Similar Posts
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়-এর দশটি কবিতা
সন্তান প্রতিটি লেখার পর প্রজন্ম জন্মায়প্রতিটা সন্তানপ্রবণ ভোরের তৃষ্ণা জলতৃষ্ণার্ত হত্যার পারিপার্শ্বিকগ্রন্থি পথ পায়ে হেঁটে জন্মান্তররোদের কুঁজ হতে লাফিয়ে নামা ঘুঘুশোক গাথা শুনিয়ে শুনিয়ে হৃদয় বেশেহাসির ঢেউ লুকিয়ে রাখে বালিশেবিষণ্ণ আলোড়ন রহস্যের ওই পিঠেএকটা শহর দাওএকটা শহরের মুখে পাখির ওঠানামাতামাটে কবিতা হয়ে যাক বাড়িঘরনিঃশব্দ গমের বীজ হয়ে থাক সন্তান। মিশ্ররাগ চা ফুলের আঘ্রাণ ভেজা প্রতি…
উন্মত্ততা – ঐন্দ্রিলা মহিন্তা
পৃথিবী যখন উন্মাদ-কেন্দ্রীয় উল্কা বলয় , সমস্ত তার গুটিয়ে স্পর্শক-বরাবর তুমি মহাশূণ্যে আছড়ে পড়েছো ! হাত-পা চিরে লালচে স্রোতের মাথায় বন্দুকধারী জওয়ান — ধর্ম না জানায় একগুচ্ছ হেমলক মুখে গুঁজে দেয় । নীলচে বৃত্ত সারা শরীরে আলতা ঢেলে স্নান সেরেছে ; পতাকারা গলা অবধি ডুবে পায়ে ধরে শ্বাস-ভিক্ষে করে । ক্লিশেড শরীরেও ধর্ম , জাতি…
ইতি তোমার নদী – অনিন্দিতা মিত্র
একটানা প্রবল বর্ষণে ঘুমহীন শঙ্কিত রাত কাটাও নদীতীরে, বুকে তোমার কাঁপন জাগায় নদী, খোঁজ নাও বারেবারে- ‘কতটা জল বাড়লো?’ পূর্বদক্ষতায় কষে নাও হিসেব- আর ঠিক কতটা জল বাড়লে ছাড়াবে বিপদসীমা, ঠিক কোন মূহুর্তে পালাবে বসতি ছেড়ে, খুঁজে নেবে আবার কোন সাময়িক আশ্রয় বারংবার বিলাপে। এতই যখন ডুবতে ভয় তোমার তবে প্লাবিত হবে জেনেও কেন নদীপাড়েই…
অরিত্র শীলের পাঁচটি কবিতা
শিথিল পেশির মেধাস্বত্ব এইমাত্র মৃত শ্রমিকের পিঠে, নামুক বৃষ্টি মাঠ নিঃশ্বাসে নেই অনুতপ্ত ক্রেন নিঃশ্বাসে নেই তলপেটের ঘ্রাণ বৃষ্টির জল ছুঁয়েছে কীর্তিহাট পেশিতে পেশিতে ইঁটের তাগাড় নুনমাখা ক্যাম্পখাট ডানাছিঁড়ে মরা মাসে একা একা পাখিদের চেয়েও উঁচু দিয়ে উড়ে বাতাসে দিয়েছে ছ্যাঁকা শূন্যের সব দুঃখকীর্তি ভরে বটের শিকড় এলেবেলে গেছে মরে চাতকের ঠোঁট, ঠোঁটের খিঁচুনি, উনুনের গায়ে স্যাঁকা নরম ঘাসের যেতে বসেছিল স্তম্ভবিন্দু…
কৌরব বংশ – অভি গুপ্ত
পৃথিবীর চারদিকে আজও তারা আছে যাদের আঙ্গুলী হেলনে বাকী সব বাঁচে। রাজনীতি নয় শুধু তাদের সৈকতাবাস ধর্ম ও দেয় তাদের কাঙ্খিত বিশ্বাস। রুক্ষতার ধ্বজা ওড়ে প্রান্তিক কামনায়। জীবনের মদিরা আকন্ঠ পান করে অসাম্যতার হার পরে উঠে আসে যারা। বৈধ অসুখী হয়ে যারা অাজন্মকাল ধংসের মাতোয়ারায় মগ্ন হয়ে রয়। সকলেই বাঁচতে চায় আপন মহিমায়। কিছু জন…
জরাবর্গ – গৌতম বসুর অপ্রকাশিত কবিতা
১১ খেলাঘরের ছায়া গভীরতর অরণ্যে প্রবেশ তো করলাম,এইবার,ভার নামানোর পর, বার করলাম সেই মানচিত্র।এতদিন ধ’রে ভাঁজে ভাঁজে এত ছিদ্র বহন করেছি? ……. পাখি বলল,আমার শরীর আছে, মাটিতে যতক্ষণ,ততক্ষণ ছায়াও আছে বটে; আকাশে আমি ছায়াহীন।আমি বললাম, বেশ, দেখাও দেখি, খেলাঘরের ছায়া॥