টেবিল নং পি১৪-৩ –  আর্যনীল মুখোপাধ্যায়

টেবিল নং পি১৪-৩ – আর্যনীল মুখোপাধ্যায়

বারীন ঘোষালের সাথে আলাপ আঠাশ বছর আগে। ১৯৮৯য়ের জুন মাস। সদ্য ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে জামশেদপুরে টেলকো (বর্তমানে টাটা মোটোর্‌স) তে চাকরি করছি। বছরখানেক কেটেছে। লিটিল ম্যাগের সাথে কোনোকালেই যোগাযোগ নেই। বাড়িতে, বৃহত্তর পরিবারে অনেক লেখক/কবি। তাঁরা সব হয় আকাদেমিক কাগজে লেখেন নয় বানিজ্যিক পত্রপত্রিকায়। কেউ কেউ কিংবদন্তী, যেমন সুভাষ মুখোপাধ্যায়। কিন্তু এক নাটকীয় ঘটনার মাধ্যমে…

সামান্য একটা চিঠি –  উমাপদ কর

সামান্য একটা চিঠি – উমাপদ কর

প্রিয় বারীন দা আশা করি কুশলেই আছো। তোমাকে নিয়ে কিছু লিখতে বলা হয়েছে আমাকে। কী লিখি আমি? শুধুই আকাশ পাতাল ভাবছি। ভেবে ভেবে প্রথম বাক্যটাই এখনও ঠাওরাতে পারলাম না গো। এত কথা এত প্রাণ এত ভালোবাসা এত কাহিনি আর উপকাহিনি। কী দিয়ে যে শুরু করব তাই ভেবে পাইনা। সম্পর্কের মধ্যে যে এত আঠা আছে আগে…

বারীনদার সঙ্গে – স্বপন রায়

বারীনদার সঙ্গে – স্বপন রায়

(কবি বারীন ঘোষাল, ১৯৪৪-২০১৭, এখানে ছিলেন, এই জীবনে। চলে গেলেন। ২৯ অক্টোবর,২০১৭। আমার স্মৃতি অনেক। এখানে কিছু দিলাম। মানুষের মত মানুষ ছিলেন। আর একটা পাসওয়ার্ড পকেটে নিয়ে ঘুরতেন। ভালবাসা। সবাইকে বিলিয়ে দিতেন বলে, সবার কাছে, সব পরিচিতদের কাছে রয়ে গেছে, একটুকরো ভালবাসাই। আমার কাছেও আছে। আমি চাপকান্নায় ধুয়ে তাকে সাফ সুতরো রাখছি। কাউকে দেয়ার সময়…

উড়ি উড়ি পাখিটি উড্ডীন রেখাটি… –  মেঘ অদিতি

উড়ি উড়ি পাখিটি উড্ডীন রেখাটি… – মেঘ অদিতি

বয়সের ব্যবধান যাই হোক, মনের কাছাকাছি যে মানুষের অবস্থান তাকে আজকাল ‘তুমি’ সম্বোধনই রীতি; এই যেন দস্তুর৷ কিন্তু বারীন দা, তাঁকে কখনও তুমি বলে উঠতে পারিনি৷ নব্বই থেকে দ্বিতীয় দশকের অসংখ্যজনই তো তাঁকে ‘তুমি’ করেই বলেন৷ আমি পারিনি, পারি না৷ অথচ বারীন দা আমার জীবনে এক অমোঘ ব্যক্তিত্ব, খুব কাছের কেউ হয়েই আছেন, থাকবেন৷ সময়টা…

একজন বারীন ঘোষাল –  সব্যসাচী সান্যাল
|

একজন বারীন ঘোষাল – সব্যসাচী সান্যাল

‘ফিফটি থাউজ্যান্ড, ম্যানেজেরিয়াল জব, কাম হাল্কা হ্যায়, কভি ভি আ জাইয়ে মিঃ ঘোষাল’ – চুলে কলপ করা, সাফারি স্যুট, ফোলিও ব্যাগের পান্ডেজী বলছিলেন। বারীনদার মুখে মুচকি হাসি – ‘আরে যো ছোড় দিয়া বো ছোড় দিয়া, আভি দোস্ত কো ঘর লে জানা হ্যায়’। ২০০৫, পঞ্চাশ হাজার টাকা, টাটানগর স্টেশনে দাঁড়িয়ে অফার  ও রিজেক্ট। আমাকে নিতে এসেছিল…

বারীন ঘোষাল – সম্পাদকীয়

বারীন ঘোষাল – সম্পাদকীয়

অমর্ত্যলোক থেকে ভেসে আসা — ৪ ডিসেম্বর, ১৯৪৪ অমর্ত্যলোকে ভেসে যাওয়া — ২৯ অক্টোবর, ২০১৭ “আর হেসে উঠলো না চম্পকদানী তার কী যেন একটা হয়েছে খুন খুন করে কেঁদেই গেল আজকে” [ বারীন ঘোষাল ] কোনো কোনো মানুষের হারিয়ে যাওয়া যেন ঠিক হারিয়ে যাওয়া নয় বরং আরো নিবিড়ভাবে টের পাওয়া। যখন এমন এক পরিস্হিতির মুখোমুখি…

চরিত্র – তাপসকিরণ রায়

আমার ছিঁড়ে যাওয়া পকেটে একদিন তোমার প্রেমপত্র ছিল প্রেমিকা বদলাবার আগে আগুনে জ্বালিয়েছি সব— আমি কথা।  রাত্রি জেগে ছিলাম মনের দ্বন্দ্ব চলছিল জানি বিস্তৃত বলে গেল তার তর্জমা সাধারণ নামের মাঝে ব্যর্থতা তুমি তাকাও নি অথচ সাজানো ছিল পবিত্রতা তোমার নাক নথির কারুকাজে ধরা ছিল আমার চরিত্র।

খিলান – সৌরদীপ গুপ্ত

খিলানে হেলান দিয়ে এলোচুল বসন্তকে বসিয়ে রেখেছি ওকে নিদারূণ শাস্তি দিও, জালের এপার থেকে ওর পৌরুষ ঢেকে দিয়েছে পেলব অমৃতগন্ধ তারুণ্যের অমোঘ প্রকাশ খিলানে হেলান দেওয়া বসন্তবিকেলগুলো, রাতভর জেগে থাকা জেনে নিক, নিয়মের বাইরে থাকা শাস্তিভোগ হয়ে যায় তোর দেশে বসন্তের হাতে থাক নির্বাক অসীম আকাশ।

অভিন্ন – অরিন্দম ভাদুড়ী

মেয়েদের শরীরে আলাদা আলাদা গন্ধ থাকে, মুখের আর বুকের গন্ধ একরকম না। প্রতিটা মেয়ের ঘামের গন্ধ আলাদা, ভিন্ন তাদের আবেদন, ইশারা। প্রতিটা মেয়ের স্বপ্নের একটাই গন্ধ- “মাটির হোক, আমাকে একটা ছাদ দিও”

একজন পৃথিবী বিক্রেতা – শুভ্র সরকার

এরপর, অনধীত সমগ্র বর্ষার পতনধ্বনি— একজন পৃথিবী বিক্রেতার ঘুমসংক্রান্ত দুঃস্বপ্ন বিচ্ছুরিত হ’য়ে পড়ে চতুর্দিক। দ্যাখো মানুষগুলো তলিয়ে যাচ্ছে ঘুমঘুম হিমে। মা’র ঘুম থেকে উঠে আসা হাঁসের পালকাবৃত পথের পাশে—তুমি একটা ‘স্নান’ রেখে গ্যাছো। একজন পৃথিবী বিক্রেতার জন্য রেখে গ্যাছো— শেকড়। দ্যাখো, রৌদ্রপ্রখর এক নির্জন জলাশয়ে শেকড় ছড়িয়ে আছে সূর্যাস্ত। আর তোমার বুকের বাঁ-পাশে সব আলো…