
Similar Posts
জীবাশ্ম – কল্পরুপ পাল
পৃথিবী চাটছে একটা ধূষর রোদ সকালের কৃষ্ণচূড়া ঝলসে মৃতপ্রায় কফিন জিরিয়ে নেয় ঘাসের ছায়ায়; ঘাসেরা বড়ই নির্বোধ! ধারাল মাঞ্জা,উড়ন্ত ঘুড়ি ছাদ নয়,আকাশ হবে ছিনতাই, হিটলারেরা নাড়াচ্ছে লাটাই তাই ধফ্ করে থেমে গেল তোমার তুবড়ি। ঝকঝকে প্রাসাদ,বিজয় উল্লাস ম্যাহেফিলে জীবন ষোলোআনা, শুধু প্রাসাদই জানে তার ইতিহাস পায়রাগুলো যে আর বসে না!

…এবং পাঁচটি কবিতা – রাজীব দত্ত, দয়াময় মাহান্তী, অনঞ্জন
রাজীব দত্তের দুটি কবিতা এক্সিট পোল আলাদিন ফোন করেছিল—এ-বছর উৎসবে জেলার কবিরা সবমূল মঞ্চে সমবেত হবে।সামগান, দীপ প্রজ্বলন হলেতাদেরই মিছিল মিশন রো, পার্কস্ট্রিট ঘুরেফিরে যাবে নিজ নিজ স্থানে।অপচয় রোধে আগাম জানাতে হবেশাকাহারী কিনা, তার সাথে নতুন কবিতা। গিন্নিকে ডাল বাটতে বলেবাজারের থলে হাতে রাস্তায় নামি।সিলেটেরই বাতিক বোধহয়—মিক্সিতে বাটা ডাল কখনোই তত মিহি নয়।আচমকা ধাঁধা লাগে,…

তোমায় ভুলিনি – অভিষেক মিত্র
এইতো সেদিন বাসের ভিতর, তোমায় ছেঁড়ার ক্ষত, একটা দেখি ষোলো বছর, ফ্রন্ট পেজেতে ফটো। এদিক ওদিক কথার মাঝে তোমার কথা এলে, চেঁচিয়ে বলি হেন কারেগা, ওই ব্যাটাদের পেলে। ফেরার পথে ট্রেনেই দেখি দাড়িয়ে তুমি সাথে, আলতো করে পিঠ ছুঁয়ে দি, ভিড়ের অজুহাতে। দিনের শেষে কাজের ফাঁকে একটু সময় পেলে, তোমার জন্য প্রতিবাদী, মোমবাতিটা জ্বেলে।

অক্ষর শপথ এবং আত্মস্থ জানালা – সুজিত মণ্ডল
লিখতে লিখতে ফুরিয়ে যাচ্ছে অবেলা মা-ভাষায় ডাক দিচ্ছে কেউ আমি জবাব কুড়িয়ে তোমাকে নিচ্ছি একুশ… এই ভাষা-সংসার আমার মুক্তির ঋণ ঋণের শপথে লিখে দিই পলাশ পাখির গান ভাষা সোহাগে তোমাকেও বাসি ভালো প্রিয় নদী এখন আত্মস্থ জানালায় শিস দেয় অক্ষর চাবুক সংসার শুধু ঝরিয়ে যায় পাতা একুশের মতো দুঃখ এবং গৌরবে এবার তুমিও দীর্ঘগামী হও…

ছাপ।বৈধতা – কৃষ্ণেন্দু দাসঠাকুর
সময়ে, সময়ে গলাগলি হয় চেঞ্জ হয়ে যায় লাল আলো জ্বলা গলি যন্ত্রণা দুগালে জড়িয়ে মেয়েটির বিপরীত মুখে বয়ে যাওয়া স্রোতে লেপ্টে যায় কালো রঙ নিজের সামনে আয়না, কোনদিন দাঁড়ায়নি তবু অবৈধ শিশির গুড়ো মিশে যায়– মেয়েটির অবুঝ সবুজ শিরায় পলাশ নামক শব্দ তালুর রেখায় পুরেনি মাখতে চাইনি আবির।বসন্ত এসেছে লোমকূপে তার ঝুরো ঝুরো নিসপিসে হাত…

বুনো রামনাথ : বিস্মৃতির অন্তরালে এক আদর্শ শিক্ষকের জীবনকথা – দীপক সাহা
একসময় ভাগীরথী–জলাঙ্গীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত নবদ্বীপের জ্ঞানচর্চার কথাও ভূ-ভারতে ছড়িয়ে পড়েছিল। এখানে স্মৃতি, জ্যোতিষ, তন্ত্রশাস্ত্র, বেদ, ব্যাকরণ, পুরাণবিদ্যা, ধর্ম, সংস্কৃতিচর্চার বিস্ময়কর প্রসার ঘটেছিল। চৈতন্যোত্তর নবদ্বীপ, তক্ষশীলা, কাশী, মিথিলা, মথুরা ও বৃন্দাবনের সঙ্গে বৈষ্ণব ধর্মানুশীলনের শ্রীপাট হিসেবে সম্মান-শ্রদ্ধা পেয়ে এসেছে। তাই শুধু ভৌগোলিকভাবে নয়, বিদ্যা, ধর্ম ও সংস্কৃতির অনুশীলনে নবদ্বীপের ভূমিকাটি একটি মহাসঙ্গমের। নবদ্বীপের সেই খ্যাতির অন্যতম…