Similar Posts
সমর রায়চৌধুরীর পাঁচটি কবিতা
ধ্বংস-ধ্বনি রাগ ‘হংস-ধ্বনি’ আমি আর শুনতে চাই নাআমি শুনি নিজের ধ্বংস-ধ্বনি কে কঁকিয়ে উঠলকে আর্তনাদ করলদুঃখে গুমরে উঠল কেকার হাহাকার শোনা গেলকার দীর্ঘশ্বাসকার অশ্রুকেবলই আমার গলার ভেতর দিয়ে নেমে যায়,নেমে যায়, নেমে যায়, শিশ্নের দিকে, পায়ের দিকেমিশে যেতে থাকে রক্তে আরভারী হয়ে ওঠে মাথা নিজের ধ্বংস-ধ্বনিই কেবল শুনি, শুনতে পাই—রাগ ‘হংস-ধ্বনি’র ভেতরেও তৃতীয় নয়ন আমার…
অর্ণব রায়ের গুচ্ছ কবিতা
আমাদের কান্না একফসলী জমি আর যে যার শষ্য তুলে নিয়ে ঘরে চলে গেছে ১/ আর একটু ভালোবাসা পেলে হয়তো বেঁচে যেতাম। যেন পৃথিবীর আর কেউ নেই। দেশে খেতে বসার আকাল লেগেছে। এত এত প্রার্থনার ভার। কেউ জগতের হেঁশেল উঠিয়ে নিয়ে চলে গেছে অবেলায়। সে একা, থরথর কাঁপতে কাঁপতে ছুটছে। তার কক্ষপথপিছলে যাচ্ছে। পৃথিবীপৃথিবীর মনে…
সে এক একাগ্র শীতের কথা – অতনু বন্দোপাধ্যায়
‘ঠিক বেড়িয়ে যাবার মুখে জ্যামিতি ভাঙল বড় একটা বায়ুরেখা’ বারীনবাদের কোন শিষ্টাংশ নেই। কারণ এটা কোনো বাদই নয়৷ এটা একটা প্ৰকরণ৷ টুলস। যা কেউ ব্যবহার করতেই পারে নাও করতে পারে৷ এই প্রক্রিয়া কোনো ইজম এর ধার ধারেনি কোনোদিন তা বারীনের কবিতা পড়লেই স্পষ্ট বোঝা যায়৷ চেতনার ইঙ্গিত থাকে বলেই তার বহতা থাকে৷ বারীন সেটাই বলতে…
কৌরব বংশ – অভি গুপ্ত
পৃথিবীর চারদিকে আজও তারা আছে যাদের আঙ্গুলী হেলনে বাকী সব বাঁচে। রাজনীতি নয় শুধু তাদের সৈকতাবাস ধর্ম ও দেয় তাদের কাঙ্খিত বিশ্বাস। রুক্ষতার ধ্বজা ওড়ে প্রান্তিক কামনায়। জীবনের মদিরা আকন্ঠ পান করে অসাম্যতার হার পরে উঠে আসে যারা। বৈধ অসুখী হয়ে যারা অাজন্মকাল ধংসের মাতোয়ারায় মগ্ন হয়ে রয়। সকলেই বাঁচতে চায় আপন মহিমায়। কিছু জন…
ওমপ্রকাশ বাল্মীকির কবিতা – অনুবাদ: শিবু মণ্ডল
ওমপ্রকাশ বাল্মীকি: কবি পরিচিতি হিন্দি ভাষার বিশিষ্ট কবি ওমপ্রকাশ বাল্মীকির জন্ম ৩০ জুন, ১৯৫০ সালে উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগর জেলার বারলা গ্রামে। প্রকাশিত কবিতার বই—‘সদিও কা সন্তাপ’, ‘বস্ বহুত হো চুকা’, ‘অব্ অউর নেহি’, ‘শব্দ্ ঝুট নেহি বোলতে’ ও ‘নির্বাচিত কবিতা-সংগ্রহ’। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ—‘সলাম’, ‘ঘুস্পেটিয়ে’, ‘আম্মা এন্ড আদার স্টোরিজ্’, ও ‘ছত্রি’। প্রবন্ধ সংকলন—‘দলিত সাহিত্য কা সৌন্দর্যশাস্ত্র’, ‘মুখ্যধারা অউর…
একুশ প্রাণহরা এক আকাশ – রিজোয়ান মাহমুদ
বায়ান্নর ঘুড়িটি আমার ছিল।রক্তঝরা মাটির চিৎকারে জন্মের ফাগুন — সে-ওআমাদেরই ছিল। ভাষা সে আমার মা বেঁধেছে বর্ণের অনুরাগ। ভাষাকে দেখেছি অর্থাৎ আমার মা’কে হেঁটে যেতে দেখেছি গহীন অরণ্যের দিকে। ভাষা আকাশের বুকে কবুতরের পালক হলে উড়িয়ে দিয়েছি মেঘ ও রৌদ্রে।জব্বার ও বরকত সালাম রফিক-এর ক্ষত বুক লাল অক্ষরের রোদ নিয়ে বসে আছে সারাদিন — ওঁরা…