ছায়ার বিস্তৃতি – সৈয়দ কওসর জামাল
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে ঘৃণা, নেত্ররোষ অপলক, স্থির
আর্ত দিন, ক্লিষ্ট রাত, আমাকে দণ্ডিত ভেবে করেছিল ভিড়
টলোমলো এই ভূমে, আসলে তো সাক্ষী আমি – উন্মত্ত দম্ভের
এই হত্যা-হত্যা খেলা, কষ্ট পাই, যেন গান – ব্যাহত সুরের,
গুমরে গুমরে ঘোরে বিক্ষুব্ধ বাতাসে, তবুও যুদ্ধের কথা
কান পেতে শোনে কেউ, রোমাঞ্চ খুঁজেছে কেউ, জানেনা – ব্যর্থতা
প্রতিটি বিরুদ্ধ তীরে ঢেউ হয়ে ভেঙে পড়ে দিক্বিদিকহারা
পায়ের নীচের থেকে বালি কেড়ে নেয় স্রোত, তবু পরম্পরা
বীরত্বের, রাজত্বের – আধিপত্যকামী যত বিলাসী ঈশ্বর
দর্পনে দ্যাখে না মুখ, পাছে দুর্বলতা জাগে – প্রমানে তৎপর
এসব প্রস্তুতি শুধু শান্তির, হিংসার নয়, হৃদয়শকুন
আড়ালে বাড়ায় তার ছোঁয়ের তীব্রতা, হাওয়ায় মৃত্যুর ধুন
কখনও যাইনি কাছে, তবু টের পাই বেড়েওঠা পূর্বাপর
ছায়ায় বিস্তৃতি তার নেভাতে চেয়েছি ফুঁয়ে, ভাষা পরিসর
হয়েছে বিপদাকীর্ন, তাতে সমাদৃত করি প্রশান্ত প্রতিমা
যে-ভাষা বিবাদময়, ভেঙে দিই, এসো, তার সংকীর্ন সীমা।