
Similar Posts

বিস্ময় – মৌমিতা পাল
আজন্মকাল থেকে তুমিতো জানতে -‘এ বাড়ি তোমার নয়!’ প্রকৃতির নিয়মে তারপর ক্রমাগত বেড়ে ওঠা, শখের বাগানের অযাচিত -অনাহুত আগাছার মতো। পুতুল খেলার ছলে শেখোনি কি! এ ধরনীর সামান্য ধুলিকনাতেও তোমার নেই কোনো দাবী, নেই অধিকার। সমস্ত জীবনব্যপী তুমি শুধু বাঁধা ক্রীতদাসী। এ সমাজ,এ সভ্যতা,এ বিশ্বায়ন, এই বিশাল মহাবিশ্বের এক বিন্দুও তোমার নয়! জেনেছো তো সব…
একটা সিগনাল – ঝর্ণা মুখোপাধ্যায়
প্রাচীন মানুষটার কাছে জেনেছিলাম যুদ্ধ হাঁটছে অনমনীয় পুঁজি অমঙ্গলের দিকে সিলেবাসে ধোঁয়া-আগুন-পেশাদার রাজনীতি নেশাতুর হাওয়ায় ব্রেকিং নিউজ, খুনীদের বিচরণ অর্জুনের তীর লক্ষ্যভেদে। হাভাতে বিশ্ব, জল জমা উঠোন দুঃখের রাত পোহায় ভাঙা চোরামুখ, আপদ উদ্বাস্তু! ছপছপ পায়ের শব্দ উড়ে আসে টান টান বিবেক-বিশ্বাস-রাজপথ ভাসিয়ে অবিরাম- শব্দ ফেটে ফেটে পৃথিবী জাগায়। একটা সিগনাল – ‘যুদ্ধ নয় শান্তি…

নবীর আগমনবার্তা – কাজী জহিরুল ইসলাম
দূরত্বের চিৎকার শুনেছিলো ক্রাচের কিশোর তখনি অন্ধকারের সাহস দুপায়ে বেঁধে নেয় সূর্য লাল হয় চন্দ্র গোল হয় বালুর নিচ থেকে উঠে আসে উটপাখিদের ডিম, ডানা ঝাপটায় নিস্ফলা পৃথিবীতে আলো-প্রান্তরের রেখার ওপর দাঁড়িয়ে শেখায় মরুদৌড় হতাশ উটপাখিদের। গাধার কাফেলাকে বলে, মশক খুলে চুমুক দাও মনিবের রক্তে, কেননা এই অরণ্য শুধু স্টালিওনের নয়। সন্ধ্যাকে থামিয়ে দেয় সমুদ্রের…
মাতৃত্বের হাওয়া – সেলিম মণ্ডল
অনেকটা ঘুমের ভিতর তুমি বড় হয়ে গেছ স্বপ্নে এখন ফড়িং আসে ফড়িংয়ের হাঁটুতে কান থাকে আমি সেই হাঁটুতে চোখ রেখে শুনি বড় হওয়ার গল্প গল্প তুমি এখনও স্তন টিপে টিপে পান করছ মাতৃত্বের হাওয়া

জয়ীতা ব্যানার্জির পাঁচটি কবিতা
সমস্ত সূর্যাস্ত গেল প্রার্থনাবিহীন ১ তুমি সে অভাববোধ। আত্মরতি অথবা সঙ্গমকালেচোখের অবাক দৃষ্টি–সজলতার বিবিধ কারণঅধিক সচেতনতা, ততোধিক নিরুদ্বেগে ফিরে যাওয়াপোশাকের কাছে। অনুশোচনার মতো দ্বিধাগ্রস্ত এইপ্রায়ান্ধ আলোর নীচে স্বচ্ছ পর্দা টানা আনন্দ মুকুরমেয়াদোত্তীর্ণ ফুলের কাছে আমরা তবু স্মৃতিচারণশিখি। অনাবিষ্কৃতের মোহে শিখি ব্যয়, ভ্রম ও ভণিতাতোমার করুণা আজও সমান অসহনীয় মনে হয়তবু যে কোনো ক্ষতেই আমাদের প্রথাসিদ্ধ…

৪ঠা আষাঢ়, ১৪২৮:- একটি শোকগাথা – শোভন ভট্টাচার্য
(কবি গৌতম বসু স্মরণে) অগ্নিকে ছুঁয়ে-থাকুক প্রকৃত শ্মশানবন্ধু… জল…একদিন বন্ধুর সাথে গিয়ে ‘রাজেশ্বরীদের বাড়ি’পেয়েছি প্রথম দেখা। সবে লেখা হচ্ছে ‘রসাতল’।‘অতিশয় তৃণাঙ্কুর পথে’ ছিল কি আভাষ তারই! দূরভাষে যোগাযোগ মোটেই ছিল না বলা ভালো;মাঝেমধ্যে দেখা হলে হয়ে যেত, না-হলে হত না;কিন্তু দেখা হলে সেই হাসিমুখ-উপচে-ওঠা আলোমনে পড়ছে খুব। আপনি, বিশ্বাসে-সংশয়ে আনাগোনা করতে করতে ইদানীং ডুব দিচ্ছিলেন…