রাঁধুনি – সংস্কৃতি ব্যানার্জী
আলো থেকে অসুখের দিকে যেতে আস্ত এক সরাইখানা, আঁশটে, স্যাঁতস্যাঁতে পাকানো তেলছোপ। লেগে যেতে যেতে সম্পর্কের তলায় আরো মোচড়, ওপর থেকে নিচ। ধিমে আঁচে স্মৃতি রেঁধে যাই রোজ পাত পেড়ে বসে থাকে অভুক্ত সংসার।
আলো থেকে অসুখের দিকে যেতে আস্ত এক সরাইখানা, আঁশটে, স্যাঁতস্যাঁতে পাকানো তেলছোপ। লেগে যেতে যেতে সম্পর্কের তলায় আরো মোচড়, ওপর থেকে নিচ। ধিমে আঁচে স্মৃতি রেঁধে যাই রোজ পাত পেড়ে বসে থাকে অভুক্ত সংসার।
আমি এক মুঠো ভাতের আশায় আজ আমি এই পথে…………. খিদের জ্বালায় বিধবার থানে লাগিয়েছি রঙ, সতীপনার জাল ছিঁড়ে দারিদ্রটাকে মাড়িয়ে এসে গেছি এই মোহল্লাদের জগতে। এখানে ভাত আছে কাপড় আছে আছে ভুঁড়ি ভুঁড়ি টাকা, নেই শুধু মনসত্ব আর নেই নারীর ইজ্জত, আছে যৌনের রেশ নেই প্রেমের আবেশ। শুধু এক মুঠো ভাতের আশায় আজ আমি এই…
আজন্মকাল থেকে তুমিতো জানতে -‘এ বাড়ি তোমার নয়!’ প্রকৃতির নিয়মে তারপর ক্রমাগত বেড়ে ওঠা, শখের বাগানের অযাচিত -অনাহুত আগাছার মতো। পুতুল খেলার ছলে শেখোনি কি! এ ধরনীর সামান্য ধুলিকনাতেও তোমার নেই কোনো দাবী, নেই অধিকার। সমস্ত জীবনব্যপী তুমি শুধু বাঁধা ক্রীতদাসী। এ সমাজ,এ সভ্যতা,এ বিশ্বায়ন, এই বিশাল মহাবিশ্বের এক বিন্দুও তোমার নয়! জেনেছো তো সব…
আন্তর্জাতিক নারী দিবসটা আশা করি সবাই খুব উৎসাহের সাথে পালন করেছেন, কি তাইতো? অবশ্য আমি কিন্তু ভুলে গেছিলাম একদম; সোশ্যাল মিডিয়া গুলো এত হাকডাক করছিল ওই দিনটাকে নিয়ে- তারপর মনে পড়ে গেছে। এতে হয়তো আপনারা ভাবতেই পারেন, একজন নারী হয়ে নারী দিবসের কথা ভুলে গেছি! তা অনেক কিছুই ভাবতে পারেন…তবে তার জন্য আমার তরফ থেকে…
ধ্রুবতারার জ্বলজ্বলে অনুভূতিতে লক্ষ্যভেদের ব্যাপক আশা, পথের মোড়ে একলা হেঁটে চলার বিশেষ অভিধান , উন্মুক্ত করে পাখির মতন স্বাধীন অভিব্যক্তির অক্লান্ত নেশা…… স্যাঁতস্যাঁতে চৌরাস্তায় , কাঁকড় বিস্মৃত লালমাটি………… শত্রুর দামামা বাজে বকুলের অসহায়তায় …… দুর্বহ পথে একলা নারীর গৌরবের জয়গান, মুগ্ধ পলাশ ছুঁয়ে যায় একান্ত স্বাধীনতায়……।।
মেয়েবেলা মানে বেঁচে থাকা আর সবাইকে নিয়ে বাঁচা মেয়েবেলা মানে ঘুম থেকে উঠে সকালে কাপড় কাচা। মেয়েবেলা মানে কাউক্কে না বলে লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম মেয়েবেলা মানে হঠাৎ প্ল্যানিং দীঘা ঘুরে আসে ট্রেন। মেয়েবেলা মানে কলেজে আড্ডা টেবিল বাজিয়ে গান মেয়েবেলা মানে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকা দিনমান। মেয়েবেলা মানে ছেলেটা আমার শুধুই বন্ধু আজীবন মেয়েবেলা…
তুমি চাইলেই পায়ের শিকল ছিঁড়তে পারো নির্দ্বিধায় যেমন ছেঁড়-সেলাই সুতার। তুমি চাইলেই প্রদীপ জ্বেলে মুছে নিতে পার অবলীলায় তোমার যাবতীয় অন্ধকার। কে দেয় তোমাকে বাঁধা? কে রোখে তোমার পথ? তুমি তো আমার জীবন সত্ত্বার জ্যোতির্ময় অহংকার। সাহসিনী হও, কেটে যাবে মেঘ, বাতাসে মিলাবে অনাহুত দীর্ঘশ্বাস, দিগন্তে আসবে আলোর বাণ। তুমি জাগলেই তোমার সীমান্ত জুড়ে বসন্ত…
এই সময়টায় অফিসে প্রচন্ড প্রেশার থাকে ।একটা স্লট থেকে অন্য স্লটে চেঞ্জ হওয়ার সময়টুকু ডেস্কের কর্মীদের চূড়ান্ত ব্যস্ততার মধ্যে ফেলে রাখে । তার সাথে বিজ্ঞাপন সব কিছু নিয়ে প্রায় নাজেহাল অবস্থা । এমন সময়েই মোবাইল ফোন টা ল্যাপটপের পাশ থেকে গেয়ে উঠলো “আলোকের এই ঝর্ণাধারায়” । রিনি চট করে ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখে ফোনের ডিসপ্লেতে …
মিথ্যা প্রলোভনে পা দিয়েছিল শিশুমন বিশ্বাস অবিশ্বাসের দেওয়াল গড়ে ওঠেনি তখনও কুস্পর্শ সুস্পর্শ শালীনতা অশালীনতা বুঝে…
তবে কেন মনে হয় তোমার শরীরময় ঈশ্বর এসেছেন স্বর্গীয় আর্তি শিথিল করে দিচ্ছে আমায় দেখাচ্ছে ধরিত্রীর মত কণ্ঠলগ্ন হয়ে মার্জনা চাইছ কৃতকর্মের উষ্ণ নিঃশ্বাসে মুছে দিচ্ছ অভিমান নিভৃত স্পর্শমাখা উত্তাপে এক অনবদ্য পুরুষ আমায় আদ্যন্ত নারী করে তুলছে ওই আনন্দময় রূপ আজন্ম ছায়া হয়ে লেগে থাকুক আমার নারী শরীরে।