অবচেতন মনের রূপকার তমাল বন্দ্যোপাধ্যায় – ত্রয়ী চ্যাটার্জী

অবচেতন মনের রূপকার তমাল বন্দ্যোপাধ্যায় – ত্রয়ী চ্যাটার্জী

শেয়ার করুন

বিশ্ববরেণ্য সত্যজিৎ রায় পরিচালিত চলচ্চিত্র “নায়ক” মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬৬ সালে। সেই সিনেমাতে একটি বিখ্যাত ডায়লগ আছে– “মার্কস আর ফ্রয়েডের যুগ ভাই…নো পরজন্ম…নো প্রভিডেন্স।” গতানুগতিক মূল্যবোধকে কষাঘাত করে একধাক্কায় আমাদের চিন্তাভাবনাকে  অন্য এক বাস্তবতায় এনে ফেলে এই কথা। চলচ্চিত্রের সেই সাদা-কালো যুগ আমরা পেরিয়ে এসেছি অনেককাল আগেই। বিনোদনের রঙিন দুনিয়াকে বাস্তবে এনে দিয়েছে গ্লোবালাইজেশন। ব্যবহারিক জীবনের সাথে পাল্লা দিয়ে বদল ঘটেছে ব্যক্তি মানুষের মনস্তাত্ত্বিক পরিকাঠামো তথা জীবনদর্শনের। গাওদিয়ার শশি ডাক্তার আর কুসুমের কাহিনিও তাই আজ অন্যরকম। কেমন সেই কাহিনি তা জানতে গেলে পড়তে হয় কথাসাহিত্যিক তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা।
কৃষ্ণনাগরিক তমাল বন্দ্যোপাধ্যায় (জন্ম ১২জুলাই, ১৯৭৮)-এর প্রথম গল্প প্রকাশিত হয় ২০০১ সালে ‘মুদ্রা’ পত্রিকাতে। ছাত্রজীবন থেকেই তার সাহিত্য চর্চার সূত্রপাত। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে তিনি কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। ‘দেশ’ পত্রিকায় ২০০৯-এ প্রকাশিত ‘বাবা’ গল্পটি তাঁর সাহিত্য জীবনে আলাদা মাত্রা আনে। তমালের প্রথম উপন্যাস ‘মায়াকাচ'(২০১১) দেশের শারদীয় সংখ্যাতে প্রকাশিত হয়। এছাড়া ‘অশরীরী’ প্রকাশ পায় গাঙচিল থেকে। ‘মর্মমেঘ’, ‘ঘাতক’, ‘কেল্লার গুপ্তধন’ প্রকাশ পায় আনন্দ পাবলিশার্স থেকে।
‘মায়াকাচ’ উপন্যাসটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ২০১২ সালে। কাহিনি বয়ন ও চরিত্রনির্মাণের দিক থেকে এই উপন্যাসটি বাংলা সাহিত্যের বিরল সৃষ্টি।কৃষ্ণেন্দু একজন সাহিত্যকর্মী। মফস্বলে তার বেড়ে ওঠা। কল্পনাপ্রবণ, আত্মকেন্দ্রিক শুভেন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে এক বৃহত্তর জগতের সম্মুখীন হয়। সেখানেই সে সহপাঠিনী হিসেবে পায় নন্দিনীকে। কুদর্শনা, রুক্ষ, বিশ্রী চেহারার মেয়ে নন্দিনী সম্পর্কে কৃষ্ণেন্দুর অনুভূতি— “এইরকম নারী ইন্দ্রিয়ের কাছে পীড়াদায়ক”। কিন্তু নানা সময়ে যাবতীয় সমস্যার দায় সামলে এই নন্দিনীই একদিন কৃষ্ণেন্দুর কাছে প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের চোখে কাঙ্ক্ষিত সৌন্দর্যময়ী নারীর ইমেজ ভেঙে নন্দিনীই হয়ে ওঠে কৃষ্ণেন্দুর প্রকৃত বন্ধু। দৃশ্য-গন্ধ-স্পর্শ-লিঙ্গ-নিরপেক্ষ হয়ে যায় তাদের বন্ধুত্ব।
বাস্তব জীবন বিমুখ কৃষ্ণেন্দুর চিন্তাভাবনা ছিল তার বাবার থেকে পৃথক। জীবনের অন্তিমে পৌঁছে কৃষ্ণেন্দুর কাকাদাদু একটি ইচ্ছাপত্র তৈরি করেন যেখানে মৃত্যু-পরবর্তী দেহদান বিষয়ক নির্দেশনামা ছিল। সেই ইচ্ছাপত্র বাস্তবায়িত করার কথা দেয় কৃষ্ণেন্দু। অন্যদিকে অন্যান্য শরিকদের এড়িয়ে সমস্ত সম্পত্তি কৃষ্ণেন্দুর নামে দানপত্র করিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করে তার বাবা। এর ফলে পিতা ও পুত্রের মধ্যে দূরত্ব আরো বেড়ে যায়। ঘটনার ঘাত-প্রতিঘাতে যুবক কৃষ্ণেন্দুর মানসিক গঠনে পরিবর্তন আসে। দৃঢ়মূল ধারণা, সংস্কার অন্য রূপ পায়।
কৃষ্ণেন্দু ও নন্দিনীর মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েনকে লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন পরস্পরের পরিপূরক হিসেবে। বাহ্যিক সৌন্দর্য নারীকে পণ্য করে তোলে। তাকে তাচ্ছিল্য করে চিরকাল শিক্ষা ও আদর্শে নিজেকে মহিমান্বিত করে তুলেছিল যে নন্দিনী সেই নন্দিনীই একসময় তার কুরূপ চেহারা নিয়ে অস্তিত্বের সংকট ভোগ করে। নারীত্বের তীব্র অপমানের জ্বালা ফুটে ওঠে তার চিঠিতে— “এখন আমার আইডেন্টিটির চেয়ে বড় হয়ে উঠেছে আমি একটা খারাপ দেখতে মেয়ে।…দেহ বিক্রির বাজারেও যার রেট শূন্য।” ফলে সে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।
এরপরেই লেখক কৃষ্ণেন্দুর জীবনকে ভিন্নপথে চালিত করেন। বদ্ধমূল সংস্কার ভেঙে সে ছুটে আসে নন্দিনীর প্রাণরক্ষা করতে। সহমর্মীতা বোধে প্রেম নিবেদন করে নন্দিনীকে। কিন্তু নিয়তির পরিহাস এটাই যে সমবেদনা ও প্রেম এক জিনিস নয়। তাই কুরূপা নন্দিনীকে দেখে আর শারীরিক কামনা জাগে না। সে জোর করে মনকে বোঝায়— “প্রেম কেনই বা এত শরীরনির্ভর হবে? শরীরের কাছে এ দাসত্ব মানবতার অপমান।” যুক্তি আর ফ্যান্টাসির জগতে একই সঙ্গে বিচরণ করে চলে কৃষ্ণেন্দুর মন। ভালোবাসার এক জটিল খেলায় মেতে ওঠে সে। নন্দিনীর অন্তরের সৌন্দর্য আর তার মধ্যে রেখাপাত করে না। নারীদেহের কুশ্রী চেহারার উপর চলতে থাকে তার কল্পনার ছেনি হাতুড়ি। তারপর একসময় এই অবচেতন মনই প্রতারণা করে বসে। শারীরিক মিলনের চরম আনন্দের মুহূর্তে নন্দিনীর কাছে ফুটে ওঠে অমোঘ সত্যি। ফ্যান্টাসির জাল ছিন্ন হয়। মিথ্যে প্রেমের অভিনয়ের শিকার হয়ে আর আত্মহত্যা নয়, কৃষ্ণেন্দুর প্রতি ঘৃণাই তাকে নতুন করে বাঁচার শক্তি জোগায়।
২০১৪-তে প্রকাশ পায় তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয় উপন্যাস ‘ঘাতক’। আত্মকথনের ভঙ্গীতে এটি রচিত হয়েছে। এই উপন্যাসে লেখক ফ্র‍য়েডিয়ান মনোবিকলনের রূপকে বিশেষ মুন্সিয়ানার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন। এই কাহিনির কথক একজন ষাটোর্ধ বৃদ্ধ। ভাই, ভাইয়ের বউ তাদের পুত্র ও পুত্রবধূকে নিয়ে সুন্দর একটি পরিবার। আকস্মিক দুর্ঘটনায় ভাইপো অরুণাভ-র মৃত্যু হলে বাড়িটি পরিণত হয় মৃত্যুপুরীতে। বাকি মানুষগুলি বেঁচে থাকে জীবিত লাশের মতো। কিন্তু সদ্য বিধবা যুবতি অহনা পারিবারিক দায়িত্ব পালনে অবিচল। গল্পের কথক পরম সহমর্মীতায় তার এই করুণ অবস্থাকে স্বাভাবিক করার চেষ্টায় মেতে ওঠেন। কিন্তু তার মনে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। একদিকে মনে হয় অহনাকে পাত্রস্থ করা প্রয়োজন, অন্যদিকে পুরানো ঘুণধরা সংস্কার তার পথরোধ করে দাঁড়ায়।
এই দ্বান্দ্বিক অনুভূতিই শুধু নয়, কথক নিজেই উপলব্ধি করেন তাঁর মানসিকতার এক গোপন চাহিদা, সামাজিক আদর্শের সম্পূর্ণ বিপরীতে যার অবস্থান। অবচেতন মনের গোপন সেই আকাঙ্ক্ষা  শিকড় বিস্তারের অনুকুল পরিবেশ পায় অহনা বিধবা হওয়াতে। পৌরাণিক গল্পের যযাতির মতো কথক হৃত যৌবন ফিরে পেতে ব্যাকুল হয়ে ওঠেন।
কিন্তু প্রকৃতির নিয়মেই স্থান কখনো শূন্য থাকে না। পরিবারের সদস্যদের আনুকূল্যে দীপ্তেশ এগিয়ে আসে অহনাকে সাহচর্য দিতে। আর গল্পের কথক নিজেকে এই যুবকের প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে নিয়ে এক অদ্ভুত প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠেন। তার কল্পনার জগৎ অধিকার করে থাকে অহনা।
মায়াকাচ, ঘাতক দুটি উপন্যাসেই আমরা পেয়েছি ফ্যান্টাসির জগৎকে। বাস্তবের অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষা দিয়েই তৈরি হয় এই স্বপ্ন-কল্পনার জগৎ। একবিংশ শতাব্দীর এই পৃথিবী আর তার মানুষগুলো এমন এক সমাজবাস্তবতায় বাস করে যেখানে ভালো-মন্দ, বৈধ-অবৈধ, ন্যায়-অন্যায় এই পরস্পরবিরোধী শব্দগুলি চরম আপেক্ষিকতায় বিধৃত। এই অতিআত্মকেন্দ্রিক ব্যক্তিস্বাতন্ত্র‍্যের যুগে মূল্যবোধ শব্দটিও তার নিরপেক্ষ অবস্থান হারিয়ে ফেলেছে। এরকম এক সময়ের প্রতিনিধি হিসেবে কথাসাহিত্যিক তমাল বন্দ্যোপাধ্যায় চেতন ও অবচেতন মনের টানাপোড়েনের বাস্তব রূপটি তাঁর লেখাতে অঙ্কন করতে বদ্ধপরিকর। 
‘ব্রাহ্মণী’ উপন্যাসের উপজীব্য ক্ষয়িষ্ণু ব্রাহ্মণ সমাজ। এই উপন্যাসে ব্যক্তিচেতনার পরিসর থেকে লেখক মনোনিবেশ করেছেন সমাজচেতনায়। আজীবন পুরুষতন্ত্রে লালিত এই সমাজ যখন অহংসর্বস্বতার আবর্তে গতিহীন হয়ে পড়ে তখন তা কেমন আত্মধ্বংসী হয়ে ওঠে তারই প্রতিফলন ঘটেছে এই উপন্যাসে। কর্মবিমুখ, আত্মকেন্দ্রিক এক ব্রাহ্মণকে আমরা পাই এই উপন্যাসে। তাঁর স্বপ্ন একদিন দুর্গাপূজার মহার্ঘ্য দায়িত্ব তার হাতে ন্যস্ত হবে এবং তাতেই তিনি নিজের সার্থকতা প্রমাণ করবেন। অকর্মণ্য এই পুরুষের সংসারের বোঝা এসে পড়ে তার স্ত্রীর উপর। অন্তহীন পরিশ্রম করে সংসার চালিয়ে একসময় স্বামীর ইচ্ছেপূরণের জন্য তিনি শঠতা ও প্রতারণার আশ্রয় নেন। পুরুষতন্ত্রের জাঁতাকলে এমন এক নারীকে আমরা পাই যাঁর নিঃস্বার্থ বলিদানের মূল্য কোনোদিনই এই সমাজ চোকাতে পারবে না।
সামগ্রিকভাবে সমাজ চেতনার কথা হলেও এই উপন্যাসের অন্তর্বয়নও সেই মানুষের মনকে কেন্দ্র করেই। একইভাবে মনে আসে ‘উত্তর পুরুষ’ উপন্যাসের কথাও। আত্মপরিচয় সন্ধানী এই উপন্যাস। কাশীর বাঙালিদের অস্তিত্বের সংকট, ভাষাগত সংখ্যালঘুদের বিপন্নতা এর মূল বিষয়বস্তু। নিজের লেখালেখি সম্পর্কে লেখকের বক্তব্য, “স্ববিরোধ, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, অসহায়ত্ব, অক্ষমতা, স্বাদের দিক থেকে আমার গদ্য অনেকের কাছে সুখপাঠ্য মনে হলেও এর রঙ ঈষৎ ধূসর, অভিমুখ অন্তর্মুখী। নিরন্তর নিজের মনটাকে চিনতে, জানতে, বুঝতে ও তাকে প্রকাশের উপযুক্ত ভাষা খুঁজতে চাওয়াই আমার লেখার প্রধান উপজীব্য। নিজেকে চিনতে চাওয়াই সম্ভাব্য সেরা রাস্তা অন্যকে চেনারও… এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ভেতরের নিত্যনতুন যেসব ঘটনা ঘটছে, চলছে অন্তঃসলিল যেসব নাটক তাকে ঠিকঠাক শব্দ দিয়ে ধরাটাই আমার লেখার সবচেয়ে বড়ো উদ্দেশ্য ও চ্যালেঞ্জও।”

জীবনপঞ্জি

কথাসাহিত্যিক তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ১২ই জুলাই ১৯৭৮, নদীয়া জেলার সদর শহর কৃষ্ণনগরে। পিতা স্বর্গত তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মা তপতী বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুল থেকে কলাবিভাগে উচ্চমাধ্যমিক। ইংরাজি সাহিত্যে কৃষ্ণনগর সরকারী মহাবিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। পেশা শিক্ষকতা। লেখা প্রকাশিত হয় দেশ, আনন্দবাজার পত্রিকা, আনন্দমেলা, সানন্দা, সংবাদ প্রতিদিন সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। ছােটগল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ সমাদৃত হয়েছে পাঠক ও সমালােচক মহলে। লেখকের গল্প অনুদিত হয়েছে একাধিক ভাষায়। সম্পাদিত পত্রিকা ‘মুদ্রা’। ১৪১৮ বঙ্গাব্দে দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘মায়াকাচ’ উপন্যাসের জন্য সংবাদ প্রতিদিন আয়ােজিত পাঠকের মূল্যায়নে পেয়েছেন বর্ণপরিচয় সাহিত্য সম্মান ২০১১। অর্জন করেছেন নতুন কৃত্তিবাস পুরস্কার (সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় সম্মাননা ২০১৬), বাংলা অকাদেমি পুরস্কার (সােমেন চন্দ সম্মাননা ২০১৭), রােকেয়া সাহিত্য সম্মান।

সম্পূর্ণ গ্রন্থপঞ্জি

১। মায়াকাচ – আনন্দ পাবলিশার্স (২০১২)
২। মর্মমেঘ – আনন্দ পাবলিশার্স (২০১৩)
৩। ঘাতক – আনন্দ পাবলিশার্স (২০১৪)।
৪। কেল্লার গুপ্তধন – আনন্দ পাবলিশার্স (২০১৪)
৫। অসময়ের রূপকথা — আনন্দ পাবলিশার্স (২০১৫)
৬। উত্তরপুরুষ – আনন্দ পাবলিশার্স (২০১৫)
৭। ভ্রান্তিডানা – মিত্র ও ঘােষ (২০১৫)
৮। ব্রাহ্মণী – আনন্দ পাবলিশার্স (২০১৬)
৯। সােনালি ডানার চিল – দে’জ পাবলিশিং (২০১৬)
১০। পাতালজল – দে’জ পাবলিশিং (২০১৭)
১১। ব্ৰত ফিরে এলাে – মন্দাক্রান্তা (২০১৭)
১২। অন্ধ আলাের চোখ – প্রতিভাস (২০১৮)
১৩। সেরা পঞ্চাশটি গল্প – দে’জ পাবলিশিং (২০১৮)
১৪। রানাদার সঙ্গে – দে’জ পাবলিশিং (২০১৯)
১৫৷ কম্পাসওয়ালা – দে’জ (২০১৯)
১৬। কন্দর্প – আনন্দ পাবলিশার্স (২০২০)
১৭। রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য ( মন্দাক্রান্তা)
১৮। ‘তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্পবই’, প্রকাশক— আলপথ
১৯৷ তর্জমায় বিশ্বসাহিত্য সম্পাদিত গ্রন্থ (মুদ্রা) ২০২০

শেয়ার করুন

ক্যাটেগরি বা ট্যাগে ক্লিক করে অন্যান্য লেখা পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরনো লেখা

ফলো করুন

Recent Posts

Recent Comments

আপনপাঠ গল্পসংখ্যা ২০২২