঁটের তাগাড় নুনমাখা ক্যাম্পখাট ডানাছিঁড়ে মরা মাসে একা একা পাখিদের চেয়েও উঁচু দিয়ে উড়ে বাতাসে দিয়েছে ছ্যাঁকা শূন্যের সব দুঃখকীর্তি ভরে বটের শিকড় এলেবেলে গেছে মরে চাতকের ঠোঁট, ঠোঁটের খিঁচুনি, উনুনের গায়ে স্যাঁকা নরম ঘাসের যেতে বসেছিল স্তম্ভবিন্দু…