এক পাহাড়ি গাঁয়ের গপ্পো – প্রবুদ্ধ বসু
আজ গল্প বলব দার্জিলিং জেলার এক ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম আহালদারার। আমাদের গাড়ি কালিঝোরা পার করে সিটংয়ের রাস্তা ধরল। প্রথমে লোয়ার সিটং তারপর আপার সিটং, সৃষ্টি কর্তার এক অপরূপ কীর্তি এই সিটং গ্রাম। ছোটো ছোটো কাঠের বাড়ি আর কমলালেবুর বাগান। সিটং পেরিয়ে শেলপু বাজার অতিক্রম করে পড়লাম চার রাস্তার সঙ্গম স্থলে, এখান থেকে সোজা চড়াই রাস্তা ধরে পৌঁছলাম আহালদারা। গাড়ি থেকে নামতেই আমাদের অভ্যর্থনা জানাতে হাজির তীব্র ঠান্ডা হাওয়া আর রাশি রাশি মেঘ। মনে হল এ যেন এক স্বপ্নপুরী, কোনো রূপকথার দেশ। পাহাড়ের মাথায় সবুজ-মেরুন রঙে শোভিত তিনটে খেলনা বাড়ি, এগুলোই আমাদের দুদিনের অস্থায়ী ঠিকানা। কটেজের সামনে একটা উঁচু ঢিপি, সেটা দিয়ে উপরে উঠে গেলে মনে হয় যেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছে গেছি। কোনো বাধা নেই দৃশ্যপটে, শুধু পাহাড়, পাহাড় আর পাহাড়। মেঘমুক্ত দিনে দেখা যায় কালিম্পংয়ের রাস্তা ও তার পাশ দিয়ে বহমান তিস্তা। উলটোদিকের পাহাড়ে মংপু, চটকপুর, বাগোরা। কটেজের ডান দিকের রাস্তা ধরে হাঁটতে থাকি। চোখে পরে অসংখ্য কেটে ফেলা গাছের গুঁড়ি। মনে বিস্ময়ের উদ্রেক হয়, হঠাৎ এইভাবে গাছ কেটে ফেলার কারণ বোঝা যায় না। রাস্তায় পরিচয় হল এক পাহাড়বাসীর সাথে, তাঁকে জিজ্ঞাসা করে জানা গেল এগুলি সব সিঙ্কোনা গাছের গুঁড়ি, কেটে ফেলা হয়েছে, এই গুঁড়িগুলো থেকেই আবার নতু্ন গাছ জন্মাবে। আহালদারা, লাটপাঞ্চার ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ব্রিটিশরা সিঙ্কোনা চাষের প্রবর্তন করেছিল। সিঙ্কোনা গাছের ছাল থেকে তৈরি হয় ম্যালেরিয়ার ঔষধ কুইনাইন। আহালদারা থেকে মাত্র ত্রিশ কিলোমিটার দূরে মংপু গ্রামে ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয় সিঙ্কোনা ফ্যাক্টরি, এখানে কর্মরত ছিলেন গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিচিতা লেখিকা মৈত্রেয়ী দেবীর স্বামী ড. এম সেন। মৈত্রেয়ী দেবীর আমন্ত্রণে রবীন্দ্রনাথ মংপুতে ড. এম সেনের বাংলোতে মোট চারবার আসেন। প্রথমবার আসেন ১৯৩৮ সালে, দ্বিতীয় ও তৃতীয়বার আসেন ১৯৩৯ সালে ও শেষবার আসেন ১৯৪০ সালে। ১৯৪০ সালে তাঁর আশিতম জন্মদিন তিনি এখানেই উদ্যাপন করেন ও আবার ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দেন কিন্তু এর পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন, আর ফেরা হয়নি। সেই বাংলো দর্শনেও আমরা গিয়ে ছিলাম। সে গল্পে পরে আসছি।
নির্জন রাস্তা, কানে আসতে থাকে ‘গ্রেট বারবেট’ -এর কণ্ঠস্বর, অনবরত ডেকে চলেছে। বেশ খানিকটা খোঁজাখুঁজির পর দেখা হল তার সাথে, উঁচু গাছের ডালে বসে আছে, পাখিটাও দেখতে পেল আমাদের, সঙ্গে সঙ্গে ডাক বন্ধ, তবে উড়ে পালিয়ে গেল না, খানিকক্ষণ আমাদের দিকে চেয়ে থেকে আবার ডাকতে থাকল। হাঁটতে হাঁটতেই দেখতে পেলাম পাহাড়ি ধাপ কাটা রাস্তা উঠে গেছে উপরের দিকে, ধাপ বেয়ে উঠে আসি, চোখে পড়ে ভুট্টা খেত, খেত পেরিয়ে দেখতে পাই পাহাড়ি বুনো অর্কিডে ভরে আছে প্রান্তর। এখানেই পেলাম ছোট্ট গ্রামের সন্ধান।
পরিচয় হল বিকাশের সাথে, আর পাঁচটা পাহাড়ি ছেলের মতোই সুস্বাস্থ্যের আধিকারী, ছোটো ছোটো চোখ, বয়স বছর কুড়ি হবে। সদাহাস্যময় মিশুকে বিকাশ বাবা, মা, ভাইকে নিয়ে থাকে। ডেকে নিয়ে গেল তাদের বাড়ি। পাহাড়ের ঢালে তৈরি ছোট্ট কাঠের বাসস্থান। আমাদের বসতে দেওয়া হয় রান্নাঘরের সামনের উঠোনে। মাটির উনুনে রান্না হচ্ছে, একটি জানলা আছে। জানলা দিয়ে মুখ বাড়ালেই চোখে পড়ে দিগন্ত বিস্তৃত পর্বতমালা। চা খেতে খেতে গল্প হয়। বিকাশ কাঠের কাজ করে, তার বাবা চাষবাস করেন। উঠোনের পাশেই প্রচুর গাঢ়লাল বুনো লিলি ফুটে আছে। ভাবি আমাদের শহরে কত লালনপালন করলে তবে ফুল ফোটে, আর এই দুর্গম পাহাড়ের কোলে কেমন নিজের মনের আনন্দে ফুটে রয়েছে ফুলগুলো। একটা লিলি ফুলের চারা আবদার করি বিকাশের মায়ের কাছে, উনি সঙ্গে সঙ্গে মাটি থেকে তুলে যত্ন করে কাগজে মুড়ে তুলে দিলেন আমার হাতে। পরদিন আকাশ লাল করে সূর্য উঠল, আহালদারা ও চারপাশের উপত্যকা ঝকঝক করছে নব রবিকিরণে। কাঞ্চনজঙ্ঘা যদিও এখনও ঢেকে আছে মেঘের চাদরে। গাছে গাছে খেলে বেড়াচ্ছে ‘আলতাপরি’ (Scarlet Minivet)। কটেজের পেছনের লেবু গাছে এসে বসল ‘নীল কটকটিয়া’ (Verditer Flycatcher) পাখি। হঠাৎ কোনো ম্যাজিকে যেন মেঘের পর্দা সরে গিয়ে বেরিয়ে এল কাঞ্চনজঙ্ঘা ও কাবরুর কিছুটা অংশ। উত্তেজনায় চেঁচামেচি করে সবাইকে ডাকতে থাকি। এককাপ চা নিয়ে বসে যাই প্রশস্ত ঘাসের লনের উপর, সামনে শুধু একটা কমলালেবু গাছ, আর তার পেছনেই কাঞ্চনজঙ্ঘা। আস্তে আস্তে মেঘ আসতে শুরু করে, কিছুক্ষণের মধ্যেই ঢেকে দেয় কাঞ্চনজঙ্ঘা। আর দেখা মেলেনি বাকি দুদিনে। ব্রেকফাস্ট করে বেরিয়ে পড়ি, আজ গন্তব্য মহানন্দা ওয়াইল্ড লাইফ স্যাঞ্চুয়ারী ও লাটপাঞ্চারের হর্নবিল। আহালদারা থেকে ৫ কিলোমিটার নেমে এসে লাটপাঞ্চার। পরিচয় হল আজকের গাইড রাহুলের সাথে। বছর কুড়ি বয়সের রাহুল বেশ মিশুকে, কাল সন্ধ্যায় পরিচয়। বিকাশের মতোই ছোটো ছোটো চোখ, চুলটা ঝুঁটি করে বাঁধা, ডান কানে দুল, বর্তমানে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএ পঠনরত। মহানন্দা ওয়াইল্ড লাইফ স্যাঞ্চুয়ারীর বিট আফিস অবধি গাড়ি যায়, তারপর হাঁটা শুরু। কিছুটা এগোবার পরেই দেখি রাস্তার উপরে পড়ে আছে বিশাল এক গাছ, তার পাশে পাহাড়ের ঢালে হাতির পায়ের ছাপ স্পষ্ট। রাহুল জানাল কোনো বড়োসড়ো দাঁতালের কাণ্ড। বনের মধ্যে কাঠ কাটতে চলেছেন স্থানীয় এক অধিবাসী, আমাদের দেখে সাবধান করে দিলেন বেশি ভেতরে না যেতে, দাঁতালটা মনে হয় আশেপাশেই আছে। তাকে জিজ্ঞেস করি ‘আপকো ডর নেহি লাগ রাহা হ্যয় আন্দর যানে মে, হাতি তো সামনে ক্যাহি হোগা?’ হাসতে হাসতে উত্তর দিলেন ‘হাতি ওর হামলোগ একহি জঙ্গলকে বাসী হ্যায়, মিল ঝুলকে রেহেতে হ্যায়।’ এ যাত্রায় হাতির দেখা না পেলেও দেখা পেলাম একটা Long tailed shrike (কালোমাথা কসাই) ও Sultan tit। এরপর রওনা হলাম ‘খয়রি গ্রীবা ধনেশের’ খোঁজে। পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর এই পাখি IUCN এর ভালনারেবল পঙক্তিভুক্ত। ফেব্রুয়ারি–এপ্রিল ‘রুফাস নেকড হর্নবিল’-এর ব্রিডিংটাইম। বেশ কিছু বছর ধরে মহানন্দা অভয়ারণ্যে বাসা বাঁধছে কয়েক জোড়া রুফাস। এরা সাধারণত সারা জীবনের জন্য একজনকেই সঙ্গী হিসাবে বেছে নেয়, জোড়ের একজনের মৃত্যু হলে অপর পাখিটি অন্য কারুর সাথে জোড় বাঁধে না। কোনো বড়ো মহীরুহের কোটায় এরা বাসা বাঁধে। স্ত্রী ধনেশ গাছের কোটরে ঢোকে ও পুরুষ ধনেশ কোটরটি কাদা লেপে বন্ধ করে দেয়। ডিম পেড়ে বাচ্চা বড়ো হওয়া পর্যন্ত স্ত্রী ধনেশ ওই কোটরেই থাকে। স্ত্রী ও সন্তানকে খাবার যোগান দেবার দায়িত্ব পুরুষ পাখিটির। মোটামুটি ২ঘণ্টা অন্তর পুরুষ ধনেশ তার সঙ্গিনীকে খাওয়াতে আসে।
খাদের ধার ধরে নামতে নামতে রাহুল জানাল একসময় এখানকার লোকেরা এই পাখি মেরে খেত। কিন্তু একদা কোনো কারণে সেই মানুষেরা কোনো দুরারোগ্য অসুখে ভুগতে থাকে, অনেকের মৃত্যুও হয়। এর পরেই এদের মধ্যে ধারণা জন্মায় এই পাখির ক্ষতি করেই তারা দেবতাকে রুষ্ট করেছে, কাকতালীয় ভাবে ‘রুফাস নেকড হর্নবিল’-এর উপর দেবত্ব আরপিত হয়। তারপর থেকেই স্থানীয় অধিবাসীরা এই পাখিকে আপন করে নিয়ে তাদের সংরক্ষণের দায়িত্ব তুলে নিয়েছে নিজেদের কাঁধে। বেশ কিছুটা নীচে নেমে দেখা পেলাম গাছের ডালে বসে আছে পুরুষ রুফাস নেকড হর্নবিল। প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ সেমি লম্বা, খয়রি গ্রীবা, আংশিক সাদা লেজ আর লম্বা শিংয়ের মতো ঠোঁট। মনের সুখে ছবি নিলাম। আবার খাদ বরাবর খানিকটা নেমে একটা গাছের নীচে বসলাম। রাহুল একটা মরা গাছকে দেখিয়ে বলল ‘ওই গাছেই আছে স্ত্রী ধনেশ’ ওর কথা শেষ হবার আগেই একটা পুরুষ ধনেশ উড়ে এসে বসল গাছের ডালে। ঠোঁটে সবুজ রঙের কোনো ফল, মনে হল ডুমুর। এদিক-ওদিক দেখে নিয়ে ফলটা খাইয়ে দিল তার সঙ্গিনীকে। প্রকৃতির এক অপরূপ সৃষ্টি ও তাদের দাম্পত্য প্রেমের সাক্ষী হয়ে থাকলাম। আরও বেশ কিছুক্ষণ ওখানেই বসে রইলাম। এবার এসে হাজির একজোড়া ‘Long tailed broadbill’। এদের গায়ের রং টিয়া পাখির মতো গাঢ় সবুজ, লেজ গাঢ় নীল, উজ্জ্বল হলুদ মাথায় খয়েরি নকশা, এরা মূলত পতঙ্গভুক। বেশ কিছুক্ষণ ওদের সাথে কাটিয়ে ফেরার পথে হাঁটা দিলাম। দুপুরে রওনা হলাম নামথিং পোখরি। নাম পোখরি হলেও, একটুও জল নেই, ঘোর বর্ষায় বোঝা যায় তার নামকরণের সার্থকতা। পোখরির চারপাশে শাল, পাইন, দেবদারুর জঙ্গল। এই পোখরি বর্ষায় Himalayan Salamander-এর প্রজননস্থল। অনেকটা ছোটো আকারের গিরগিটির মতো দেখতে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীটির স্থানীয় নাম ‘সুনাগোরা’। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল সেই জুরাসিক যুগে উৎপত্তির পর থেকে এদের কোনো বিবর্তন হয়নি। এদের ‘লিভিং ফসিল’ বলা যেতে পারে। অক্টোবরের শুরু থেকেই এরা আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে শীতঘুমে।
পোখরি থেকে পৌঁছলাম এক বৌদ্ধমন্দিরে। প্রায় দুশো বছরের পুরোনো এই মন্দির নতুন করে তৈরি হচ্ছে, মন্দিরের মধ্যে বেশ অন্ধকার, তিব্বতি স্টাইলে বুদ্ধ, তবে মূর্তি নয়, প্রত্যেকটি দেওয়ালে আঁকা।
এবার গন্তব্য রবীন্দ্রস্মৃতি বিজড়িত ‘মংপু’। আমাদের পথের সঙ্গী দৈত্যাকৃতি বুনো ফার্ন, মস্ আর বন্য পুষ্প, তারই মাঝে পায়ে চলা পথ নেমে গেছে রবীন্দ্রভবনের দিকে। সবুজের আড়ালে ছবির মতো সেঁটে আছে রবীন্দ্রভবন। কাঠের বাংলোটি সাদা রং করা। বাংলোর সামনে বাগান, সেখানে হয়ে আছে মরশুমি ফুল। ভবনের সামনে আসতেই শুনতে পেলাম ভেতর থেকে দরাজ কণ্ঠে কেউ গাইছে ‘যে রাতে মোর দুয়ারগুলি….’। আমরা বাইরে দাঁড়িয়ে শুনতে থাকলাম, ‘সব যে হয়ে গেল কালো, নিভে গেল দীপের আলো…’। কিছুক্ষণ পরে, বোধহয় আমাদের কথাবার্তা শুনেই বেরিয়ে এলেন গায়ক। পরিচয় হল মি. রাউতের সঙ্গে। ইনিই দায়িত্বে আছেন রবীন্দ্রভবনের রক্ষণাবেক্ষণের। তিনি নিয়ে গেলেন আমাদের বাংলোর মধ্যে, সামনের বারান্দাতেই কাঠের সোফায় রাখা কবির ছবি, মালা দিয়ে সাজানো। প্রথমেই ঢুকলাম তাঁর শোয়ার ঘরে। এখানে কাঠের খাটের উপর তাঁর সাদা রঙের মূর্তি রাখা। এই খাটটিতেই তিনি শুতেন, রাউত জানালেন খাটটি রবীন্দ্রনাথের ডিজাইন করা ও বানানো তাঁর পুত্র রথীন্দ্রনাথের। ঘরটিতে গুরুদেবের বেশ কয়েকটি আলোকচিত্র আছে। সেখান থেকে গেলাম ড্রয়িংরুমে। এখানে দেয়ালে টাঙানো আছে তাঁর আঁকা বেশ কিছু ছবি, নিজের হাতে লেখা কবিতা ও ডুডুলসের নিদর্শন। সংরক্ষণ করা আছে বেশ কিছু চিঠি। এছাড়াও দেখলাম তাঁর প্রার্থনাস্থল ও তাঁর লেখার ঘর। পুরো বাড়িটিকেই রাউত খুব সুন্দরভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করেছেন। আর তাঁর কবিগুরুর প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা সত্যিই আমাদের মুগ্ধ করল। আসার আগে একটি রবীন্দ্রনাথের ছবি নিজে হাতে এঁকে, স্মারক হিসাবে আমাদের উপহার দিলেন, নিজে এসে গেট পর্যন্ত আমাদের ছেড়ে দিয়ে গেলেন। রবীন্দ্রভবন ও মি. রাউতকে টাটা জানিয়ে আবার ফিরে চললাম কটেজের দিকে।
সন্ধ্যাবেলা কটেজের সামনের সবুজ প্রান্তরে আগুন জ্বালিয়ে চলে নিজেদের মধ্যে গান, আড্ডা। এই আনন্দঘন মুহূর্তের মধ্যেই মনের কোণে জমে বিষাদের মেঘ। কাল সকালেই প্রকৃ্তির এই স্বপ্নরাজ্য ছেড়ে চলে যেতে হবে কঠিন বাস্তবে, জীবনে বেঁচে থাকার ইঁদুর দৌড়ে সামিল হতে। পরদিন ভোরবেলা ফেরার গাড়িতে উঠেছি, মন বেশ ভারাক্রান্ত। হঠাৎই কালকের দেখা সেই বারবেটটা উড়ে এসে বসল গাড়ির বনেটে, দুবার ‘টিঁ টিঁ’ ডেকে মিলিয়ে গেল গভীর অরণ্যে, যেন বলে গেল ‘বাড়ি ফিরে চিঠি লিখো’।