অঘ্রাণে – জিললুর রহমান

শেয়ার করুন

ঘ্রাণ নেবো – নাসিকা উঁচিয়ে টানি;
পৃথিবী কি চিরকাল অঘ্রাণেই থাকে?

আমাকে তো অঘ্রাণের ধান ডেকে ফিরে
শীতের আলস্য কিছুতে ছাড়ো না তুমি
আমার সে শস্যদানা উঠে না দেউড়ি ঘরে
সোমলতা জোছনায় গড়াগড়ি যায়,
এভাবেই বুঝি পৌষমাসে সর্বনাশ আসে…

দ্বিখন্ড পঞ্চমী চাঁদে ভেজা চুমু লেগে থাকে গায়ে
সর্বনাশা অশ্রু জলে ভাসিয়ে দেয় ছাতার শরীর

শেয়ার করুন

Similar Posts

  • ঘোলাটে মায়া – আকাশ সাহা

    ঘষা কাচে গুমোট অন্ধকারের মাঝে, মুখ রাখি পড়ন্ত বেলায় আমার নির্ভেজাল হৃদয়ের শার্সিতে কখনও বা হাত রাখি জানালার শিকলে , কখন আবার ঘোলাটে জীবনের প্রেমহীন অনুকম্পায় হেটে চলি একমুঠো ঝড়ের আশায় জানি আমি, জানালার ওপারে, ঘোলাটে ঘষা কাচের ওপ্রান্তে পৃথিবীর আর একটা রূপ ওপর হাতে আমার জন্য, সন্ত্রাস,হানাহানি,বিস্বাসঘাতকতা.অরাজনৈতিকতা প্রেমহীন মানবত্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে. তার আলোকরাশিতে,…

  • মুসাফির – স্বপ্ননীল রুদ্র

    গুলাম আলির গজলের মুসাফিরের মতন একটি আত্মহনন অভীষ্ট শুঁকে শুঁকে আমাদের শহরমুখী হয়েছিল। পকেটে আংশিক উঁকি দেওয়া রুমালের মতো এক বৃক্ষবয়ন-প্রাণিত গলি নিরবচ্ছিন্ন ছায়ানির্ভর অবিবাহিত বাড়ির নামফলক রেখেছিল তার উপোষ-ভারের ঠোঁটে…   নেমপ্লেট খেতে খেতে উপাদেয় ঢেকুর তুলেই তাক থেকে পেড়ে নিয়েছিল ঘুম-উপন্যাস সমগ্র —   বরফলজ্জিত বিছানায় পাঠ-প্রতিক্রিয়া শুয়ে…   কার্ণিশে ছাদে উত্থিত আনন্দঘন…

  • শুভদীপ মাইতির দশটি কবিতা

    ১.রোদ হলুদ বেড়ালের মতো জানলা দিয়ে ঢুকে আসে হিরন্ময় আভাপুড়ে যেতে যেতে, অন্ধকার কেটে কেটে প্রকট হনসূর্য দেবতা চলে যাওয়ার আগে এসো প্রণাম করি পবিত্র হৃৎস্পন্দনে ২.অসুখ মনখারাপের দিনে ভীষণ ছোঁয়াচে বসতহীন পাখিটির মেঘবাদলাপুরের সেতু ছুঁয়ে গুমোট আকাশ, চুপি পাখিরালয়সানাইয়ের করুণ সুরের মতো দরদ। ভিজে যাচ্ছে আনন্দনগর ও জন্মান্তর ৩.ভাঙন জিরানকাটের চিহ্ন নিয়ে শরীর। ভেঙে…

  • সিন্টু প্রধানের পাঁচটি কবিতা

    পোশাক তোমার চাদরটার সাথে আজ দেখা হয়েছিল। এই শীতের সকালে ওই একটা চাদর কতজনের গায়ে ঘুরছে তা আমার জানা নেই। জানা নেই ঠিক এই মুহূর্তে কতজন রোদে শুকোতে দিয়েছে চাদরটা। কেবল দেখা হয়ে যায়… তোমার পাজামাটার সাথে, ওড়নাটার সাথে, চাদরটার সাথে, অন্য অন্য শরীরে। তোমার প্রতিটা চুড়িদার গোছানো আছে আমার মাথার ভিতর। তারা কখনো পুরনো…

  • বন্ধনী – মোহর ব‍্যানার্জী

             মাতৃস্তন‍্য  পান করা          শিশুর ছবি দেখে       যুগল  ভ্রু হয় কি কুন্চিত?       অথচ জামা পিছলে গিয়ে       অন্তর্বাস দিলে  উঁকি          সমাজ  শঙ্কিত ।      “সুডৌল বুকের অধিকারী        হবার”বিজ্ঞাপনের ছবি      …

  • দুটি দীর্ঘ কবিতা – অর্ণব রায়

    এ ক্লিন ডেথ   তারপর এক দুঃখ শেষ হইতে না হইতে অপর দুঃখ আসিল। সে বুঝিল জগতে ঢেউ কাহাকে বলে। বা জগৎরূপী ঢেউ সে বুঝিল। তাহার আতঙ্কের সম্মুখে দ্বিপ্রহরের ন্যায় মুখব্যাদান করিয়া সে গর্জন করিল, ‘চোপ্‌, চিৎকার করলে জ্যান্ত তুলে নিয়ে যাবো’। তখন তাহার পেছনে আরও তিন-চার লাইনের সেনা ছিল। আবছা অন্ধকার বলে তাদের পড়া যাচ্ছিল…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *