Similar Posts
দরীন তাতুর -এর কবিতা – অনুবাদ : গাজী সাইফুল ইসলাম
ফিলিস্তিনি কবি দরীন তাতুর -এর কবিতা,কবিতার আটকাদেশ অনুবাদক: গাজী সাইফুল ইসলাম একদিন,তারা আমাকে থামালহাতকড়া পরাল,শক্ত করে বাঁধল আমার শরীর, আমার আত্মা,আমার সবকিছু…এরপর তারা বলল: একে তল্লাশি করো,তার ভেতরে আমরা একজন সন্ত্রাসীকে পাবো!তারা আমার হৃৎপিন্ড টেনে বের করলসঙ্গে আমার দুটো চোখওএরপর তারা আমার অনুভূতি জুড়ে তন্ন তন্ন করে খুঁজল।আমার চোখ থেকে পেল নাড়ির এক স্পন্দন সমান অনুপ্রেরণা হৃৎপিন্ড…
অন্তর্বাসে লজ্জাকঙ্কাল – অনুরূপা পালচৌধুরী
সস্তা মাল : আমদানিতে মেটারনিটি চাঁদফল পবিত্র ফুলজরায়ুতে বিরোধী গন্ধ অথচ নগ্ন পাঁপড়িতে অতৃপ্ত দেবতারই দীর্ঘায়ু আউলিয়া ফুটপাতে বরফ ঊর্বরতা : কেটে ফেলি উন্মাদ কুয়াশার সাদাটে স্রোত শিকড়ে অর্ধনারীশ্বর। পদ্মযোনির হুতাশে লজ্জাবতীর লালছোপ।আমি নারী দিনের লোমশবুকে রাতের ঘনিষ্ঠ চোখ। চোখের পাতা। পাতায় সবুজ স্টেরিওটাইপ। নক্ষত্রসন্ধি।পৃথিবীর ভেদচিহ্ন পালন মা তুমিও____ পরিপূরক আলোপিন্ডে আবেগের দইবড়ায় রজত জয়ন্তী…
কোজাগরী – রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়
তোমার ফেরারি মন হয়তো বা কখনও এক বিন্দু শিশিরের মত মুহূর্তের বশ্যতায় স্হির হয়ে লেগে থাকে সম্পর্কের গায়ে৷ আমি মুহূর্তকে শাশ্বত বলে ভ্রম করি৷ গোধূলির গায়ে লিখে রাখি সমর্পণ৷ স্বপ্ন-সম্ভবা হয়ে সম্পর্কের ভেতর নদী হয়ে বয়ে চলি৷ যাপনের ঘ্রাণ নিয়ে অনুভূতিরা শুয়ে থাকে আমার নিমজ্জিত সত্তার ভ্রূণে৷ সময়ের সম্মোহন ছিঁড়ে গেলে তুমি আবার পলাতক৷ তবু…
রাঁধুনি – সংস্কৃতি ব্যানার্জী
আলো থেকে অসুখের দিকে যেতে আস্ত এক সরাইখানা, আঁশটে, স্যাঁতস্যাঁতে পাকানো তেলছোপ। লেগে যেতে যেতে সম্পর্কের তলায় আরো মোচড়, ওপর থেকে নিচ। ধিমে আঁচে স্মৃতি রেঁধে যাই রোজ পাত পেড়ে বসে থাকে অভুক্ত সংসার।
মরণলেখ ১ – গৌতম বসু
আকাশের কাছে আমাদের সাহায্য প্রার্থনামনের পথে-পথে যারা হেঁটেছিমন, খরোস্বী লিপির চিরশয্যা, মন দাবানলদাবানলের পথে যারা হেঁটেছিদূরের দেশ, নিজেকে তুমি কোথায় ফেলে এসেছো ভাবোভাবো, রক্ষাকবচ ভেসে গেছে কোন কূলে থেকে অকূলেমনের পথে-পথে যারা হেঁটেছিরক্ষাকবচ ভেসে গেছে যাদেরশতাব্দীর মতো একনিষ্ঠ যারাসৃষ্টির মতো, লয়ের মতো একামনের পথে-পথে যারা হেঁটেছি বাতাস এখনো শোকগাথা, শোকগাথার বাতাসে এসে দাঁড়ালাম দেহকার্য এখনো…
রঘু জাগুলীয়ার গুচ্ছ কবিতা
দিগন্ত প্রার্থনালয় ১ বাতাস এসেছে কাছে কাঁপা কাঁপা গলায়কি অভিযোগ তার, বলে না কিছুই।তবু হৃদয়ে তলিয়ে যাচ্ছে সূর্যাস্তে লেগে থাকানদীর তটভূমি, সংলগ্ন কোমল রোদমেঘে মেঘে বেগুনিরঙা আচ্ছাদন— আমি তো ত্রিভুবনে প্রার্থনালয় চেয়েছি এমনি— ফুলের মালা হয়ে জোনাকিরাছুঁয়ে যাবে দেবীর চরণতল;আর রাত্রির কুঞ্জবন হতে পৃথিবীর দিকেশিশুর মতো নিরালা মুখে হাতছানি দেবে চাঁদ, অথচ যেদিকে করজোড়ে দাঁড়াইবাতাসে-ধুলোয়…