কাদম্বরীর বিরহ – সোহিনী সামন্ত
“যেদিন মুক্ত প্রেমের রাংতা পুড়েছিল……
বিরহ প্রেম দগ্ধে মরেছিল ……
ঝিলিক দেওয়া রাংতার আবেশ …
চোখের জলে অব্যক্ত অশেষ …”
অগ্নিদাহ প্রেমের রাংতার টুকরো ভেঙে দায় মনের কামনার অনেক অব্যক্ত দুঃখের অন্তিম নির্যাস ।
কাদম্বরী দেবীর চোখের কালি বুঝিয়েছিল ভালবাসা কি? আসক্তি কি? কামনা কি?ছোট রবির কাব্য রস মুগ্ধ করেছিল তাকে।
কবিগুরুর সাথে অজস্র কথোপকথন তাকে মুক্ত পৃথিবীতে বাস করতে শিখিয়েছিল । কাদম্বরী দেবীর মুক্ত চিন্তাধারা বিকাশ পায় ।তারা সমবয়সী তাই একই সাথে বেড়ে ওঠা । রবিঠাকুরের সাথে কাদম্বরী দেবীর বন্ধুত্ব অটুট হয়ে উঠেছিল ।
মনের অনুভূতির ইন্দ্রজালে কাদম্বরী দেবী এক অজানা ফাঁদে পড়েছিলেন ।সেই ফাঁদ থেকে তিনি বেরুতে পারেননি । আস্তে আস্তে তিনি সেই অজানা যন্ত্রণা থেকে দূরে যাওয়ার চেষ্টা করেন । অন্তিম সুখের আশায় মৃত্যুকে ডেকে নেন ।
“ঝিলিক দেওয়া রাংতার দিশা…,
আগুনের ফানুসে বেমানান ভালবাসা …
মনের অবরুদ্ধ ব্যর্থ আশা,
দিয়েছে শুধুই মৃত্যুর অভিলাসা …”