Similar Posts
রাঁধুনি – সংস্কৃতি ব্যানার্জী
আলো থেকে অসুখের দিকে যেতে আস্ত এক সরাইখানা, আঁশটে, স্যাঁতস্যাঁতে পাকানো তেলছোপ। লেগে যেতে যেতে সম্পর্কের তলায় আরো মোচড়, ওপর থেকে নিচ। ধিমে আঁচে স্মৃতি রেঁধে যাই রোজ পাত পেড়ে বসে থাকে অভুক্ত সংসার।
সুভাষিনী – পিনাকী
সুভাষিনী, তোমাদের দেশে একেবারে মাটির গভীরে প্রবেশ করার মতন কোনো মাতৃভাষা নেই? চারপাশে এত এত শব্দের সমাহার- লক্ষ লক্ষ মানুষ কোটি কোটি শব্দ খরচ করছে, অথচ ভাষাকে যাপন করছে না। সুভাষিনী, তোমাদের দেশে এক্কেবারে নিরক্ষর মায়ের মতন করে বলার কোনো মাতৃভাষা নেই? ভাষা থেকে ভাষান্তরে চলেছে সকলে অক্লেশে, অবলীলায়,অসম্ভব তৎপরতায়, অথচ ভাষার শিকড় জানে না।…
কাজী জহিরুল ইসলামের কবিতা
খোঁজাখুঁজি অন্ধকারে পা বাড়ালাম, শব্দ হলো আস্তে লুকিয়ে রাখা ড্রয়ারখানি খুলে হাত রেখেছি রাতের নাভিমূলে আলোর নিচে অমন করে গোপন খুলে হাসতে? কর্ণের উত্থান দাঁতায়ন ঘটেছিল ভিন্ন দুটি ধর্মসভা-জন উদ্বেগের কোনো এক দূর মোগল-বিকেলে কবির মানবতা-প্রবণ কলম মিলনরাত্রি গেয়েছিল নির্জন সন্ধ্যায়। উচ্চাকাঙ্ক্ষী নেটিভ মহাভারতের অন্ধকার চাদরে আদর বুলিয়ে ফোটায় কিছু শিক্ষাতারা সাহেবের বিলেতি বাগানে…
ফিরে এসো কাদম্বরী – তুলি রায়
ছাদের একচিলতে রৌদ্র ছুঁতে চাওয়া রবির কিরন উদ্ভাসিত অনুরনণে সেই প্রথমবার… শুকনো পাতার মর্মরধ্বনি আজো শুনি ঐ বুঝি তুমি এলে? চেনা চৌকাঠ দোলনা আমার না বলা লুকোনো দুপুর পরশে নাজানি কি হরষে আঁখিতলে কাজললতা জ্বলে খাঁচার পাখীর ডানার ঝাপট কুটে মরে দেয়াল থেকে দেয়াল
অনুরোধ – চিরঞ্জিৎ তা
যাও সুখ উড়ে, প্রাসাদটা ছেড়ে, যাও তুমি ওদের কাছে ; যারা দীন হীন, অনাহারে ক্ষীণ, প্রতিদিন ব্যথা নিয়ে বাঁচে । শোন তুমি বলি ওগো সুখডালি, যে প্রাসাদে আছ তুমি আজ ; তার গায়ে কত আছে শত শত শ্রমিকের শোণিতের কাজ ! এ সমাজ তবু দেয় না তো কভু, গণিতে শোণিতের মান ; অনাহার…
বৈশাখ – জ্যোতির্ময় রায়
আদুরে রোদে পোড়া মুখ ।সে সুখে… বৃষ্টি কিনেছে মাটি ।শয্যাগত তার ভীষণ মন খারাপের অসুখে ।। এরপর চেনা নাম ধরে ডাকে কেউ দোপাটি’র ছাতা খুলে।শরীর ভেজায় সেও।। ডাকপিয়নে পরে থাকে চিঠি।চলে গেছে ফাল্গুন , আমি ভাবি সোহাগী রাত ,তার হয়েছে খুন।অন্য সে’আগুন।। কেন ভুলে যাই এ অবহেলা , কেন ভুলে যাই দাগকাটা তার বিষন্ন বিকেল…

