বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট (পর্ব ৭) – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়
|

বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট (পর্ব ৭) – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়

সপ্তম পর্ব  ১৯২০ এর দশক ভারত তথা বাংলার ইতিহাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ‘ভদ্রলোক’ সমাজের শিক্ষিতদের কাছে ক্রিকেট গ্রহণ করা ও ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে কতকগুলি কারণ ছিল। বোরিয়া মজুমদারের মতে, ক্রিকেট ছিল শিক্ষিত ভদ্রলোকদের কাছে অহিংস পদ্ধতিতে ব্রিটিশরাজের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা। সেই সময়ে যখন মূলত ১৮৫৭ সালের পরবর্তী সময় সশস্ত্র আন্দোলনকে আর ছড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছিল না। তাছাড়া…

বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট (পর্ব ৬) – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়
|

বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট (পর্ব ৬) – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়

ষষ্ঠ পর্ব  প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন অন্যত্র ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায় বন্ধ হয়ে যায়। বহু ক্রিকেটার যুক্ত হয় বিশ্বযুদ্ধে। অনেকেই মারা যান, আহত হন। যদিও সৈন্যদলের মধ্যে ক্রিকেট খেলা অব্যাহত ছিল ভালোরকমই।  কলকাতায় ক্রিকেট খেলা কমেনি, উলটে সংখ্যা বেড়ে যায়। ১৯১৪ সালের নভেম্বরে দেখছি বালিগঞ্জ ক্রিকেট ক্লাব ও ক্যালকাটা স্কটিশ ভলান্টিয়ার্স দলের মধ্যে খেলা হচ্ছে। বালিগঞ্জের ১৮১…

বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট (পর্ব ৫) – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়
|

বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট (পর্ব ৫) – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়

পঞ্চম পর্ব বঙ্গভঙ্গ চলাকালীন কলকাতার ক্রিকেট খেলায় কোনও প্রভাব পড়েনি। তবে বড়ো কোনও ম্যাচের খবর সেভাবে নেই। কিন্তু এরই মধ্যে ১৯০৯/১০ সালের ডিসেম্বর মাসে ওয়ানডে সিঙ্গল ইনিংসের খেলা হয়েছিল ময়দানে। বাংলার অন্যতম প্রাচীন পাটশিল্পের কারখানা গৌরীপুর জুট মিল যা ম্যাকলিন বেরী বানিয়েছিলেন নৈহাটিতে, তাঁদের সঙ্গে অ্যালায়েন্স ইউনাইটেড জুট মিলের (বিবাদী বাগে অফিস আছে) খেলা হয়।…

বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট (পর্ব ৪) – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়
|

বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট (পর্ব ৪) – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়

চতুর্থ পর্ব ১৯০০ সাল। ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ, বিজ্ঞান-দর্শন-সাহিত্যের আধুনিক সময়ের সূত্রপাতের শ্রেষ্ঠ শতকের সমাপ্তিতে আগমন ঘটছে বিংশ শতাব্দীর। স্বাভাবিকভাবেই ব্রিটিশদের কাছে এর গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। বাঙালির ক্ষেত্রে বিষয়টির বর্ণনা পাওয়া যায় বিমল মিত্র-র ‘সাহেব-বিবি-গোলাম’ উপন্যাসে। তখন লর্ড কার্জনের সময়। বাংলা ভাগের ঘটনা তখনও ঘটেনি, কিন্তু ভিতরে ভিতরে চেষ্টা ভালো মতোই চলছে। কয়েক বছরের মধ্যেই তার জের দেখা…

বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট (পর্ব ৩) – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়
|

বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট (পর্ব ৩) – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়

যদিও ঠিক বর্ষশেষের ম্যাচ নয়, কিন্তু একটা ম্যাচের বর্ণনা না দেওয়াটা অপরাধ হয়ে যাবে। ১২ই জানুয়ারি, ১৮৯৭। ইডেনে খেলা হয়েছিলো ক্যালকাটা ক্রিকেট ক্লাব বনাম ক্যালকাটা টাউন ক্লাবের ম্যাচ। ক্যালকাটা ক্রিকেট ক্লাবের অন্তত: দুজন খেলোয়াড়কে ভালোভাবেই চেনা যায়। উনিশ শতকের প্রত্নতত্ব চর্চায় মোটামুটি পরিচিত নাম রবার্ট টমাস এবং পরবর্তী কালে রয়্যাল এয়ারফোর্সের অফিসার আলেক্সান্ডার কক্স প্যাটার্সন।…

বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়  (পর্ব ২)
|

বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়  (পর্ব ২)

পর্ব ২ নাম যতই ‘বর্ষশেষের কলকাতা: কলকাতার ক্রিকেট’ হোক না কেন, নববর্ষের ক্রিকেটও প্রসঙ্গক্রমে আসবেই। আসলে ২৫ ডিসেম্বর থেকে ৫/৭ জানুয়ারি, এটাই ছিল শৈত্যকালীন উৎসবের সময়। আর সঙ্গে ডি গামা সাহেবের কেক থাকত কিনা জানি না, তবে চেরি অফ দ্য কেক ক্রিকেট থাকতই। উনিশ শতকের শেষের দিকে অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানরা ক্রিকেটকে পূর্ণাঙ্গ আকারে গ্রহণ করে এবং অনেক…

বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়  (পর্ব ১)
|

বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়  (পর্ব ১)

পর্ব ১ শীতের কলকাতা। ব্রিটিশরা বলতেন শীতের কলকাতা প্রাচ্যের শ্রেষ্ঠ শহর, উনিশ শতকের ঠিক প্রাক্কালে কলকাতা সেজে উঠত নতুন রঙ্গে। যদিও উনিশ শতকের কলকাতা তার পাততাড়ি গোটাচ্ছিল তখন, শেষ হয়ে যাচ্ছিল একটা গোটা পরিবর্তনের শতক। আধা গ্রাম চেহারা থেকে শহর হয়ে উঠেছে কলকাতা। উনিশ শতকের কলকাতা। মানে আধা শহর–আধা মফঃস্বল। হুতোমের কলকাতা, বাবুয়ানা, বুলবুলি লড়াই,…

সাহির লুধিয়ানভির কবিতার অনুবাদ – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় 
|

সাহির লুধিয়ানভির কবিতার অনুবাদ – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় 

‘শায়র এ ইনকিলাব’ সাহির লুধিয়ানভি। বিশ শতকের উর্দু সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি। প্রগতিশীল সাহিত্য সমিতির সদস্য থাকার সময়ে কমিউনিস্ট আদর্শ প্রচার করার জন্য তিনি পাকিস্তান সরকারের গ্রেপ্তারি এড়িয়ে ভারতে আসেন। তখন তাঁর প্রতিবেশী হন গুলজার ও কিষেনচন্দ (প্রথমজন খ্যাতনামা উর্দু কবি ও দ্বিতীয়জন উর্দু ঔপন্যাসিক)। ১৯৪৯ সাল থেকেই তিনি ফিল্মের জন্য গান লিখতে থাকেন। ১৯৬৩ সালে…

বিবিধ ভারতীয় ভাষার সুরে সলিল চৌধুরী – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় 

বিবিধ ভারতীয় ভাষার সুরে সলিল চৌধুরী – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় 

দেখতে দেখতে ৯৭ বছর অতিক্রান্ত। সলিল চৌধুরী জন্মশতবর্ষের দোরগোড়ায়। সলিল মানে গণসঙ্গীত, সলিল মানে শপথ, সলিল মানে তেভাগা, সলিল মানে উত্তাল চল্লিশের অসমাপ্ত বিপ্লব। আবার সলিল মানে ‘ঘড়ি ঘড়ি মোরা দিল ধরকে’, সলিল মানে ‘জানেমন জানেমন তেরে দো নয়ন’, সলিল মানে ‘ও আমার পদ্মপাতার দিন’… সালটা ১৯৬১-১৯৬২। হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর হঠাৎই সিদ্ধান্ত নিলেন একটি ফিল্ম বানাবেন,…

সীমিত ওভারের ক্রিকেট ও ভারত – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় 

সীমিত ওভারের ক্রিকেট ও ভারত – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় 

‘ক্রিকেট’ শব্দটা উচ্চারণ করলেই বর্তমানে দুটি আলাদা প্রজন্মের কাছে দুই রকম অর্থ দাঁড়ায়; দুই না বলে তিন বলাই ভালো। প্রথম প্রজন্ম যাঁদের কাছে ক্রিকেট মানে দীর্ঘমেয়াদি দুই ইনিংসের সাদা পোশাকের লাল বলের খেলা। দ্বিতীয় প্রজন্মের কাছে ক্রিকেট মানে প্রথম প্রজন্মের ধারণার সঙ্গে একদিনের ক্রিকেট অর্থাৎ কিনা সাদা পোশাকের লাল বলে সকালে খেলার কথা মনে হবে…