Similar Posts
একটা সিগনাল – ঝর্ণা মুখোপাধ্যায়
প্রাচীন মানুষটার কাছে জেনেছিলাম যুদ্ধ হাঁটছে অনমনীয় পুঁজি অমঙ্গলের দিকে সিলেবাসে ধোঁয়া-আগুন-পেশাদার রাজনীতি নেশাতুর হাওয়ায় ব্রেকিং নিউজ, খুনীদের বিচরণ অর্জুনের তীর লক্ষ্যভেদে। হাভাতে বিশ্ব, জল জমা উঠোন দুঃখের রাত পোহায় ভাঙা চোরামুখ, আপদ উদ্বাস্তু! ছপছপ পায়ের শব্দ উড়ে আসে টান টান বিবেক-বিশ্বাস-রাজপথ ভাসিয়ে অবিরাম- শব্দ ফেটে ফেটে পৃথিবী জাগায়। একটা সিগনাল – ‘যুদ্ধ নয় শান্তি…
এসো রাহুল (ইরাকী আবদার) – শাল্যদানী
# ভালোবাসা এতদিনে দুতরফায় নীল হলো। কার্পেটে ক্যানভাসে না পাঠানো চিঠি, আসলে কবিতা। অতঃপর কবি নোবেল পেলেন। # খুব আনন্দের অন্দরমহল আজ, প্রুফশিটের ভীতি উধাও। জমিয়ে প্রেম মজলিশি মেজাজ। কবির অন্তঃপটে রাহুল… # কবিতা আজ কথাকলি এক্সরে করা মহাতপা পেন, সুষুম্না ধরে নেমে আসা লাইন। কবির পর্নোগ্রাফি কবিতা হলো। # ইতি নর্মাল প্রেমিক… পেনের মতো…
যুদ্ধাগ্নি – মৌ দাশগুপ্ত
আমি কখনও যুদ্ধের বা যুদ্ধবাজ মানুষদের চোখে চোখ রাখিনি, তবু দু হাতে মুখ ঢাকার ছলে দশ আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে দেখে নিয়েছি ধ্বংসের সাথে সর্বনাশের সহবাস, চোখের জলের সাথে আপাত বৈরিতার অভিনব গমণদৃশ্য, লোভ আর আর হিংসার সর্বগ্রাসী ব্যভিচার, আর আগ্রাসী ক্ষমতার সাথে রাজনৈতিক আগুনের অবাধ কামলীলা। যুদ্ধের আগুন নিভে গেলে স্তিমিত ভস্মের কাছে আঁজলা পেতেছি,…
ক্ষত ঝরা স্বপ্ন – দেবনাথ সুকান্তের গুচ্ছ কবিতা
১। আর কারো প্রয়োজন নেই শুধু এই নীরবতা এবং বিচ্ছেদবিপন্ন প্রদীপ হয়ে বসে আছে আত্মার সাক্ষী দেবে শব্দ থেকে ঝরে পড়ছে ব্রহ্ম শিরা উপশিরায় তার পুনর্বিন্যাসছেঁড়া খাম থেকে বেরিয়ে বলবে সেপ্রতিটি সিঁড়ির নীচে একটি অন্ধকার কোন বসে থাকেতুমি এক অনাদি বয়স ২। এখানে স্রোত ছিল অন্তরমুখিআমি পাশাপাশি হেঁটে যাওয়া চর থেকে হারানো কিছু অঙ্গীকার পেয়েছিযে…
সাহিত্যাকাশে নারী জ্যোতিষ্ক- আশাপূর্না দেবী-সুনন্দ মন্ডল
চিরকালের বাঙালি মধ্যবিত্ত সমাজের স্নেহ-প্রেম ও দুঃখময় জীবনকে যিনি বাংলা সাহিত্যে পরিস্ফুট করেছেন–তিনি আশাপূর্না দেবী। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় লেখিকা। রক্ষণশীল সমাজে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তৎকালীন(১৯০৯) পুরুষশাসিত সমাজে নারীদের স্বাধীনতা ছিলনা স্কুল-কলেজে পড়ার। সেই রক্ষণশীল পরিবারেই তাঁর বিয়ে হয়। পুরুষশাসিত সমাজ-সংসারে চার দেয়ালের মধ্যে বন্ধ থেকেও, এমনকি বাইরে ঘুরে ঘুরে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় না করেও…
সম্পাদকীয়
বাইবেলে কথিত আছে একসময় সারা পৃথিবী জুড়েই একটি মাত্র ভাষাই ছিল। মানুষ একে অপরের মনের ভাব বুঝতে পারতো সহজেই। ফলে তারা ঠিক করে বৃহত্তর মানব সমাজ তৈরী করবে। একটি নগরের পরিকল্পনা করে যেখানে একসাথে থাকতে পারবে তারা। এই ইচ্ছেতে ভিৎ গাঁথলো। ছড়িয়েছিটিয়ে না থেকে সমবেত বাসস্হানের জন্য নগর আর দূর্গ বানাতে শুরু করলো। কিন্তু ঈশ্বরের…

