আজন্মকাল থেকে তুমিতো জানতে -‘এ বাড়ি তোমার নয়!’
প্রকৃতির নিয়মে তারপর ক্রমাগত বেড়ে ওঠা,
শখের বাগানের অযাচিত -অনাহুত আগাছার মতো।
পুতুল খেলার ছলে শেখোনি কি!
এ ধরনীর সামান্য ধুলিকনাতেও তোমার নেই কোনো দাবী, নেই অধিকার।
সমস্ত জীবনব্যপী তুমি শুধু বাঁধা ক্রীতদাসী।
এ সমাজ,এ সভ্যতা,এ বিশ্বায়ন,
এই বিশাল মহাবিশ্বের এক বিন্দুও তোমার নয়!
জেনেছো তো সব
সেই কবে! জন্মলগ্ন থেকে…
অত্যন্ত কাছের প্রিয়মুখ,প্রেমিক,আত্মজ,
আত্মীয়-পরিজন,চেনা-অচেনা, ঘর ও বাহিরের প্রতিটা পদক্ষেপই বুঝিয়ে দিয়েছে,
একদন্ড ঠাঁই নেই তোমার এই নশ্বর সংসারে।
অথচ কীসের আশায়!কোন গোপন-গভীর দুরাশায়!?
রাত-ভোর অপাত্রে দান করো এতো-এতো অফুরান, অবিনাশী, অবিস্মরণীয় নৈসর্গিক সম্পদ!
কোন দুর্গম সমুদ্রের ভয়াবহ গহীনে
ভোমরার বুকে লুকিয়ে রেখেছো তোমার অক্ষত ‘প্রাণশক্তি’..!