হারিয়েছে মেয়েবেলা – দেবব্রত মাইতি
মিথ্যা প্রলোভনে পা দিয়েছিল শিশুমন বিশ্বাস অবিশ্বাসের দেওয়াল গড়ে ওঠেনি তখনও কুস্পর্শ সুস্পর্শ শালীনতা অশালীনতা বুঝে…
মিথ্যা প্রলোভনে পা দিয়েছিল শিশুমন বিশ্বাস অবিশ্বাসের দেওয়াল গড়ে ওঠেনি তখনও কুস্পর্শ সুস্পর্শ শালীনতা অশালীনতা বুঝে…
তবে কেন মনে হয় তোমার শরীরময় ঈশ্বর এসেছেন স্বর্গীয় আর্তি শিথিল করে দিচ্ছে আমায় দেখাচ্ছে ধরিত্রীর মত কণ্ঠলগ্ন হয়ে মার্জনা চাইছ কৃতকর্মের উষ্ণ নিঃশ্বাসে মুছে দিচ্ছ অভিমান নিভৃত স্পর্শমাখা উত্তাপে এক অনবদ্য পুরুষ আমায় আদ্যন্ত নারী করে তুলছে ওই আনন্দময় রূপ আজন্ম ছায়া হয়ে লেগে থাকুক আমার নারী শরীরে।
এখন রাত্রি সাড়ে বারোটা। লালবাজার সিকিউরিটি সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট থেকে, কয়েকজন সরকারী অফিসার এসেছিলেন। ওরা মা’র কলিগ। কিসব যেন সমস্যা হয়েছে। সামান্য কথাবার্তা হল নিচু গলায়। ওরা মা’কে সঙ্গে নিয়ে চলে গেলেন। আমি – সিদ্ধার্থ রায়। দক্ষিণ কলকাতার একটা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ক্লাস নাইনে পড়ি। গল্ফগ্রিনের একটা বহুতলের চারতলার ফ্ল্যাটে মা’র সঙ্গে থাকি। আমার মা পেশায়…
(১) সদ্য ফিরেছে ঘরে ,কপালেতে ক্ষত রাস্তা নিষিদ্ধ ছিল ,রাতও সৌভাগ্য এনেছ বয়ে ? জর্জরিত পা শঙ্খধ্বনি হোক লক্ষ্মী আগমনে (২) এখনো ত্রিশূল হাতে ঢালের আড়ালে রাখা খড়ের পোশাক দুর্গতিনাশিনীর তার পাশে ভাঙা শিশি । তার পাশে সভ্যতার রড না ,এ রক্ত নয় দেবীর যোনির
এইতো সেদিন বাসের ভিতর, তোমায় ছেঁড়ার ক্ষত, একটা দেখি ষোলো বছর, ফ্রন্ট পেজেতে ফটো। এদিক ওদিক কথার মাঝে তোমার কথা এলে, চেঁচিয়ে বলি হেন কারেগা, ওই ব্যাটাদের পেলে। ফেরার পথে ট্রেনেই দেখি দাড়িয়ে তুমি সাথে, আলতো করে পিঠ ছুঁয়ে দি, ভিড়ের অজুহাতে। দিনের শেষে কাজের ফাঁকে একটু সময় পেলে, তোমার জন্য প্রতিবাদী, মোমবাতিটা জ্বেলে।
ভোর হোলো যে, ও মেয়েটি জাগো, লক্ষী হয়ে অনেক বছর ঘুমিয়েছিলে, এবার অবাধ্য হও, কিংবা একটু অলক্ষীও, জোর গলাতে নিজের প্রাপ্য মাগো। অসম্মানে একাই রুখে দাঁড়াও, আঘাতে দাও প্রতিঘাতের শেল, মেয়েলি জীবনের খোলস খুলে এখন থেকে নারী হয়ে ওঠো।
আমি নারী আমিই আধার সৃষ্টি আমাতে দশমাস দশদিনে পৃথিবীর আলো দেখা ধূলার ধূলীতে কত কষ্ট সহ্য করে বুক ভরা স্নেহে কোনো বিশেষ দিন পালনে নয় শ্রদ্ধা ও সম্মানিত হতে চাই সমাজে প্রতিটি মানব হ্রদয়ে সস্নেহে শিক্ষা , প্রতিষ্ঠা, সার্বক উন্নয়ণে পুরুষের সমকক্ষ হয়ে সমান তালে আমি স্বাধীন সেই দিন ই যেদিন থাকবে না মনে কোনো…
দূর দিগন্তের অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে, অনেক অদ্বিতীয় শোভার হাত ছানিকে উপেক্ষা করে আমরা ফিরে আসি আমাদের নিজের শহরে; যে শহরে আমার বড় হয়ে ওঠা। যে শহরের ফুট পাথে একটা কাঠি আইসক্রিম খেতে খেতে বাবার হাত ধরে বাড়ি ফিরেছি, যে শহরে মা-বাবার হাত ধরে পুজোতে ঘুরেছি প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে, যে শহর আমার বড় হবার সাক্ষী, যে…
প্রিয়, মার্গারেট অনেক দিন ধরে তোমাকে চিঠি লিখবো ভাবছিলাম কিছুতেই সময় হয়ে উঠছিলো না আজ, ২০১৮ সাল হঠাৎ তোমাকে চিঠি লিখতে বসলাম। ছেলেবেলায় জেনেছিলাম আয়ারল্যান্ডের ডানগ্যাননের নাম আমার বাড়িতে তোমার ছবি আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী মুখ আমাকে বারবার প্রেরণা দিত বাবার কাছে শুনেছি- সমাজসেবার গল্প মার কাছে শুনেছি- তোমার সেবা ধর্ম জানতে জানতে শুনতে-শুনতে ক্রমে আমিও…
আমি এক অতি সাধারন মেয়ে,, শরৎ বাবু, রবি বাবু অথবা হালের সুবোধ বাবু কেউই আমায় ধর্তব্য়ের মধ্যেই আনেন নাম। কি বললেন? কাব্য এ উপেক্ষিতা? ও উপাধি ও খাটে না আমার জন্য…. মেয়ে জন্মের যাবতীয় উপেক্ষা আর অবহেলা সত্বেও প্রাকৃতিক নিয়মেই যৌবন এসেছিল…. দেহে, মনে… বলে না যৌবনবতি কুক্কুরিও সুন্দরী? আমি তখন উদ্ভিন্ন যৌবনা আমি তখন…