চিঠি – অমিতাভ গুপ্ত
এই নাচিকেত অগ্নিকে চেনো, কমরেড
এই নাচিকেত অগ্নিকে চেনো, কমরেড
তুমি পেরেছ, অজুহাতের ওপর ভর করে গড়ে তুলতে আরেক অজুহাত। ব্যর্থতাগুলো উঁকি দিচ্ছে এদিক-ওদিক থেকে… শিকড় গাড়ছে, প্রকান্ড একটা ভয় উপড়ে ফেলতে পারিনি ডানা ঝাপটে পারিনি উড়ে যেতে। তুমি চলে গেছ যেভাবে চলে যায় এক একটা ঋতু…
১.রোদ হলুদ বেড়ালের মতো জানলা দিয়ে ঢুকে আসে হিরন্ময় আভাপুড়ে যেতে যেতে, অন্ধকার কেটে কেটে প্রকট হনসূর্য দেবতা চলে যাওয়ার আগে এসো প্রণাম করি পবিত্র হৃৎস্পন্দনে ২.অসুখ মনখারাপের দিনে ভীষণ ছোঁয়াচে বসতহীন পাখিটির মেঘবাদলাপুরের সেতু ছুঁয়ে গুমোট আকাশ, চুপি পাখিরালয়সানাইয়ের করুণ সুরের মতো দরদ। ভিজে যাচ্ছে আনন্দনগর ও জন্মান্তর ৩.ভাঙন জিরানকাটের চিহ্ন নিয়ে শরীর। ভেঙে…
পৃথিবী চাটছে একটা ধূষর রোদ সকালের কৃষ্ণচূড়া ঝলসে মৃতপ্রায় কফিন জিরিয়ে নেয় ঘাসের ছায়ায়; ঘাসেরা বড়ই নির্বোধ! ধারাল মাঞ্জা,উড়ন্ত ঘুড়ি ছাদ নয়,আকাশ হবে ছিনতাই, হিটলারেরা নাড়াচ্ছে লাটাই তাই ধফ্ করে থেমে গেল তোমার তুবড়ি। ঝকঝকে প্রাসাদ,বিজয় উল্লাস ম্যাহেফিলে জীবন ষোলোআনা, শুধু প্রাসাদই জানে তার ইতিহাস পায়রাগুলো যে আর বসে না!
হ্যাঁ রে মরদ, বাসবি ভালো চটকে খাবি সুখ? এক বর্ষা কদম গন্ধে ভরিয়ে দিবি বুক? রাতবিরিতে জানলা খুলে উড়িয়ে দিবি ডানা? কাকের বাসায় আসবি রেখে কোকিল সুরের ছানা? হ্যাঁ রে মরদ নিজেই আবার হবি আকাশ বুক? চাঁদের আলো হতে দিবি এক পৃথিবী সুখ?
না বলা কথাগুলো হয় “কবিতা” নয়তো “গল্প” হয়ে ওঠে একান্ত নিজেরই খেয়ালে.. সম্পাদকের খোজে ,তোমাদের ভালবাসা প্রেরণা যোগায় আমার “লেখা” জীবন বড় বিচিত্র ,জন সমুদ্রের মেলা খাটি মানুষের বড়ই অভাব সমাজে হিংসা, পরনিন্দা,কুটকাচালি, হানাহানি , দাংগা স্বাথপর ও যান্তত্রিকতা মানুষের মনে নেই সৌহাদ্য, সম্প্রীতি ও সহনশীলতা মনীশীদের উক্তি আজ নীতি কথা নেই ভায়ে ভায়ে মিল…
ধূ ধূ বালুচর জুড়ে শুধুই স্বপ্নীল কাব্যময়তার আবেশ। পিছুটানহীন সম্পর্কেরা নিঃশব্দে কথা কয় গভীর রাতে। জোছনার জলে স্নাত স্বপ্নগুলো আঁকড়ে ধরতে চায় যন্ত্রণাকে। ছাতিমের রেণু মেখে অভিমানগুলো খুঁজে চলে নিশ্চিত উষ্ণ বুক, রূপকাথারা নীল মেঘের সিঁড়ি বেয়ে মিশে গেছে অচেনা দিকশূন্যপুরে।মেঠোপথের করুণ সুর পাখির ডানায় ভর করে উড়ে যায় সাগরের পথে, মিলতে চায় ভায়োলিনের হৃদয়তন্ত্রীতে।…