কার্ল মার্কস ও বিশ্ব-সাহিত্যের অতিমানবেরা – শঙ্খদীপ ভট্টাচার্য (পর্ব ১ )

শেয়ার করুন

কার্ল মার্কস ও বিশ্ব-সাহিত্যের অতিমানবেরা (কিছু মনন সমলয়ন কথা)

প্রথম অধ্যায়: কার্ল মার্কস ও বালজাক

‘দাস ক্যাপিটাল’ এবং ‘দ্য আননোন্ মাস্টারপিস’

পর্ব: ১


“Do you see anything?” Poussin whispered to Porbus.
“No. Do you?”
“Nothing.”
“The old fraud’s pulling our leg.”
—Honoré de Balzac (‘The Unknown Masterpiece’)

স্বনামধন্য জীবনী-সাহিত্যিক যজ্ঞেশ্বর রায় বালজাক সম্পর্কে বলেছেন,
“বালজাক শুধু স্বকালের নয় সর্বকালের শ্রেষ্ঠ উপন্যাসিক। কিন্তু নিজেকে শুধু শ্রেষ্ঠ উপন্যাসিক করেই ক্ষান্ত থাকেননি ফ্রান্সের সাহিত্য-জগতের এই প্রমিথিউস। অমৃতে বিষে মিশিয়ে নিজের জীবনটাকেও তিনি এক অবিস্মরণীয় ‘মিথ্’-এ রূপান্তরিত করেছিলেন। ধন চাই মান চাই ভালোবাসা চাই — এই তিন আকাঙ্ক্ষার আগুনে ঝাঁপ দিয়েছিলেন বালজাক। যে তীব্র আগুনে পুড়ে আর সকলে ছাই হয়ে যায়, সে আগুন পুড়িয়ে তাঁকে করেছিল খাঁটি সোনা।”

সময়টা ১৮৬৭ সালের ফেব্রুয়ারি। ‘দাস ক্যাপিটাল’-র প্রথম খণ্ড মুদ্রকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কিছু আগে, মার্কস এঙ্গেলসকে অনুরোধ করেছিলেন বালজাকের লেখা ‘দ্য আননোন মাস্টারপিস’ (The Unknown Masterpiece) পড়ার জন্য। গল্পটি ছিল এমনই একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ মাস্টারপিস যা পড়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে মার্কস বলে উঠেছিলেন, “full of the most delightful irony”। (1) একথা জানা সম্ভব হয়নি, মার্কসের কথা মতো এঙ্গেলস ‘দ্য আননোন মাস্টারপিস’ পড়েছিলেন কিনা। যদি সত্যিই বালজাকের লেখাটি এঙ্গেলস পড়ে থাকেন, তবে নিশ্চিত যে তিনি মার্কস উল্লেখিত বিড়ম্বনার (irony) জায়গাটি অবশ্যই খুঁজে পেতেন এবং একইসঙ্গে উপলব্ধিও করতেন যে, সেই লেখাটি পড়ে তাঁর প্রাণের পুরানো বন্ধুটির কেনই বা এমন বাঁধভাঙা উল্লাস।

অজানা এই মাস্টারপিস হল বালজাক নির্মিত অবিস্মরণীয় চরিত্র ‘ফ্রেনহোফার’ (Frenhofer)-এর হাতে চিত্রিত একটি ছবি। ফ্রেনহোফার হলেন একজন মহান চিত্রশিল্পী। তিনি টানা দশ বছর ধরে একটি প্রতিকৃতি বারংবার নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ করেছেন। মহৎ শিল্পীরা যেমন হয়। নিখুঁত, আরও নিখুঁত করার নাছোড়বান্দা ভাবাবেগ। ফ্রেনহোফারের দৃঢ় বিশ্বাস, এই ছবি “বাস্তবতার সবচেয়ে সম্পূর্ণ উপস্থাপনা” (the most complete representation of reality) প্রদান করে শিল্পে এক বৈপ্লবিক মুহূর্তের সূচনা করবে। তিনি তাঁর সহশিল্পী পাউসিন (Poussin) এবং পোর্বাসকে (Porbus) সমাপ্ত ক্যানভাসটি দেখার অনুমতি দেন। অধীর আগ্রহে তিনি অপেক্ষা করেন তাঁদের প্রতিক্রিয়া শোনার। ছবিটি দেখে পাউসিন ও পোর্বাস আঁতকে ওঠেন। তাঁদের মনে হয়, প্রচণ্ড বিভ্রান্তিতে রঙের তুষারঝড় একে অপরের ওপর এলোমেলোভাবে আছড়ে পড়েছে। “আহ!”, ফ্রেনহোফার চোখে জল নিয়ে বলে ওঠেন। তাঁর গলার স্বর চাপা, কিন্তু তীব্র উত্তেজনায় জমজমাট। পাউসিন ও পোর্বাসের বিস্ফারিত চোখের নেপথ্যে যে বিস্ময়, যা ছিল নেতিবাচক, তার প্রকৃত চরিত্রটি ধরতে না পেরে তিনি বলেন, “এমন নিখুঁত পরিপূর্ণতা তোমরা প্রত্যাশা করনি! তাই না?”। তারপরেই ফ্রেনহোফারের ভুল ভাঙে। তিনি শুনতে পান, পাউসিন পোর্বাসকে বলছেন, শেষমেষ ফ্রেনহোফার একদিন সত্যিই বুঝতে পারবে যে, প্রতিকৃতিটাতে এত বেশি বার রং চাপানো হয়েছে যে দেখার মতো কিছুই আর তাতে অবশিষ্ট নেই।

“আমার ক্যানভাসে কিছুই নেই!” ফ্রেনহোফার চিৎকার করে ওঠেন। বিপন্ন বিস্ময়ে একবার সহশিল্পীদের দিকে, তারপর নিজের সৃষ্টির দিকে তাকান। “আপনি এটা কী করেছেন?” পোর্বাস চাপা স্বরে বলেন। বৃদ্ধ ফ্রেনহোফার পোর্বাসের হাতটা শক্ত করে ধরে তাঁকে বলেন, “তুমি এখানে কিছুই দেখতে পাচ্ছ না, মূর্খ! শয়তান! দুর্বৃত্ত! ধূর্ত শিকারি! কেন, তাহলে এখানে কী করতে এসেছ? প্রিয় বন্ধু পোর্বাস, এমন কি হতে পারে, তুমি, তুমিও আমাকে নিয়ে উপহাস করছ? উত্তর দাও! আমি তোমার বন্ধু; বলো, আমি কি আমার ছবি নষ্ট করেছি”। পোর্বাস ইতস্তত করেন, কথা বলতে সাহস পান না, কিন্তু বৃদ্ধ ফ্রেনহোফারের ফ্যাকাশে মুখে ছড়িয়ে থাকা গভীর উদ্বেগ এতটাই হৃদয়স্পর্শী ছিল যে তিনি ক্যানভাসের দিকে ইঙ্গিত করে বললেন, “দেখুন!”

ফ্রেনহোফার তাঁর ছবির দিকে মুহূর্ত খানেক তাকিয়ে থাকেন, তারপর স্তব্ধ হয়ে যান।

“কিছু না! কিছুই না! আর আমি দশ বছর ধরে কাজ করলাম!” কান্নায় ভেঙে পড়েন ফ্রেনহোফার। পাউসিন পোর্বাসকে স্টুডিও থেকে বের করে দেওয়ার পর, ফ্রেনহোফার তাঁর সমস্ত চিত্রকর্ম আগুনে (the fire of Prometheus) পুড়িয়ে ফেলে অবশেষে আত্মহত্যা করেন।

মার্কসের জামাতা পল লাফার্গের (Paul Lafargue) মতে, বালজাকের গল্পটি, “made a great impression on him because it was in part a description of his own feelings”। (2)

মার্কস তাঁর নিজের অদেখা মাস্টারপিস ‘দাস ক্যাপিটাল’-র জন্য বহু বছর ধরে অবিশ্রান্ত দানবিক পরিশ্রম করেছিলেন। দুই মলাটে প্রকাশিত হওয়ার আগে মার্কসের এই মাস্টারপিস যখন গর্ভাবস্থায়, তাঁর কাজের অগ্রগতির আভাস পেতে চেয়েছিলেন পরিচিত অনেকেই। তাঁদের কাছে মার্কসের উত্তর ছিল অনেকটাই যেন ফ্রেনহোফারের ভঙ্গিতে, “না, না! আমার এখনও কিছু ফিনিশিং টাচ দেওয়া বাকি আছে। গতকাল সন্ধের দিকে ভেবেছিলাম যে হয়ে গেছে… আজ সকালে, দিনের আলোয়, ভুলটা ধরতে পেরেছি।”

মাস্টারপিসটিকে প্রকাশ্যে আনার আগে ফ্রেনহোফারের মানসিক চাঞ্চল্যের যে ব্যাপক বিস্তার, ‘ক্যাপিটাল’ সম্পর্কে এঙ্গেলসের মার্কসকে লেখা চিঠিতে যেন তারই স্পষ্ট আভাস। এঙ্গেলস লিখছেন,

“I always had the feeling that that damn book, which you have been carrying for so long, was at the bottom of all your misfortune, and you would and could never extricate yourself until you had got it off your back. Forever resisting completion, it was driving you physically, mentally and financially into the ground, and I can very well understand that having shaken off that nightmare, you now feel quite a new man… I am exceedingly gratified by this whole turn of events, firstly, for its own sake, secondly, for your sake in particular and your wife’s, and thirdly, because it really is time things looked up.” (3)

এঙ্গেলস

‘দাস ক্যাপিটাল’ প্রকাশিত হওয়ার আগে পর্যন্ত যে সকল প্রতিকূল ঘটনা পরম্পরার মধ্যে মার্কস নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন, ক্রমশ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তা সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। হামবুর্গে, মেইসনার (Meissner) মার্কসকে উৎসাহের সঙ্গে অভ্যর্থনা জানিয়ে তাঁর কাজ প্রকাশ করার প্রতিশ্রুতি দেন। (4) প্রত্যাশায় উপচে পড়া মার্কস জেনেভার এক বন্ধুকে বলেছিলেন যে ‘ক্যাপিটাল’ “কোন প্রশ্ন ছাড়াই সবচেয়ে ভয়ানক ক্ষেপণাস্ত্র যা এখনও পর্যন্ত বুর্জোয়াদের মাথায় নিক্ষেপ করা হয়েছে।” (5) নিউইয়র্কে আরেক বন্ধুকেও লিখেছিলেন যে, তিনি আশা করেছিলেন যে এক বছরের মধ্যেই ক্যাপিটালের তিনটি খণ্ড প্রকাশিত হবে। মাস্টারপিসটি সম্পূর্ণ করার জন্য প্রতিটি মুহূর্ত মার্কস ব্যবহার করেছেন এবং সে কারণেই বলছেন “যার জন্য আমি আমার স্বাস্থ্য, সুখ এবং পরিবার বিসর্জন দিয়েছি।” (6) অবশেষে, এঙ্গেলসকে মনের কথা জানিয়ে লিখেছেন,

“I hope and confidently believe that in the space of a year I shall be made, in the sense that I shall be able to fundamentally rectify my financial affairs and at last stand on my own feet again.” (7)

১৮৪৬ সালের প্রথম দিকে, যখন ইতিমধ্যেই লেখা শেষ হয়ে গিয়েছিল, মার্কস তখনও লেখাটির ছাপতে দেওয়ার ব্যাপারে সম্পূর্ণ সম্মত নন। তাঁর জার্মান প্রকাশককে লিখেছিলেন, “আমি লেখাটার বিষয় এবং শৈলী দুটো ক্ষেত্রেই আবার সংশোধন না করে প্রকাশ করব না। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে একজন লেখক যিনি অবিরাম লেখার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন তিনি ছ মাস আগে যা লিখেছেন ছ মাস পরে তা অবিকল প্রকাশ করতে পারেন না।” বারো বছর পরেও মার্কস যখন কাজটিকে প্রত্যাশিত বিন্যাস ও আঙ্গিকে শেষ করতে পারলেন না, তার অন্তর্নিহিত কারণটি ব্যাখ্যা করে মার্কস বলেছিলেন, “…the thing is proceeding very slowly because no sooner does one set about finally disposing of subjects to which one has devoted years of study than they start revealing new aspects and demand to be thought out further.”

মার্কসের জীবনীকার মেরি গ্যাব্রিয়েল (Mary Gabriel) প্রসঙ্গত লিখছেন,
“ম্যানচেস্টারে যাওয়ার আগে এঙ্গেলসকে প্রুফ দেওয়ার জন্য তিনি [মার্কস] মাত্র তিন দিন লন্ডনে ছিলেন। এঙ্গেলস এখনও পর্যন্ত তাঁর কোন কাজ পড়েননি এবং মার্কস তাঁর প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে নার্ভাস ছিলেন। তিনি এঙ্গেলসকে তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমালোচক হিসেবে মনে করতেন এবং একইসঙ্গে তাঁর সবচেয়ে কঠোর সমালোচকও।” (8)

অন্যদিকে মার্কসবাদী মানবতাবাদী দার্শনিক ও লেখক মার্শাল বারম্যান (Marshall Berman) ‘দাস ক্যাপিটাল’-র লেখককে বর্ণনা করেছেন এইভাবে,
“বেঠোফেন, গয়া, টলস্টয়, দস্তয়েভস্কি, ইবসেন, নিৎশে, ভ্যান গঘের পাশাপাশি, উনিশ শতকের মহান নির্যাতিত [tormented] দানবিক প্রতিভাদের মধ্যে একজন, যারা আমাদেরকে উন্মাদ করে তুলেছিল, ঠিক যেভাবে তাঁরা নিজেদেরকেও তাড়িয়ে বেড়িয়েছিল কিন্তু তাঁদের এই যন্ত্রণা এত বেশি স্পিরিচুয়াল [spiritual] ক্যাপিটাল তৈরি করেছিল যার ওপর ভিত্তি করেই আমাদের আজকের এগিয়ে চলা।” (9)

সত্যি কথা বলতে, এই সকল মহৎ ও অনন্য সৃষ্টি সম্পূর্ণতায় আসার আগে পর্যন্ত যে পথ শিল্পীদের অতিক্রম করতে হয় তা সতত সুখের নয়। আক্ষরিক অর্থেই তাদের হতে হয় নির্যাতিত। মার্কসও সে অর্থে কোনোভাবেই ব্যতিক্রম ছিলেন না।

১৮৫০ সালের জুন মাসে ব্রিটিশ মিউজিয়ামের পাঠকক্ষে একটি টিকিট পাওয়ার পর, মার্কস পরের বছরের বেশিরভাগ সময়টাই অর্থনীতির বই এবং ‘The Economist’-র পুরানো সংখ্যাগুলি পড়ে কাটিয়েছিলেন। ১৮৫১ সালের এপ্রিলের মধ্যেই তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দাবি করলেন যে তিনি, “…so far advanced that I will have finished the whole economic stuff in five weeks’ time. And having done that, I shall complete the political economy at home and apply myself to another branch of learning at the Museum.” (10) লন্ডনে পা রাখার মুহূর্ত থেকেই কার্ল এবং জেনি মার্কসকে একের পর এক ঘরোয়া সংকটে জর্জরিত হতে হয়েছিল। প্রবল অভাবী সংসারে ইতিমধ্যেই তাঁদের তিনটি সন্তান, চতুর্থজন ১৮৪৯ সালের নভেম্বরে পৃথিবীর মুখ দেখে। ভাড়া না দেওয়ার জন্য পরের বছরের মে মাসে চেলসির একটি ফ্ল্যাট থেকে উচ্ছেদ হওয়ার পর মার্কস তার পরিবারকে নিয়ে ডিন স্ট্রিটে একজন ইহুদি লেস-বিক্রেতার বাড়িতে অস্থায়ী আশ্রয় পান। যেখানে মোটামুটি একটি স্থায়ী বাসস্থানে যাওয়ার আগে পর্যন্ত প্রায় নিঃস্বতার দোরগোড়ায় এসে একটি অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক গ্রীষ্ম তাঁদের কাটাতে হয়েছিল। জেনি সেই সময় আবার গর্ভবতী এবং ক্রমাগত অসুস্থ। মার্কসের দু-কক্ষের অ্যাপার্টমেন্টের সমস্ত আসবাবপত্রই ছিল ভাঙাচোরা, সবকিছুর ওপরেই ঘন ধুলোর পুরু আস্তরণ। একজন প্রুশিয়ান পুলিশ গুপ্তচর মার্কসের পরিবারের এই থাকার জায়গাটি স্বচক্ষে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। পরে বার্লিনে তার প্রভুদের কাছে ফিরে তিনি বলেছিলেন যে মার্কস “একজন সত্যিকারের বোহেমিয়ান বুদ্ধিজীবীর অস্তিত্ব নিয়েই বেঁচে আছেন… যদিও তিনি বেশিরভাগ সময়ই দিনের পর দিন আলসেমিতে নিষ্ক্রিয় থাকেন, কিন্তু তারপরেই প্রবল কাজের তাড়নায় অক্লান্ত ধৈর্যের সঙ্গে দিনরাত কাজ এগিয়ে নিয়ে যান। ঘুমোতে যাওয়া বা জেগে ওঠার তাঁর কোনো ছকে বাঁধা সময় নেই। তিনি প্রায়শই সারা রাত জেগে কাজ করেন এবং তারপরে দুপুরের দিকে সোফায় পুরোদস্তুর জামাকাপড় পরেই শুয়ে পড়েন এবং ঘুমিয়ে থাকেন সন্ধ্যা পর্যন্ত। তখন তিনি সারা বিশ্বের সকল আসা-যাওয়া সম্পর্কে সম্পূর্ণ উদাসীন।” (11) এই বিশৃঙ্খল যন্ত্রণাময় অস্তিত্বের সঙ্গে ঘরোয়া ট্র্যাজেডিগুলিও যেন নিয়মিতভাবেই জড়িয়ে গিয়েছিল। সবচেয়ে ছোটো ছেলে গুইডো (Guido) ১৮৫০ সালের নভেম্বরে হঠাৎ খিঁচুনিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ১৮৫২ সালে ব্রঙ্কাইটিসে মারা যায় মার্কস-জেনির এক বছরের মেয়ে ফ্রাঞ্জিস্কা (Franziska)। তারপর ১৮৫৫ সালের মার্চ মাসে মার্কসের প্রিয় এডগার (Edgar)। সেই সময়ে মার্কসের বিধ্বস্ত মানসিক অবস্থার কথা উপলব্ধি করে ফ্রান্সিস হুইন (Francis Wheen) বলছেন,

“Out of his wits with grief, Marx stepped forward as the coffin was lowered into the earth and convinced most of the mourners that he intended to hurl himself in after it. One stuck out a restraining hand, just in case.” (12)

ফ্রান্সিস হুইন

ক্রমশ…


তথ্যসূত্র:

(1) Karl Marx, Interviews and Recollections, edited by David Mcclellan, The Macmillan Press, 1981, Page- 73

(2) Ibid.

(3) Love and Capital, Mary Gabriel, Back Bay Books, New York, 2012, Page-342

(4) Marx Engels Collected Works, Moscow, Progress Publishers, 1975, Page-357

(5) Ibid, Page- 358

(6) Ibid, Page-366

(7) Ibid, Page- 371

(8) Love and Capital, Mary Gabriel, Back Bay Books, New York, 2012, Page-345

(9) Marx’s Das Capital A Biography, Francis Sheen, Atlantic Books, Page-4, “one of the great tormented giants of the 19th century – alongside Beethoven, Goya, Tolstoy, Dostoevsky, Ibsen, Nietzsche, Van Gogh – who drive us crazy, as they drove themselves, but whose agony generated so much of the spiritual capital on which we still live.”

(10) Marx’s Das Kapital a biography, Francis Wheen, Atlantic Books, London, Page-16

(11) Ibid, Page 17

(12) Ibid, Page 18

শেয়ার করুন

Similar Posts

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *