মহানিষ্ক্রমণের পথে – ওমাইমা আবদুল্লা ভাষান্তর : মৃণাল শতপথী
[লেখক পরিচিতি: ওমাইমা আবদুল্লা একজন সুদানি লেখক । সিভিল ইঞ্জিনারিং নিয়ে পড়াশোনা করলেও তিনি বিভিন্ন সুদানি খবর কাগজ এবং পত্রিকায় কাজ করেছেন । এখনও অব্দি তাঁর তিনটি গল্প সংকলন এবং তিনটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে ।]
যতদূর চোখ যায় বিস্তীর্ণ বালুরাশি। প্রখর সূর্যালোকে বুঝিবা সেই ভূমি অলস লোকের মতো ভাসমান। আঁধার নামলে নিশ্চুপ প্রতীক্ষা তার পরের দিনের। সে বালির ঢেউ বন্য, কখনও আবার শান্ত। যেন মনে হয় অলক্ষ্যে নজর রাখে আমাদের প্রতিটি পদচারণা। মৃত মানুষের মতো হা-ক্লান্ত ঘুমিয়ে সকলে। কেবল দলের সর্দার আর আমি জেগে আছি। সারাদিন খালি পায়ে আমাদের হেঁটে চলা, মহাদীর্ঘ পথ। মাথার ওপর সূর্যের ফাঁপা মুখ, তাতে খোদাই অজস্র গভীর রেখা, ধূসর রঙের দুটি ঠোঁট।
হঠাৎ করেই জীবন এক সর্পিল অন্ধকার টানেলের মতো চলে গেছে। মায়ের বুকের দুধ শুকনো, গতকাল থেকে তাদের পেটে একবিন্দু দানা পড়ে নি। বিশুষ্ক, বিবর্ণমুখগুলি। ক্ষুধায় ক্লিষ্ট চোখে অপার শূন্যতা, পিপাসার ক্লান্তিতে ধুঁকছে। শিশুদের আর্ত কান্না ক্রমে এক অবিমিশ্র গোলযোগ তৈরি করতে থাকে আর আমরা পালাতে চাই সেখান থেকে। ভয়ে শিহরিত সেই চিৎকার হয়তো বা অনাগত কোন বিপদ সঙ্কেত, আমার জানা নেই। শিশুদের হাড়-পাঁজরা বেরিয়ে আছে, খিদে এবং রোদের তীক্ষ্মধার জিভ তাদের গা থেকে চেটে নিচ্ছে অবশিষ্ট জীবন রস।
সীমাহীন বালুরাশি দিগন্তে মিশে গিয়ে অনিঃশেষ এক মরুভূমি। তিলমাত্র মেঘ নেই আকাশে যা শুষে নিতে পারে রোদের অসহনীয় তাপ। খরা এসে গ্রাস করেছে উপত্যকা, এখন কেবল মরীচিকা ঝলঝল করে। যুদ্ধ এবং খরা দুইয়ে মিলে চিবিয়ে খেয়েছে মরুভূমিতে গজানো সাধারণ উদ্ভিদকেও।
দলের সর্দার একজন দীর্ঘকায়, রাশভারী লোক। হেঁটে চলা মানুষের সারিটিকে খুব কাছ থেকে নিরীক্ষণ করে চলেন। শান্তও নিডর এক মানুষ, সবার কাজে সর্বদা প্রস্তুত, প্রত্যেকের প্রতিই সমান শ্রদ্ধা রাখেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এবার খাওয়াদাওয়া করবো, তারপর আবার পথ চলা শুরু হবে।’ তাঁর স্বর সংযত, সহমর্মী অথচ নির্দেশের অদ্ভুত এক জোর তাতে।
তিনি প্রার্থনায় বসেন। উদাত্ত স্বরে আল্লাহ্র কাছে বিরামহীন এই যাত্রার ক্লেশ লাঘবের দোয়া মাগেন। শিশুদের ওপর আশীর্বাণী ঝরে পড়ুক, গৃহহারাদের শোকে নামুক সান্ত্বনা। তারপর তিনি নিজের দীর্ঘ, শোকার্ত প্রার্থনা রাখেন।
বালুভূমির ওপর আমাদের যাত্রার খানিক বিরাম হয়। আমাদের দলটিতে পঞ্চাশজন মহিলা, দশটি শিশু এবং এক অন্তঃসত্ত্বা।
সময়ের কেমন ধীর লয় এখানে। প্রতিটি মিনিট চলেছে অসীমের দিকে। দীর্ঘ চলার পর বঞ্জর ভূমির মাঝে অবস্থিত এক গ্রামে আমরা পৌঁছই। বালিতে প্রায় গিলে নেওয়া সেই গ্রাম চট করে চোখে পড়ে না। গ্রামটি এই মরুর ভয়াল হাওয়ার বিরুদ্ধে একাকী দাঁড়িয়ে। প্রায় হাফ-ডজন মতো পরিবারের বাস এখানে, আমাদের দেখে তারা স্বাগত জানাতে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে একে একে। বহুদিনের না-কাচা, ঘামে স্যাঁতস্যাতে তাদের কাপড়চোপড়ে লেগে থাকা বালি ঝুরঝুর ঝরে পড়ে। তাদের কাঁধে রাইফেল। সারা মুখে ফোস্কা পড়া বুঝিবা অন্ধকার জগত থেকে উঠে আসা মানুষ সকল। আমাদের দেবার মতো কিছুই নেই তাদের কাছে, আমাদের চেয়েও হতভাগা তারা। তাদের কুঁড়ে ঘরগুলি এক মানুষ উচ্চতার, আবর্জনার স্তূপের ওপর দিয়ে প্রবেশের ফোকর। আমাদের খানিক বসতে দেবার মতোও উপায় তাদের নেই। সম্মুখের অশেষ শূন্যতার দিকে আবার আমাদের চলা শুরু হয়। সূর্য চলেছে ঘরের পথে তবু আগুনের শিখার মতো লকলকে তার রশ্মি।
আমাদের গাইড দূরের জিহ্বা সদৃশ বালিয়াড়ির দিকে আঙুল তোলে। ‘ওই যে ওর পেছনেই বর্ডার। কিন্তু তার আগে আমাদের তুরেবা গ্রাম পেরোতে হবে।’
আমরা চুপচাপ হাঁটি। শিশুদের কান্নার শব্দও মরে আসছে ক্রমে। কেবল গাধার খুরের অলস শব্দ। আর তখনই এক নারীর কাতর ধ্বনি খানখান করে ফেলে যাবতীয় নীরবতা। প্রসবের সময় হলো।
দ্রুত আমরা একটি স্থান দেখে তাঁবু ফেলি। অন্যান্য মহিলারা মেয়েটিকে নিয়ে গিয়ে বসায় তাঁবুতে। তার মা গরম জল চায়, আগুন জ্বালাতে হবে। কিছুপরেই অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটি গোঙাতে গোঙাতে হামাগুড়ি দিয়ে তাঁবু থেকে বেরিয়ে আসে। তার পেছনে পথ করে আসে রক্তের লম্বা রেখা।প্রবল রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে মেয়েটির, আমি তার স্বামীর কথা জিজ্ঞেস করি। তারা বলে লোকটি যুদ্ধের সময় মরেছে, সেই শেষবার যে হামলা হলো। যুদ্ধ, যার কারণে আমাদের ঘরদোর ছেড়ে এই পথে পালিয়ে আসা। মেয়েটি দরদর করে ঘামে। মহিলারা তাকে ঘিরে দাঁড়ায়। আমি খানিকটা পিছিয়ে দাঁড়াই যদি আমাকে প্রয়োজন হয় তাদের। মেয়েটি তার মায়ের হাত আঁকড়ে ধরে আছে, চোখে প্রবল আকুতি। এক মহিলা আমাকে বলে, ‘দেড় মানুষ মতো একটা গর্ত করতে হবে, তার ওপর লম্বালম্বি পাততে হবে একটা মোটা ডাল।’ সময় নষ্ট না করে আমি এবং গাইড মিলে গর্ত খোঁড়া শুরু করি। মেয়েটির গোঙানি বাড়তে থাকে, অতল বিষাদ লেগে থাকে সেই কাতরতায়। মহিলাটি চিৎকার করে ওঠে, ‘তাড়াতাড়ি, মেয়েটি মারা যাচ্ছে!’
আমাদের কাজ শেষ হতেই বয়স্ক মহিলাটি ডালের মধ্যিখানে একটি রশি কষে বাঁধতে বলে। দড়ির অন্য প্রান্তটির ফাঁস মেয়েটির দুটি হাতে গলিয়ে দেওয়া হয় এমন ভাবে যাতে তার শরীর গর্তের মধ্যে ঝুলে থাকে। এই প্রথমবার আমি কোনো রশি-প্রসবের সাক্ষী হচ্ছি!
মেয়েটি দাঁড়াতে পারছে না, তার কাপড় ভিজে গেছে রক্তে। তার জোড় হাত দড়িতে শক্ত করে বাঁধা। আমি তাকে বয়ে নিয়ে গিয়ে গর্তে নামাই। যে মহিলাটি আমাকে গর্ত খুঁড়তে বলেছিলো সে গর্তের ভেতর নেমে পড়ে এবং নিচে বসে মেয়েটির কাপড়টি খুলে নামায়।বাকিরা গর্তের কিনারে দাঁড়িয়ে মেয়েটির মনে জোর আনতে উৎসাহ দিতে থাকে।
গর্তে বসে থাকা মহিলা আমাদের বলে, ‘প্রসব করানো কঠিন হয়ে উঠছে, রক্ত যে বন্ধই হচ্ছে না!’
মেয়েটির মা জোরে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে, আমি গিয়ে তার মাথায় হাত রাখি, ‘সব ঠিক হয়ে যাবে, প্রার্থনা করো।’তার মা জোরে জোরে মাথা নাড়ে, ‘বাঁচবে না, ও বাঁচবে না, আধেকের বেশি মেয়ে আমাদের জন্ম দিতে গিয়ে এভাবে রক্তপাতে মরে যায়।’
আমি কী করবো ভেবে পাই না। সারা শরীর আমার ভীরু পায়রার মতো কাঁপছে। নবজাতকের ক্ষীণ কান্না শুনে এগিয়ে যাই। সে এক কন্যা শিশু। কিসের টানে শিশুটিকে দুই হাতে নিয়ে বুকে আলতো করে রাখি, বুঝিবা আমিই এক নতুন মা! তাঁবুর ভেতর জমা আবর্জনা থেকে বেরিয়ে থাকা এক খণ্ড কাপড়ে শিশুটির রক্তে ধোয়া ক্ষুদ্র দেহটি ধীরে শুইয়ে রাখি। শিশুটির লম্বা গড়ন, স্থানীয় মরু-তামাটে রঙ। শতবর্ষের মতো প্রতিটি মিনিট পেরোয়। খুব ইচ্ছে করে শিশুটির সঙ্গে তাঁবুতে থাকি আরও কিছুক্ষণ। তাঁবুর বাইরে নতুন মায়ের রক্তপাত বন্ধ হচ্ছে না। বাকিরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যায় রক্ত বন্ধ করার। নতুন মা দূর দিগন্তরেখার দিকে স্থির চেয়ে থাকে, যেখানে এক মরীচিকা মিথ্যে আশা নিয়ে ঝলঝল করে। অসহ বেদনা নিয়েও মেয়েটির ঠোঁটে মৃদু হাসি। পনেরো বছর বয়স মোটে তার, মেয়েটির মা বলেছিলো আমাকে।
প্রত্যেকেই অস্থির হয়ে পড়ে, এমনকি সর্দার তাঁর ধৈর্য হারিয়ে চর্কির মতো ঘুরপাক খান। মেয়েটি বাকরুদ্ধ হয়, পার্থিব শরীর স্থির হয়ে আসে। তার আত্মা পরমাত্মায় লীন হতে হতে জাগতিক যন্ত্রণা মুক্তির পথ পেরিয়ে জন্নতের রাজ্যে চলে যায়। মহিলারা দুই মুষ্টিতে বালি মুঠো করে মাথার ওপর ছুঁড়ে মারে, হাহাকার করে ওঠে। কাঁদি আমিও, নিশ্চুপ এক কান্না, যেভাবে ডারফুর অঞ্চলের কোনো মানুষ গণহত্যার বিভীষিকার পর তার ঘর-বাড়ি-স্বদেশচ্যুত হয়ে নীরবে পাড়িদেয় অন্য কোথাও।
কয়েকজন মরদেহটির শেষযাত্রার প্রস্তুতি নিতে থাকে, বাকিরা কেঁদে যায় অবিরাম। ইতিমধ্যে কেউ খেয়াল করে শিশুটি নড়ছে না। এক বৃদ্ধা শিশুটিকে তুলে ধরে। সারা পথ বুড়িকে আমি বিশেষ কথা বলতে শুনিনি কিন্তু এবার সে তীক্ষ্ম কান্নায় ডুকরে ওঠে, ‘বাচ্চাটাও মরে গেছে গো!’
এক বিষাদ-নদী বুঝি সবার চোখের থেকে গড়িয়ে নামতে চায় আর তাপিত বালুর স্পর্শ মাত্র উবে যায় সেই জল। মৃত শিশুটিকে তার মরা মায়ের বুকে শুইয়ে তারই কাপড় দিয়ে মরদেহ ঢাকা হয়। কান্না ভেজা চোখে আমরা দেহ দুটিকে বয়ে নিয়ে যাই তাদের অন্তিম শয্যায়। প্রার্থনা শেষে দেহ দুটি নামানো হয় কবরে। কবরে বালি ছুঁড়ে দিতে দিতে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারি না। হাঁটু মুড়ে বসে পড়ি কবরের কিনারে। সূর্য এখন সম্পূর্ণ অস্তমিত। অন্ধকার ঘন হয়ে সম্মুখের পথ ডুবিয়েছে।
গাইড বললো, ‘আমাদের এখন থামা চলবে না, তবেই বর্ডারে পৌঁছতে পারবো দ্রুত।’
একরকম গাদাগাদি করে মন্থর গতিতে আমরা হাঁটি। গাইড আকাশের নক্ষত্র দেখে পথ খোঁজে আর আমরা ম্লান চাঁদের আলোয় পা ফেলে যাই, দানবীয় এক আঁধার থেকে নিজেদের রক্ষা করার কথা ভাবি। যুদ্ধ এসে এই মরুর জীবন সর্বস্বান্ত করেছে, ধ্বংস করেছে যতেক প্রাচীনবৃক্ষ, খরায় পোষ্যপ্রাণীর মুখে খাবার তুলে দেয় যে শক্ত কাঁটা ঝোপ, লোপাট করেছে তাও, নেই আর কিচ্ছু নেই।
আমরা লড়ে যাই মরুর তীক্ষ্ম শ্বাসের কামড়ের সঙ্গে, ঘর-বাড়ি, জন্মস্থান ছেড়ে পালিয়ে আসা নারীদের হাহাকার নিয়ে আমরা পথ চলি। সবাই ক্ষুধার্ত, শিশুরা, বড়োরা, বয়স্করা কেউ সেই খিদে সহ্য করতে পারে না। আমাদের স্বল্প অবশিষ্ট খাবার। মহিলারা আর হাঁটতে পারে না। সামান্য কিছু খেজুর বাড়িয়ে দিই, তাদের চোখ অনুসরণ করে আমাকে, যে চোখে ভেসে থাকে সীমাহীন যন্ত্রণার ভাষা, সহজে যা পড়া যায়। খিদে মরে আসতেই তেষ্টা এসে জায়গা নেয় তার।
আমরা তাঁবু ফেলি, আগুন ধরাই রান্নার জন্য। ক্ষুধায় দিশাহারা মহিলারা চুপচাপ একটানা কাজ করে চলে। অকস্মাৎ একটি ভয়ার্ত স্বর আছড়ে পড়ে পেছন থেকে। সর্দার চকিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে ছুটে যান। পেছনে আমি।
‘বাটু!’ চিৎ হয়ে পড়ে থাকা একটি দেহের পাশে দাঁড়িয়ে এক মহিলা।
সর্দার জিজ্ঞেস করে, ‘ও কি মারা গেছে?’
মহিলা কোনো উত্তর দেয় না। জল ভরা চোখে কেবল এক দৃষ্টে চেয়ে থাকে আবর্জনার স্তূপের দিকে। ওইখানে বাটু নামে মেয়েটি শুয়ে আছে, বিস্ফারিত দুটি চোখের সাদা অংশটি প্রকট। হয়তো সে দূরের দিগন্ত দেখছে। ব্যর্থ লড়াই দিয়ে খুঁজতে চেয়েছে সীমানার ওপারে একটি রিফিউজি ক্যাম্প, হৃত আশা, মরীচিকার মতো ভ্রান্তি নিয়ে। তার শূন্য চাউনি আমার ভেতরে এক ভয় শিউরে দিয়ে যায়। ওই দৃষ্টিতে দেখি নিজস্ব ভূমি, নিজের ঘর হারানোর মরিয়া কাকুতি, কীভাবে বর্বর আগ্রাসন লুটে নিয়ে যায় আমাদের মর্যাদা টুকু। সেকি চেয়ে আছে জন্নতের দিকে? যখন আমরা তাকে কবর দিচ্ছি, তার শক্ত মুঠি তখনও আঁকড়ে ধরে আছে বালি। তার কবরের ওপর আমরা একটি বড়ো পাথর রেখে আসি।
একটি নিচু ঢিপির উপর বসে সর্দার তাকিয়ে থাকেন বিস্তৃত বালুরাশির দিকে। ‘বেটা, এই যে বিশাল বালুভূমি দেখছো, একসময় এখানে ছিলো গ্রামের পর গ্রাম, শয়ে শয়ে পরিবার বেড়ে উঠেছে এখানে।’ তিনি দীর্ঘ এক শ্বাস ফেলে বলেন আবার, ‘সব এখন বালিতে মিশে মরুভূমি হয়ে গেছে!’
সর্দার অন্ধকারের ভেতর নেমে যান। আমি অনুসরণ করি তাঁকে। আমরা পাশাপাশি বসি মেঘমুক্ত আকাশের নিচে। অদ্ভুত এক তমসায় ডুবে যাচ্ছে এই মরুভূমি। অভেদ্য নীরবতার ভেতর কিছুই শোনার মতো থাকে না, কেবল সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র প্রতি আস্থার ডাক ছাড়া, তাঁর অপার মহিমা নিয়ে তিনি চুপ করে থাকেন।
রাত শেষ হয়ে আসে। ভোরের আলো ফুটবার আগে সুদীর্ঘ এই যাত্রার ডাক দেওয়া সেই স্বর থামতে বলে আমাদের, মহানিষ্ক্রমণের পথে হয়তো কোনো একমুক্তির দিকে আমাদের যাত্রা।