দুষ্টু রাক্ষসের চিঠি – রেহান কৌশিক


এমনটাই কি কথা ছিল নিবারণ বাবু? তুমিই না একদিন চেয়ে ছিলে এক-একটা কবিতা যেন ফিরিয়ে আনে সুতানুটি-গোবিন্দপুরের রাত্রিকে … তোমারই না দাবী ছিল কবিতারাশি যেন অকস্মাৎ ঠেলে দেয় ময়দানের সবুজ গালিচাকে গঙ্গাসাগরের দিকে এগিয়ে যাওয়া যাত্রি-বোঝাই নৌকার দিকে? তোমার কবিতারই না কথা ছিল নিয়তির কণ্ঠস্বর হওয়ার ঝড়ের ভিতরে … তোমার কবিতারই না কথা ছিল বিষাক্ত…
আমাদের বন্ধু জহরলাল ধাড়া খুব যাত্রা ভালোবাসে। কলেজে পড়ার সময় আমরা বইমেলাতে গিটার নিয়ে গান করেছি। কিন্তু জহর সে সবে কোন মজা খুঁজে পায় না। সে বইমেলাতেই যাত্রাপালা করতে চায়। কলেজ শেষ করে জহর প্রাইমারি ইস্কুলে মাস্টারি পেল। ইস্কুলের গ্রামে সে কিছু যাত্রা অনুগত মানুষ খুঁজে পেয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম ইস্কুলের হেডমাস্টার নলিনীবাবু। জহরকে পেয়ে…
সকাল বেলায় আবার পা-টা মচকালো তবুও আমার ঘুমটা কেন ভাঙছে না একোন ছাত্রী যাকে তুমি প্রবোধ দাও সে-তো তোমার কোনো কথাই শুনছে না তোমার আকাশ ঈশ্বরময় সর্বদা প্রসাদ-টসাদ খাচ্ছো আবার ছড়াচ্ছো মাইক দিয়ে নামগান আর অত্যাচার বন্ধ পড়া পাশের বাড়ির ছোট্টোটার কেইবা তোমার ভক্তিবোধের হিসেব চায় এসব কথা বলতে নাইকো দুম করে প্রশ্ন করো কবিকে…
সবুজ ছায়ার নীচে হলুদ পৃথিবী দেখিনি তো আগে কোথাও হলুদ বৈভবে চাঁদও সরে গেছে পৃথিবী থেকে অনেক দূরে একাকীত্বের জালে বেঁধে রাখা সময় দীর্ঘায়িত হতে হতে হলুদ গাঁদা ফুলে জমা রাখি বেদনার বীজ ।
শববাহকেরা চিরকাল শব বয়ে বেড়ায় তারা জানে সব লাশ চরিত্রগত ভাবে এক কেবল রং বদলায় বয়স বদলায় জাত বদলায় । তার পর রোদ জল বৃষ্টিতে ফুলে ফেঁপে ঢোল । পাশে পাশে হাঁটে বেতাল ; খোশগল্প করে, মন্ত্রণা দেয়, দিন বদলের স্বপ্ন দেখায় কাঁধ বদলের মাঝে দু-এক ছিলিম গাঁজাও ধরিয়ে দেয় ! লাশের ভার বাড়ে ।…
পৃথিবীর জনতা তিন শ্রেণির। একদল ক্ষমতালোভী। যারা পৃথিবীর জল-মাটি-হাওয়ায় দখলদারি কায়েমের লক্ষ্যে বিশৃঙ্খলার জন্ম দেয়। আরেক দল হল সাধারণ জনতা। গতানুগতিক সময় ও জীবনকে মেনে নিয়ে হেঁটে চলে। শোষিত হয়। কখনো অপেক্ষা করে পরিত্রাণের। কেউ যদি মুক্তির পথ দেখায়, তাকে সঙ্গ দেয়। নিজে থেকে পরিত্রাণের পথ আবিস্কার করতে পারে না। তৃতীয় দল হল বিপ্লবী। সমাজের…
ভালো লাগলো ।