অতিকথা – গৌতম চৌধুরী
মনস্থির করিয়া একই দিকে যাঁহারা উড়াল দেন, তাঁহারাই সাধক
মনেপ্রাণে এই কথা বিশ্বাস করিয়া শূন্যে ডানা মেলিয়া দিয়াছিল
মানস দীঘির হাঁস
মাইলের পর মাইল উড়িয়া চলিয়া যে-পাহাড়ের ঝরনাজলে
তাহাদের দিনকয়েক বিশ্রাম লইবার কথা
সেইখানে পঁহুছিয়া প্রথম হোঁচট খাইল সে
পাহাড় কই, ঝরনা কই
পাদদেশ হইতে গলগল করিয়া পীতাভ ধোঁয়া বাহির হতেছে
আর বুম বুম শব্দে ধ্বসিয়া পড়তেছে চাঁই চাঁই পাথরখণ্ড
কী এক যজ্ঞ চলতেছে সেখানে, কে জানে
এইবার তাহা হইলে আরও দক্ষিণে যাওয়া যাক
পাহাড়তলির ঝিলের জলটি আসমানের মতোই নীল
মাইলের পর মাইল উড়িয়া, সেইখানে আসিয়া হাঁস দেখিল
সেই শান্ত পল্লী হইতে দলে দলে মানুষ পলাইতেছে
ঘোরতর এক যুদ্ধ বাধিয়াছে নাকি
তবে কি এ-জীবনে তাহার আর সাধক হইয়া উঠা হইল না
ভাবিতে ভাবিতে
এক জনবহুল নগরীর ক্লিন্ন একটি জলাশয়ে আসিয়া
অবশেষে শরীর ভাসাইল সে
দেখিল, দুরবীন-চোখে মানুষের দল
তাহার সাধনার গতি ও প্রকৃতি পরখ করতেছে
ধুত্তোর, বলিয়া সে একটি এদেশীয় হংসীর দিকে আগাইল