
Similar Posts
কালো দিনের সনেট – অয়ন চৌধুরী
আমাদের ফ্রিজগুলো ভরে আছে বারুদে বাতাস ভরে আছে তীব্র ঝাঁঝালো সীসাগন্ধে আমাদের সমস্ত পকেট বুলেটে, পিস্তলে আর আমাদের মনের বাক্সগুলি দামি অন্ধকারে প্রতিটি রাতের চাদর ফুটো করে কে ওরা বাইকবাহিনী! ভাতের থালায় ছিটকে পড়ে জমাট জমাট রক্তকাহিনি প্রতিটি বাটিতে মাছের ঝোলের নীচে চাপ হয়ে আছে প্রতিশোধ আগুন প্রতিটি ক্ষতের মুখে কে ওরা ঠেসে দিল মুঠো…

দুটি কবিতা – মহাদেবাশা
বাতাসে লতিয়ে ওঠা ঢেউ বাতাসে ঝড় উঠেছে, তুমি কুড়িয়ে রেখেছো নদী,তোমার & চাওয়া পাওয়ার সিঁড়িগুলো ছোটো হতে হতে দূরবীণ হয়ে উঠেছে, রাস্তার ঘরে ঘাসফুলের মলাট, ঘ্রাণে ঘ্রাণে ভরে যাচ্ছে আঁচল, আয়না হয়ে উঠেছে টিপ, একেই সংস্কার বলি, আর চোখকে নদী, বারান্দায় অনায়াসে পৌঁছে যায় রোদ, রোদের পেয়ালায় চুমুক উঠে ঘোড়ার, এসময় অন্ধকারে মেঘ উঠে, গম্বুজ…

অনিবার্য অক্ষমতার দূরাস্ত চোখ – উদয় শংকর দুর্জয়
অকারণে চূর্ণতা জমায় শরৎমেঘ। কলতান মুখর সেইসব প্রিয় অবসর কখন যেন ফাঁকি দিয়ে এক অনিবার্যকে মেনে নিয়েছে। নিয়তি বলে কিছু নেই যে এতদিন মেনেছিল, সে এখন বেলান্তে বসে ভাবে এই গ্রীলের ওপারে মাথাটা বের করতে পারলেই আকাশজল ছোঁয়া যেত—মেঘলা—অঢেল। বুকের কপাটগুলো অতিশয় উদ্বিগ্ন, পেরুবার অক্ষমতাকে কিছুতেই পেরুনো যায় না। এর বাইরে এক বিশালতা তবু দৃষ্টি…

ফলসা রঙের বউ – অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী
আমাদের বন্ধু জহরলাল ধাড়া খুব যাত্রা ভালোবাসে। কলেজে পড়ার সময় আমরা বইমেলাতে গিটার নিয়ে গান করেছি। কিন্তু জহর সে সবে কোন মজা খুঁজে পায় না। সে বইমেলাতেই যাত্রাপালা করতে চায়। কলেজ শেষ করে জহর প্রাইমারি ইস্কুলে মাস্টারি পেল। ইস্কুলের গ্রামে সে কিছু যাত্রা অনুগত মানুষ খুঁজে পেয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম ইস্কুলের হেডমাস্টার নলিনীবাবু। জহরকে পেয়ে…

শায়েরী চক্রবর্তীর পাঁচটি কবিতা
ঈশ্বরী নক্ষত্র দহনে অনুশোচনা উল্লাস হয়ে ওঠে যে দেবীর কাছে হাত পাতলে রাত পাওয়া যায় সে কোনো মানবীদেহ জুড়ে যার গোলাপি আয়োজন মিহি সন্ধের গায়ে জং ধরেছেধ্বংসের ভেতরেও শোনা যায় শঙ্খের সুর পেরোনো আলপথেযদি শুশ্রূষার বিষ ঢেলে যায় কেউ… কোনো দেবী ক্ষয়িত চেতনার পঙ্ক্তি পথ হারিয়ে জন্মের প্রলাপ যাপনে এ গলি সে গলি থেকে ভেসে…

আয়না – শৈলেন রায়
দেউতিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রুমের আয়না। আশ্চর্য, আয়নাটা এখনও আছে! আধ মানুষ সমান সেই আয়নাটা। আমরা বলতাম হেড স্যারের আয়না। হেড স্যারের ঠিক পিছনে একটু উঁচু করে টাঙানো ছিল দেওয়ালে। চার ধার সেগুন কাঠে বাঁধানো, ম্যাড়মেড়ে পালিশ। ওখানে আয়না কেন, কোথা থেকে এল জানি না। জানার ইচ্ছেও হয়নি কোনও দিন। স্যরের ঘরের চেয়ার-টেবিল-আলমারির মতো আয়নাটাও…