নবীর আগমনবার্তা – কাজী জহিরুল ইসলাম
দূরত্বের চিৎকার শুনেছিলো ক্রাচের কিশোর
তখনি অন্ধকারের সাহস দুপায়ে বেঁধে নেয়
সূর্য লাল হয়
চন্দ্র গোল হয়
বালুর নিচ থেকে উঠে আসে উটপাখিদের ডিম,
ডানা ঝাপটায় নিস্ফলা পৃথিবীতে
আলো-প্রান্তরের রেখার ওপর দাঁড়িয়ে শেখায়
মরুদৌড় হতাশ উটপাখিদের।
গাধার কাফেলাকে বলে, মশক খুলে চুমুক দাও
মনিবের রক্তে, কেননা এই অরণ্য শুধু স্টালিওনের নয়।
সন্ধ্যাকে থামিয়ে দেয় সমুদ্রের তটরেখায়
ঢেউদের বলে ভাসিয়ে দাও ঈশ্বরের ভাস্কর্য।
বাতাসের ডানা লাগিয়ে বিদীর্ণ করে মেঘ
মরুভূমিকে উর্বরা করবে বলে।
তুষারের জামা ছিঁড়ে বানায় সবুজ পতাকা
মেরুপ্রান্তরে ফোটে অসময়ের রডেডেন্ড্রনরোদ।
ওর চোখের দিকে তাকিয়ে মিথ্যেবাদীরা মোমের ভাস্কর্য হয়
গলে গলে পড়ে নর্দমার জলে
হরিজনপাড়া থেকে উঠে আসে শুশ্রূষাকারী
নগরের বুকে হাত রেখে সুস্থ করে তোলে আরবানসংস্কৃতি।
শাসকেরা রাজপথ ঝাড়ু দিতে দিতে গায় রবীন্দ্রনাথের গান।
একজন নবীর আগমন বার্তা ছাপা হয়েছে আজকের আকাশে।