Similar Posts
কালবেলা – আশিস ভৌমিক
প্রণয়হীন সভ্যতার বুকে হাতড়ে বেড়াই মিষ্টি প্রেমের কবিতা ! রাতের আঁধারে হাইড্রেনের নোংরা জলে খুঁজি শাপলা ফুল ! রাত-পরীরা ড্রেন ছাপিয়ে উঠে আসে রাজপথে নিয়নের আলোয় যোজনগন্ধা হয়ে ওঠে । পরাশরেরা সস্তায় ভালবাসা কেনে ! গভীর রাতের আলোরা ম্লান বাসি ফুলের গন্ধে । ফ্ল্যাট বাড়ির জানলা চুঁইয়ে তখন ভেসে আসে সিরিয়ালের বিষাক্ত নিশ্বাস । রাতে…
শরীর ছোঁয়ার যুক্তি – অমিত পাটোয়ারী
প্রথম দ্বিতীয় সব পাতা জুড়ে টাইপ সুস্থ যোনি আসলেতে তকমা তোমার জুটলো ভাবমোহিনী ছুরির মত বাক্য তোমার বেশ আলোচ্য আমাদের তো অস্ত্র কেবল ভাববাচ্য ঘাড়ের ওপর নিশ্বাস নেয়, পা মাড়ায় চুপ করে থাকি | রয়েছি এখন বেপাড়ায় | সানগ্লাসে দেখি অন্য রঙের রক্ত মাংস দলা কী বললেন , গল্পটা বেড়ে ? ছোঁয়াচ রজস্বলা ! শেষমেশ…
মৃগশিরা আর কালপুরুষ – গৌতম চৌধুরী
১.যে-সর্বনামকে বিদায় দেওয়া হইয়াছিল ঘোর কোনও তমসাতীরে, ঘুড়িটি ভাসিতেছে, এতই উঁচুতে, যে কাটিয়া যাওয়া টের পাওয়া যায় না। মেঘ জমিলে চিলেরাও সেইখানে। তাহাদের চোখে নদী সামান্যই দূরে। জলই সম্পর্করেখা। বন্দর বলিলেই কেন বৃষ্টির কথা মনে হয়। তাহার কত লিপ্ততা, ঘাম ও মুদ্রা বিনিময়, তবু পথে পথে ভিজিবার আমন্ত্রণ। রংবেরঙের কাপড় কাচিয়া মেলিয়া দেওয়া হইয়াছে প্রান্তরে।…
ভয়ের অনুপ্রাস – কাজী জহিরুল ইসলাম
টাইয়ের নটে সকাল বেঁধে রাখি এই শহরে সকাল এলে আঁতকে ওঠে পাখি কেউ জানে না কোথায় কি-যে ঘটে । আমার নাকি বন্ধ চোখও হাসে আতঙ্কিত পাখির ডানা ভয়ের অনুপ্রাসে কানাকানির শব্দ কিছু রটে। জীবন ফোনে বলল সেদিন রেগে ঘটবে কিছু আলোর সাথে আলোর ধাক্কা লেগে অবিশ্বাসের প্রকাণ্ড কান পাতি। কোথাও কিছু ফাটল নাকি রাতে? ছন্দহীন…
শান্তি চাই – মিঠু নাথ কর্মকার
খেললে তো অনেক রক্তের খেলা, ইতিউতি ছড়ানো শবের মেলা, এনেছো ডেকে অকাল বসন্ত, হিংসার আগুন জ্বলছে অনন্ত, নিয়েছ কেড়ে কতো নিরীহ প্রাণ, অনাথ হয়েছে অগণিত সন্তান, বিবর্ণ করেছ সিঁথি, তোমার দীর্ঘশ্বাসে, মায়ের শূন্য কোল চোখের জলে ভাসে, ভাইকে পাঠিয়েছ অচিন পরপারে, বোনের নিস্ফল আকুতি তোমার দরবারে, মৃত্যুপুরীর শোকের বেদনার্ত হাহাকার, তোমায় কি করে না একটুও…
সর্বেশ্বরদয়াল সাক্সেনা-এর কবিতা – ভাষান্তর: রূপায়ণ ঘোষ
কবি পরিচিতি: সর্বেশ্বরদয়াল সাক্সেনার জন্ম ১৯২৭ সালে উত্তরপ্রদেশের এক সামান্য বস্তিতে। এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে, জীবিকা অর্জনের জন্য তিনি ফেরিওয়ালা থেকে শিক্ষকতা, ক্লার্ক তথা পত্রিকার সম্পাদক রূপেও কাজ করেছেন। তাঁর কবিতা এক আশ্চর্য মানবচৈতন্যের কথা বলে যেখানে ‘অহং’ (আমি) ও ‘সোহহং’ (তুমি) একই সঙ্গে যুক্ত হয়, বিমুক্ত হয়, প্রবাহিত হয়। সর্বেশ্বরদয়াল সাক্সেনার কবিতা…