মহিলা ক্রিকেটে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতীয় ক্ষুদেরা – সপ্তক সান্যাল
|

মহিলা ক্রিকেটে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতীয় ক্ষুদেরা – সপ্তক সান্যাল

সৌম্যা তিওয়ারির মারা আড়া পাঞ্চ যখন কভারে দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে গলালেন ইংরেজ ফিল্ডার, তখনই বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা ভারতীয় ক্রিকেটাররা বাউন্ডারি অতিক্রম করে উচ্ছাসে চলে এলেন মাঠের ভেতর। বাঁধভাঙ্গা উচ্ছাসে তখন রীতিমতো ফেটে পড়ছে পোচেস্ট্রুম থেকে সারা ভারত। শেফালী-শ্বেতা-হৃষিতা-তিতাস-রিচা-পার্শভিদের সাফল্য যেন আনন্দের জোয়ার এনে দিয়েছে ভারতীয়দের মধ্যে। টুর্নামেন্টের শুরুতে শুধুমাত্র শেফালী-রিচা ছাড়া বাকি প্রত্যেকেই ছিলেন…

রবি সেন-এর সঙ্গে আলাপচারিতা

রবি সেন-এর সঙ্গে আলাপচারিতা

[কলকাতার দক্ষিণে, যাদবপুরের কাছে বাঘাযতীন এলাকার এক কোণে পড়ে থাকা এক ফ্ল্যাট বাড়ির একতলায়, এক আশি পেরোনো দৃঢ়চেতা, বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ গদ্যকারের সঙ্গে বেশ কয়েকদিন ধরে হয়েছিল এই আলাপচারিতা। ছয় দশক ধরে নিরলস সাহিত্যচর্চা করে চলা তিনি এক বিস্ময়কর কথাকার, যার সম্বন্ধে কিছু বলতে গেলে চোখের সামনে কেবলই ভেসে ওঠে এক ঋজু বৃক্ষের প্রতিকৃতি যে…

ভোজ কয় যাহারে (দ্বিতীয় পর্ব) :  গুণাগুণ – সত্যম ভট্টাচার্য

ভোজ কয় যাহারে (দ্বিতীয় পর্ব) : গুণাগুণ – সত্যম ভট্টাচার্য

গত শতকের আশির দশকে লেখা গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের একটি গানের লাইন ছিলো-ভালো কইর্যাি রাইন্ধ বেগুন কালাজিরা দিয়া গো… শুনলে মনে হয় এই দলটির বা গৌতমের কি কোনো সফট কর্ণার ছিলো বেগুনের প্রতি? আবার ঐ দলেরই গাওয়া আরেকটি গান মানুষ চেনা দায়/ চিনতে কষ্ট হয়। এই কথাকটি জীবনের যে কত বড় সত্য তা বিচক্ষ্ণণ ব্যক্তি মাত্রেই জানেন।…

কুমায়ুন ভ্রমণ ও তার নানা কিস্‌সা – শিবু মণ্ডল (পর্ব ৮)

কুমায়ুন ভ্রমণ ও তার নানা কিস্‌সা – শিবু মণ্ডল (পর্ব ৮)

অষ্টম পর্ব যত কাণ্ড ক্র্যাঙ্কস্‌ রিজে স্বামী বিবেকানন্দের দেখানো পথ ধরেই কাঁসারদেবীর এই পাহাড় নানা লেখক, দার্শনিক, শিল্পী, সত্যানুসন্ধিৎসুদের কাছে যেন এক অনিবার্য গন্তব্য হয়ে ওঠে। বিশেষ করে ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে নানা বিদগ্ধ মনীষীরা এখানে এসে ডেরা বাঁধেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন ওয়াল্টার ইভান্স ভেন্তজ্‌, আলফ্রেড সোরেনসেন (শূন্যতা বাবা), জার্মান চিত্রশিল্পী, কবি ও দার্শনিক…

অতনু চট্টোপাধ্যায়ের পাঁচটি কবিতা

অতনু চট্টোপাধ্যায়ের পাঁচটি কবিতা

অবলোকন বিজ্ঞানমেলায় প্লাস্টিকের ছাউনিতে বসে পূর্ণাঙ্গ আকাশ, তারকাখচিত মণ্ডল, টরাস, ক্যাসিওপিয়া… সমুদ্র প্রাচীন এক ভয়ে খুব সন্তর্পনে হাঁটু অব্দি সবেমাত্র নেমেছি, কে যেন বলে উঠলো – “দেখো, দেখছে তোমাকে।” অস্পষ্ট সঞ্চালিকার গলা -কিশোরীর, অন্ধকারে একটা শিশু কেঁদে উঠলো , ‘ বিলয় ‘ শব্দটা তখনই হটাৎ মাথায় আসে। যে অশ্রুপুঞ্জ মেঘ হয়ে এতদিন থমথমে করে রেখেছিল…

মণিকর্ণিকা অথবা চন্দ্রকামিনী – রক্তিম ভট্টাচার্য

মণিকর্ণিকা অথবা চন্দ্রকামিনী – রক্তিম ভট্টাচার্য

বাতাসের ঘুম যখন ভেঙে যায়, ঠিক তখন গাছেরা নুয়ে পড়তে চায় মাটির কাছাকাছি। তাদের কেউ তুলে ধরতে পারে না। তারা নিজেরাও নিজেদের তুলে ধরতে চায় না। তুলোর মতো হালকা একটা আলোর বাষ্প জমে চোখের কোণে। নীরব কুয়াশার গন্ধ কেমন কঠোর হয়ে পড়ে। কেউ যেন সমুদ্রে নামে এই সময়। আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামে নোনা জলে। লবণের…

বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট (পর্ব ৩) – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়
|

বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট (পর্ব ৩) – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়

যদিও ঠিক বর্ষশেষের ম্যাচ নয়, কিন্তু একটা ম্যাচের বর্ণনা না দেওয়াটা অপরাধ হয়ে যাবে। ১২ই জানুয়ারি, ১৮৯৭। ইডেনে খেলা হয়েছিলো ক্যালকাটা ক্রিকেট ক্লাব বনাম ক্যালকাটা টাউন ক্লাবের ম্যাচ। ক্যালকাটা ক্রিকেট ক্লাবের অন্তত: দুজন খেলোয়াড়কে ভালোভাবেই চেনা যায়। উনিশ শতকের প্রত্নতত্ব চর্চায় মোটামুটি পরিচিত নাম রবার্ট টমাস এবং পরবর্তী কালে রয়্যাল এয়ারফোর্সের অফিসার আলেক্সান্ডার কক্স প্যাটার্সন।…

কাদম্বিনী গাঙ্গুলী, উপমহাদেশের প্রথম মহিলা চিকিৎসক – দীপক সাহা 

কাদম্বিনী গাঙ্গুলী, উপমহাদেশের প্রথম মহিলা চিকিৎসক – দীপক সাহা 

ঊনবিংশ শতাব্দীতে চার দেয়ালের বাইরে বের হওয়া নারীদের জন্য ছিল দুঃসাধ্য। সেই শতাব্দীর মেয়ে হয়ে চলমান প্রথা ভাঙেন কাদম্বিনী গাঙ্গুলী। হয়ে ওঠেন উপমহাদেশের প্রথম নারী চিকিৎসক। সাফল্যের পথটা মসৃণ ছিল না তাঁর, ছিল কাঁটায় ভরা। রক্তচক্ষু দেখিয়েছে তৎকালীন সমাজ। সেই রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অনেকটা পথ একাই হেঁটেছেন কাদম্বিনী। সইতে হয়েছে শত অবহেলা। সমাজের মানুষের ধারণা…

ভোজ কয় যাহারে (প্রথম পর্ব) :  কুলাচার – সত্যম ভট্টাচার্য

ভোজ কয় যাহারে (প্রথম পর্ব) : কুলাচার – সত্যম ভট্টাচার্য

এখন আর কটা লোককে হাতে বোনা উলের সোয়েটার গায়ে দিতে দেখা যায়? স্বাভাবিকভাবে একজনকেও নয়। অথচ বছর বিশ-পঁচিশেক আগেও এমন একটা সময় ছিল যে শীতকালে প্রায় সব মা-মাসিমা-জেঠিমাদের হাতেই উলকাঁটা দেখা যেত। পাড়ায় কারুর না কারুর বাড়িতে পাওয়া যেত একখানা সোয়েটারের ডিজাইনের বই। সে বই নিয়েই একের পর এক সকলে ডিজাইন তুলতেন। বোনার আবার ভাগ…

এই দেশ অচেনা আমার – সম্বিৎ চক্রবর্তী

এই দেশ অচেনা আমার – সম্বিৎ চক্রবর্তী

একটা থাপ্পর খেয়ে রাস্তায় পড়ে গেলাম। আমার যা স্বভাব পড়ে গিয়েও ভাবি গালে একটা থাপ্পড়ে কেউ একেবারে মাটিতে চিৎপটাং হয়ে পড়ে? পড়ব বলে মনটাই যেন ভিতরে ভিতরে একরকম তৈরি ছিল। —হয়তো ধরাশায়ী হয়ে সহানুভূতি পাওয়ার মতলব। অথবা পড়ে গিয়ে থাপ্পড়কারীর শক্তিকে একটু স্বীকৃতি, সম্মান দেওয়া; আসলে তোয়াজ করা। ‘বাবা? কী জোরেই মারতে পারো তুমি!’ কিন্তু…