অঘ্রাণে – জিললুর রহমান

শেয়ার করুন

ঘ্রাণ নেবো – নাসিকা উঁচিয়ে টানি;
পৃথিবী কি চিরকাল অঘ্রাণেই থাকে?

আমাকে তো অঘ্রাণের ধান ডেকে ফিরে
শীতের আলস্য কিছুতে ছাড়ো না তুমি
আমার সে শস্যদানা উঠে না দেউড়ি ঘরে
সোমলতা জোছনায় গড়াগড়ি যায়,
এভাবেই বুঝি পৌষমাসে সর্বনাশ আসে…

দ্বিখন্ড পঞ্চমী চাঁদে ভেজা চুমু লেগে থাকে গায়ে
সর্বনাশা অশ্রু জলে ভাসিয়ে দেয় ছাতার শরীর

শেয়ার করুন

Similar Posts

  • পল্লব গোস্বামীর গুচ্ছ কবিতা

    একদিন সারাদিন  ছোটো ছোটো বদ্রী পাখির মতো  দিনগুলি ভাবি  দিনভর ওরা কোঠাঘরে কিচমিচ করে  ঠান্ডা লাগে, জ্বর আসে  যেমনভাবে জ্বরে কাবু সারা শহর  দানাপানির জন্য  ভিক্ষাপাত্র নিয়ে ঘুরি  বাগড়াইচণ্ডীতলায় বিশাল হাট  সেখানে  ফ্রীঞ্চ, ককাটেল, জাভা,  লাভ বার্ডের আসর  তবুও ভিক্ষা মেলে না  মাথার ভেতর  বুড়ো কাছিমের মতো হাঁটে  একেকটা দিন  সমুদ্র ফেনায় শুশ্রূষা কেটে যায়–…

  • ঘূর্ণি – মেঘালয়

    কবিতাটা এইভাবে শুরু করা যাক। ধরা যাক, বহুযুগ আগে এখানে একবার সন্ধ্যা হয়েছিল ধরা যাক, বহুযুগ আগে এখানে একদল হাঁস ডানা মেলেছিল ধরা যাক, বহুযুগ আগে এখানে মেঘের তলায় দাঁড়িয়ে আমি এইসব দেখছিলাম– কবিতাটা বোধহয় ঠিক পঞ্চায়েতের মতো হল না– পঞ্চায়েত? পঞ্চায়েত বলতে, ওই তো গো, কয়েকটা বৃক্ষরোপণ মাটি চাপা দিয়ে বাড়ির ক্যাঁদালি পর্যন্ত ঢালাই…

  • সিন্টু প্রধানের পাঁচটি কবিতা

    পোশাক তোমার চাদরটার সাথে আজ দেখা হয়েছিল। এই শীতের সকালে ওই একটা চাদর কতজনের গায়ে ঘুরছে তা আমার জানা নেই। জানা নেই ঠিক এই মুহূর্তে কতজন রোদে শুকোতে দিয়েছে চাদরটা। কেবল দেখা হয়ে যায়… তোমার পাজামাটার সাথে, ওড়নাটার সাথে, চাদরটার সাথে, অন্য অন্য শরীরে। তোমার প্রতিটা চুড়িদার গোছানো আছে আমার মাথার ভিতর। তারা কখনো পুরনো…

  • সুবিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়-এর পাঁচটি কবিতা

    হৈমন্তিকা  তুমি বললে শরৎআসলে হেমন্ত এখন। বাতাসে কান পাতো। শুনবে পাতা খসে পড়ার আওয়াজ। যেমন পুরনো বাড়ির গা থেকে পলেস্তারা যত।মানুষের চেনা ক্যামোফ্লেজ প্রয়াস।  আয়ু -১ কুয়াশায় ভরে গেল মাঠতুমি বললে হাঁটো। হাঁটতে হাঁটতে গাছ।নীচ থেকে ওপরে তাকিয়ে দেখলাম গাছ।আমি ওপর থেকে নীচে দেখলাম গাছ। চণ্ডী মণ্ডপের মাঠ।ফেলে আসা ফুরনো বাজির প্যাকেট উড়ে যাচ্ছে হাওয়ায় হাওয়ায়ও প্যাকেট যেও…

  • অকাল বোধন – কোয়েল ভড়

    ১.যে আলোদেশে আলাপ আমাদেরতার ঠিকানা পায়নি কোনো ষড়যন্ত্রী কীট, মুদ্রিত কোনো অক্ষরেধরা পড়েনি তার অবয়ব। ২.বয়ে যাওয়া নদী বা সময়ের আখ্যানেপ্রাপ্তি লেগে থাকে ভগ্নাংশের- তবু হাওয়ায় মিশে যাওয়া সুগন্ধেরব্যবচ্ছেদ করতে পারে না কাঁটাতার। ৩.ঊ-কারের তীর ধরে আসতে থাকা প্রেমবার্ধক্যের ভরসা রেখে দেয় রঙিন রুমালে, প্রিয় রঙ্গন, এবার বসন্ত নামাওকোনো শারদীয় বিকেলে…

  • তমোঘ্ন মুখোপাধ্যায়ের গুচ্ছ কবিতা – জাদুচৈতন্য

    ১জাদুচৈতন্যের তলায় জিভ জৈবশলাকার মতো কাঁপে—এই তির্যক বিদ্যা আয়ত্ত হল। স্থাণু পথ এমন কঙ্কাল হয়েশুয়ে আছে সহজ ভঙ্গিমায়, আমাদের গমন আজওসহজ মনে হয়। মনে হয় দুই ন্যুব্জ ছুরি পরস্পর কাটাকাটিপেরিয়ে আমাদের প্রসব করে থেমে গেছে, এবার আমরাপরবর্তী ছেদক হিসাবে পথ কাটতে কাটতে এগোব।জাদুচৈতন্যের তলায় কিছুই রৈখিক নয়, যেন বৃত্তের কন্দরেভক্তিযোগ জিভ জৈবশলাকার মতো দিক থেকে…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *