Similar Posts

দ্যা লেডি উইথ এ হিডেন ল্যাম্প – ব্রতশুদ্ধ
বুলেটবিদ্ধ নিঃসঙ্গ জীবন… ছবি হয়ে বেঁচে থাকা সুইসাইডাল উপাখ্যান । একটা এপ্রিল ২১ আরো আসবে দাবানল হয়ে , আরো শাড়ীর আঁচল জ্বলে উঠবে করোনার শ্বাসরুদ্ধ কোর্টের মিথে । কাদম্বরী নামে কোন ফুল নেই । আফিম বাগান খুঁড়েও পাওয়া যায়নি কোন নিঃসঙ্গ স্পেসিমেন । বুনিয়াদ ভিটার ভিড়ে আজো কাদম্বরী কাঁদে। শত বছর ডিঙিয়ে সে রোদ হয়ে…

শিবসাগর দেবনাথের পাঁচটি কবিতা
পরমাণু তোমাদেরও হারাবার আগেজেনে রাখি, অনিশ্চয়তা প্রকৃত সামান্য বিষয়সংখ্যালঘু বৃষ্টির ভয়ে যেরকম জলাধার হয় মহাকাশ আমাদের বিনয়-যাজকঅশেষের মাঝে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শেষ হই রোজই —এই জ্ঞান যুগপৎ ভয় ও ভুলের,যেভাবে দেহাতি ভোরদূরোদয় মোরগের ডাক আদায় করেছে …ও বধির স্কুল নিজের ফাটলগুলি কখন-ই বা আলোয় ধরেছি?বোতাম ঘরের তীরে বাড়ন্ত ববিনের সায়যে আমি তস্য বধির, অচিরেই চেয়ে নিতে…

খুকু ভূঞ্যা-র পাঁচটি কবিতা
বৃষ্টি আঁকা নদী অনেক ছায়া সামনে পেছনে তবু ফুলে কত রং সুগন্ধি রোদ যেভাবে প্রিয় প্রশ্বাসের মতো ছুঁয়ে যায় রোম শিরা নাভি বুক তুমিও তো আছো তেমনি বাতাসে সঙ্গমের গন্ধ দুটি পায়রা ইভ আদমের মতো উড়ে গেল যেই দেখে ফেললাম তোমার চোখ বহু বছরের বৃষ্টি সঞ্চয়ে সমুদ্র লিখেছে তারায় তারায় শূন্যতাই ওঁ, শূন্যতাই ভালোবাসা ধরে…

অজিত ভড়ের পাঁচটি কবিতা
ব্যক্তিগত ভেবেছিলুম যাব মঞ্জুমালা এসে জানলা খুলে দিল।যেন মৃত্যু বেরিয়ে গেল ঘর থেকে। তারপর সন্তুর বিয়েনানারকম রান্নার গন্ধখেয়ে উঠে বেরোতেই সায়ন্তনীর সঙ্গে দেখা: সায়ন্তনী শব্দহীন :যেন ভিনরাজ্যের ঝিলম নদীর বাঁক,আর শিল্পিতা?অনেকদিন আগের ট্রেন ছেড়ে যাওয়া প্ল্যাটফর্ম এখানে এক পা– ওখানে এক পাঘরে ঢুকিজানলা খোলাদেখি– আবার মৃত্যু ঢুকেছে ঘরে… এই বয়সে আর মশারি খাটাতে ভাল্লাগে না!…

কাগজ সভ্যতা – সৌম্যজিৎ রজক
১ কাগজের মানচিত্রের ভেতর আমার কাগজের ঘর কাগজের শিশুগণ কাগজের স্কুলে যায় বড়োরাও কাগজের কাগজেরই বসতি গড়েছে হাটে ও বাজারে পথে গিজগিজে ভিড় কেনাবেচা করে তারা, কাগজেরই বিনিময়ে করে জমিতে জমিতে কাগজের বেড়াও উঠেছে এমনকি কাগজের কাঁটাতারও সীমানা বরাবর উদ্বাস্তু কাগজেরা উদ্বাস্তু কলোনীতে থাকে মাতাল কাগজেরা মাতলামিই করে কাগজেরা…
মুসাফির – স্বপ্ননীল রুদ্র
গুলাম আলির গজলের মুসাফিরের মতন একটি আত্মহনন অভীষ্ট শুঁকে শুঁকে আমাদের শহরমুখী হয়েছিল। পকেটে আংশিক উঁকি দেওয়া রুমালের মতো এক বৃক্ষবয়ন-প্রাণিত গলি নিরবচ্ছিন্ন ছায়ানির্ভর অবিবাহিত বাড়ির নামফলক রেখেছিল তার উপোষ-ভারের ঠোঁটে… নেমপ্লেট খেতে খেতে উপাদেয় ঢেকুর তুলেই তাক থেকে পেড়ে নিয়েছিল ঘুম-উপন্যাস সমগ্র — বরফলজ্জিত বিছানায় পাঠ-প্রতিক্রিয়া শুয়ে… কার্ণিশে ছাদে উত্থিত আনন্দঘন…