Similar Posts
আত্ম প্রত্যয় – সাদিয়া তাহমিন মিশু
আমি জন্মেছি এই ধরণীর কোলে যেভাবে এসেছিল আমার বাবা-মা, ভাই- বোন, যেভাবে এসেছ তোমরা– আমার স্বজন, আমি বাঁচতে তাই আমার অধিকারের ছায়ায় আমারই কর্মযজ্ঞে– শাণিত চেতনায়। আমার আছে দুখানি হাত, দুটো চোখ, আমার আছে উর্বর মস্তিষ্ক– কল্যাণী বোধ, আমি বাঁচবো আমার হিম্মত বলেই- আমিও জানি– পৃথিবীর আদিগন্ত ইতিহাস, আমি ফেলবো না কোন ক্লেদার্ত দীর্ঘশ্বাস। আমি…

আঁধার-প্রবাসী – সাগর সূত্রধর
হেথা হতে যাও, পুরাতন। হেথায় নূতন খেলা আরম্ভ হয়েছে। আবার বাজিছে বাঁশি, আবার উঠিছে হাসি, বসন্তের বাতাস বয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চলে গেছি আমি, দূরে, বহুদূরে, শত-অভিমান ভরে ফিরবো না জেনো কোনোদিন, বিদায় চিরোতরে। শুভ্র মেঘ য্যামন অস্পৃর্ষনীয় সুন্দর সুদূর আকাশে তারা-ফুল শুধুই দেখা যায় নক্ষত্র প্রকাশে। শ্রান্ত দিঘিতে ফোটে যেমন ক্ষণিকের আলো-ছায়ার খেলা তোমার জীবনে…
কালো দিনের সনেট – অয়ন চৌধুরী
আমাদের ফ্রিজগুলো ভরে আছে বারুদে বাতাস ভরে আছে তীব্র ঝাঁঝালো সীসাগন্ধে আমাদের সমস্ত পকেট বুলেটে, পিস্তলে আর আমাদের মনের বাক্সগুলি দামি অন্ধকারে প্রতিটি রাতের চাদর ফুটো করে কে ওরা বাইকবাহিনী! ভাতের থালায় ছিটকে পড়ে জমাট জমাট রক্তকাহিনি প্রতিটি বাটিতে মাছের ঝোলের নীচে চাপ হয়ে আছে প্রতিশোধ আগুন প্রতিটি ক্ষতের মুখে কে ওরা ঠেসে দিল মুঠো…

প্রেম ও দ্রোহ – পিনাকী
এখনো তো কত শোক রয়ে গেছে বাকি রক্তের ঋণ বেড়ে গেছে ক্রমাগত কত বঞ্চনা, টাটকা গভীর ক্ষত তা’বলে গোলাপ আজকে ফুটবেনা কি? কত শত লোক এমনিই মরে গেছে কত বিদ্রোহ প্রভাব রাখেনি কোনো তবুও তো চাকা থমকে যায়নি, শোনো মানুষ এখনো হাতে হাত রেখে বাঁচে। যারা বলে গেছে ভালোবাসো ভালোবাসা স্পর্শ করেনি তাদেরকে কারো ঘৃণা…

অন্তর্বাসে লজ্জাকঙ্কাল – অনুরূপা পালচৌধুরী
সস্তা মাল : আমদানিতে মেটারনিটি চাঁদফল পবিত্র ফুলজরায়ুতে বিরোধী গন্ধ অথচ নগ্ন পাঁপড়িতে অতৃপ্ত দেবতারই দীর্ঘায়ু আউলিয়া ফুটপাতে বরফ ঊর্বরতা : কেটে ফেলি উন্মাদ কুয়াশার সাদাটে স্রোত শিকড়ে অর্ধনারীশ্বর। পদ্মযোনির হুতাশে লজ্জাবতীর লালছোপ।আমি নারী দিনের লোমশবুকে রাতের ঘনিষ্ঠ চোখ। চোখের পাতা। পাতায় সবুজ স্টেরিওটাইপ। নক্ষত্রসন্ধি।পৃথিবীর ভেদচিহ্ন পালন মা তুমিও____ পরিপূরক আলোপিন্ডে আবেগের দইবড়ায় রজত জয়ন্তী…

কাল্পনিক চরিত্র – রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়
পৃথিবীর প্রকোষ্ঠে ক্লেশ ছড়ায় ৷ মানুষের অকাতর ঘুম বিবেকের পাশ ফিরে শুয়ে থাকা ৷ যে গাছটা আভূমি বিস্তৃত শুধু তোমাকে ঘিরে ৷ যার পাতায় পাতায় তোমার যাতায়াত, যার ডাল শিকর তোমার নৈবেদ্য সাজায় , তাকে তুমি ছারখার কর ৷ মরিচ ঢেলে দাও দু’চোখের পরিখায় ৷ অন্ধত্বের দায় নিয়ে তবু বারবার ফিরে যাই তোমার ভুল ঠিকানায়…
আত্ম প্রত্যয় – সাদিয়া তাহমিন মিশু
আমি জন্মেছি এই ধরণীর কোলে যেভাবে এসেছিল আমার বাবা-মা, ভাই- বোন, যেভাবে এসেছ তোমরা– আমার স্বজন, আমি বাঁচতে তাই আমার অধিকারের ছায়ায় আমারই কর্মযজ্ঞে– শাণিত চেতনায়। আমার আছে দুখানি হাত, দুটো চোখ, আমার আছে উর্বর মস্তিষ্ক– কল্যাণী বোধ, আমি বাঁচবো আমার হিম্মত বলেই- আমিও জানি– পৃথিবীর আদিগন্ত ইতিহাস, আমি ফেলবো না কোন ক্লেদার্ত দীর্ঘশ্বাস। আমি…

আঁধার-প্রবাসী – সাগর সূত্রধর
হেথা হতে যাও, পুরাতন। হেথায় নূতন খেলা আরম্ভ হয়েছে। আবার বাজিছে বাঁশি, আবার উঠিছে হাসি, বসন্তের বাতাস বয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চলে গেছি আমি, দূরে, বহুদূরে, শত-অভিমান ভরে ফিরবো না জেনো কোনোদিন, বিদায় চিরোতরে। শুভ্র মেঘ য্যামন অস্পৃর্ষনীয় সুন্দর সুদূর আকাশে তারা-ফুল শুধুই দেখা যায় নক্ষত্র প্রকাশে। শ্রান্ত দিঘিতে ফোটে যেমন ক্ষণিকের আলো-ছায়ার খেলা তোমার জীবনে…
কালো দিনের সনেট – অয়ন চৌধুরী
আমাদের ফ্রিজগুলো ভরে আছে বারুদে বাতাস ভরে আছে তীব্র ঝাঁঝালো সীসাগন্ধে আমাদের সমস্ত পকেট বুলেটে, পিস্তলে আর আমাদের মনের বাক্সগুলি দামি অন্ধকারে প্রতিটি রাতের চাদর ফুটো করে কে ওরা বাইকবাহিনী! ভাতের থালায় ছিটকে পড়ে জমাট জমাট রক্তকাহিনি প্রতিটি বাটিতে মাছের ঝোলের নীচে চাপ হয়ে আছে প্রতিশোধ আগুন প্রতিটি ক্ষতের মুখে কে ওরা ঠেসে দিল মুঠো…

প্রেম ও দ্রোহ – পিনাকী
এখনো তো কত শোক রয়ে গেছে বাকি রক্তের ঋণ বেড়ে গেছে ক্রমাগত কত বঞ্চনা, টাটকা গভীর ক্ষত তা’বলে গোলাপ আজকে ফুটবেনা কি? কত শত লোক এমনিই মরে গেছে কত বিদ্রোহ প্রভাব রাখেনি কোনো তবুও তো চাকা থমকে যায়নি, শোনো মানুষ এখনো হাতে হাত রেখে বাঁচে। যারা বলে গেছে ভালোবাসো ভালোবাসা স্পর্শ করেনি তাদেরকে কারো ঘৃণা…

অন্তর্বাসে লজ্জাকঙ্কাল – অনুরূপা পালচৌধুরী
সস্তা মাল : আমদানিতে মেটারনিটি চাঁদফল পবিত্র ফুলজরায়ুতে বিরোধী গন্ধ অথচ নগ্ন পাঁপড়িতে অতৃপ্ত দেবতারই দীর্ঘায়ু আউলিয়া ফুটপাতে বরফ ঊর্বরতা : কেটে ফেলি উন্মাদ কুয়াশার সাদাটে স্রোত শিকড়ে অর্ধনারীশ্বর। পদ্মযোনির হুতাশে লজ্জাবতীর লালছোপ।আমি নারী দিনের লোমশবুকে রাতের ঘনিষ্ঠ চোখ। চোখের পাতা। পাতায় সবুজ স্টেরিওটাইপ। নক্ষত্রসন্ধি।পৃথিবীর ভেদচিহ্ন পালন মা তুমিও____ পরিপূরক আলোপিন্ডে আবেগের দইবড়ায় রজত জয়ন্তী…

কাল্পনিক চরিত্র – রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়
পৃথিবীর প্রকোষ্ঠে ক্লেশ ছড়ায় ৷ মানুষের অকাতর ঘুম বিবেকের পাশ ফিরে শুয়ে থাকা ৷ যে গাছটা আভূমি বিস্তৃত শুধু তোমাকে ঘিরে ৷ যার পাতায় পাতায় তোমার যাতায়াত, যার ডাল শিকর তোমার নৈবেদ্য সাজায় , তাকে তুমি ছারখার কর ৷ মরিচ ঢেলে দাও দু’চোখের পরিখায় ৷ অন্ধত্বের দায় নিয়ে তবু বারবার ফিরে যাই তোমার ভুল ঠিকানায়…
আত্ম প্রত্যয় – সাদিয়া তাহমিন মিশু
আমি জন্মেছি এই ধরণীর কোলে যেভাবে এসেছিল আমার বাবা-মা, ভাই- বোন, যেভাবে এসেছ তোমরা– আমার স্বজন, আমি বাঁচতে তাই আমার অধিকারের ছায়ায় আমারই কর্মযজ্ঞে– শাণিত চেতনায়। আমার আছে দুখানি হাত, দুটো চোখ, আমার আছে উর্বর মস্তিষ্ক– কল্যাণী বোধ, আমি বাঁচবো আমার হিম্মত বলেই- আমিও জানি– পৃথিবীর আদিগন্ত ইতিহাস, আমি ফেলবো না কোন ক্লেদার্ত দীর্ঘশ্বাস। আমি…

আঁধার-প্রবাসী – সাগর সূত্রধর
হেথা হতে যাও, পুরাতন। হেথায় নূতন খেলা আরম্ভ হয়েছে। আবার বাজিছে বাঁশি, আবার উঠিছে হাসি, বসন্তের বাতাস বয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চলে গেছি আমি, দূরে, বহুদূরে, শত-অভিমান ভরে ফিরবো না জেনো কোনোদিন, বিদায় চিরোতরে। শুভ্র মেঘ য্যামন অস্পৃর্ষনীয় সুন্দর সুদূর আকাশে তারা-ফুল শুধুই দেখা যায় নক্ষত্র প্রকাশে। শ্রান্ত দিঘিতে ফোটে যেমন ক্ষণিকের আলো-ছায়ার খেলা তোমার জীবনে…