ছাপ।বৈধতা – কৃষ্ণেন্দু দাসঠাকুর

শেয়ার করুন
সময়ে, সময়ে গলাগলি হয়
চেঞ্জ হয়ে যায় লাল আলো জ্বলা গলি
যন্ত্রণা দুগালে জড়িয়ে মেয়েটির
বিপরীত মুখে বয়ে যাওয়া স্রোতে
লেপ্টে যায় কালো রঙ
নিজের সামনে আয়না, কোনদিন দাঁড়ায়নি
তবু অবৈধ শিশির গুড়ো মিশে যায়–
মেয়েটির অবুঝ সবুজ শিরায়
পলাশ নামক শব্দ তালুর রেখায় পুরেনি
মাখতে চাইনি আবির।বসন্ত এসেছে
লোমকূপে তার ঝুরো ঝুরো নিসপিসে হাত
শুকনো স্তনে আজ দুধের চড়চড়ানি
স্রেফ,কিছু প্রশ্ন চিহ্ন ঝুলে থাকে রাতের
আকাশে।উত্তর… দায়বদ্ধতার ভার…
শেয়ার করুন

Similar Posts

  • |

    প্রেম – সুতপা

    শব্দ। প্রতিশব্দ। সাতচললিশ, একাত্তর, বিরানব্বই, বিশ উনিশ… তলিয়ে যাওয়া স্মৃতি রাত জাগে অতীতের গহন ফুঁড়ে। জন্মভূমি জরাসন্ধ হয় বিনা দোষে। তবু জেন… এ আমার দেশ। আমার জন্মভূমি। আমার ভাষা। আমার প্রেম। সবুজ ঘাস আর লাল প্রান্তরের ডাকে তোমার কপালে মুছে দেব সীমানার বলিরেখা।

  • অত্রি ভট্টাচার্য-এর কবিতা 

    মার্জারসুন্দরী  ১. দরজায় দাঁড়িয়ে দেখি,রাতের ঘড়ি বারোটা ছুঁলেও, বাইরে যথেচ্ছ আলোসানাইয়ের সিডিটা বার করে নিয়ে বাড়ির দিকে হাঁটা লাগাচ্ছে পাড়ার সাউন্ডম্যান দু- একটা ক্লান্ত সাইকেল হাওয়া চিড়ে চলে যাচ্ছে  এসময়ে, তোমার ভ্রূ ও পল্লবের মাঝে সাদা বেড়ালছানা হাঁটে যে জানে কার্নিভাল সততই জাগরুক, তার কোনো ইনসোমনিয়া নেই ২. আয়ুর্বেদ মতে, বিড়ালের বিষ্ঠা, ছাগলোম, মেষশৃঙ্গ, বচ…

  • আমার শহর – মৈনাক চক্রবর্ত্তী

    দূর দিগন্তের অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে, অনেক অদ্বিতীয় শোভার হাত ছানিকে উপেক্ষা করে আমরা ফিরে আসি আমাদের নিজের শহরে; যে শহরে আমার বড় হয়ে ওঠা। যে শহরের ফুট পাথে একটা কাঠি আইসক্রিম খেতে খেতে বাবার হাত ধরে বাড়ি ফিরেছি, যে শহরে মা-বাবার হাত ধরে পুজোতে ঘুরেছি প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে, যে শহর আমার বড় হবার সাক্ষী, যে…

  • লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডলের দশটি কবিতা

    নিষ্ক্রমণ ইচ্ছের উপর রাখে ভোরের বাঁশি এই যে বাজনা বাজে আলো আঁধারের মিলিতরেখায় আর দূরে সরে যায় সমস্ত উপেক্ষা, আমার ভিতর ছড়িয়ে পড়ে নীল ধ্রুবতারা—ভাঙা ভাঙা বাদামি ত্বকের শ্যাওলা পরিত্রাণ চায়—সমস্ত নোটিফিকেশন ছাড়াই জ্যামিতিক বিন্দুরা নিষ্ক্রমণ ইচ্ছের উপর রাখে ভোরের বাঁশি  সে এক অনন্ত পথের গ্রিনলাইট, ফ্লাইওভার ছিঁড়ে সাগরকোনণ থেকে উঠে আসে গুচ্ছ গুচ্ছ ফার্ন—…

  • দয়াময় মাহান্তীর পাঁচটি কবিতা

    রাতের জামা অন্ধকার, তুমি কেমন আছো? জলের উপর কারা তাচ্ছিল্য ছুঁড়ে দিয়ে গেছেঢেউ তাকে ঠেলে সরিয়ে দিলে নির্লিপ্তির মুখভেসে উঠে, রাতের ফুলে সাদা চাহনিআনত হয় ভোরের স্পর্শে। আলোকে খুবলে কালো গর্ত করে ইঁদুরেরাঢুকে পড়েছে, তুমি কি শিকারি ঈগল, মনখারাপতোমার? তোমার প্রশ্নের অনেক ঊর্ধ্বেভোকাট্টা ঘুড়ি উড়ে… অন্ধকার, তোমার হৃদয়ে কার ছায়া পড়ে? ভয়ের সংবাদ বৃক্ষ জেনেছে…

  • মা – দেবলীনা দলুই

    মা তোমাকে  আঁকার জন্য ভাষা পাইনা আমি হাতড়ে বেড়াই, শব্দ খুঁজি কিন্তু পাইনা তোমার  হৃদয়ের অনন্ত ঝারলন্ঠনকে নাম দেওয়ার শব্দ পুড়তে দাওনি কখনও দাওনি আমায়  গলতে তোমার  ওই দুহাত দিয়ে আমার  ক্ষত যত ছিল সব নিয়েছো টেনে  নিজের বুকে ঘুম পাড়িয়ে আমায় নিজে  থেকেছো নিদ্রাহীন দিনের পর দিন তোমার চোখ, নাক, চুল বেয়ে নেমে আসা…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *