
Similar Posts

ইতি কাদম্বরী – দেবব্রত মাইতি
আমার আকাশে উঠবেনা আর রবি সেতো আলোয় ভরিয়ে দিচ্ছে অন্য পৃথিবী বন্ধ হচ্ছে শব্দ গান সুর মিলিয়ে যাচ্ছে পরিচিত ডাক এক এক করে নিভিয়ে চলেছি দীপ নিমজ্জিত আমি অন্ধকারে আমি এগিয়ে চলেছি অজানার পথে একা সখা ভালো থেকো তুমি শুধু একটু মনে রেখো আমায় কবিতা গানে গানে ইতি কাদম্বরী

সাহির লুধিয়ানভির কবিতার অনুবাদ – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়
‘শায়র এ ইনকিলাব’ সাহির লুধিয়ানভি। বিশ শতকের উর্দু সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি। প্রগতিশীল সাহিত্য সমিতির সদস্য থাকার সময়ে কমিউনিস্ট আদর্শ প্রচার করার জন্য তিনি পাকিস্তান সরকারের গ্রেপ্তারি এড়িয়ে ভারতে আসেন। তখন তাঁর প্রতিবেশী হন গুলজার ও কিষেনচন্দ (প্রথমজন খ্যাতনামা উর্দু কবি ও দ্বিতীয়জন উর্দু ঔপন্যাসিক)। ১৯৪৯ সাল থেকেই তিনি ফিল্মের জন্য গান লিখতে থাকেন। ১৯৬৩ সালে…

মৃত্যু-উপত্যকায় বসন্তের কবি – আশিস ভৌমিক
সিন্ধু নদের উপত্যকায় দাঁড়িয়ে হে বসন্তের কবি, তুমি কি শুনতে পাও ? কোনও মিলনোৎসবের সুর ! মরু-দেশ হতে ভেসে আসা বালুকণার শতাব্দী প্রাচীন পলির স্তরে কি খুঁজে পাবে ? কোনও মিষ্টি প্রেমের গীতি কাব্য! উর্বর মাটির গন্ধ নিয়ে তোমার কলম কি লিখবে ? কোনও চাষির ফসল তোলা নবান্নের গান । এখানে আঁধার কাটিয়ে লাল সূর্য…

রাঁধুনি – সংস্কৃতি ব্যানার্জী
আলো থেকে অসুখের দিকে যেতে আস্ত এক সরাইখানা, আঁশটে, স্যাঁতস্যাঁতে পাকানো তেলছোপ। লেগে যেতে যেতে সম্পর্কের তলায় আরো মোচড়, ওপর থেকে নিচ। ধিমে আঁচে স্মৃতি রেঁধে যাই রোজ পাত পেড়ে বসে থাকে অভুক্ত সংসার।

অয়ন মুখোপাধ্যায়ের পাঁচটি কবিতা
আত্ম উপলব্ধি প্রস্থছেদের কোনো জানালা- আরো কিছু নির্বাসনের নদী। শব ছুঁয়ে আছে ঢেউ। চিতার আগুন থেকে স্ফুলিঙ্গ; অস্থি কলস ভেসে যায় । রাতের অন্ধকার -নিস্তব্ধ নক্ষত্র -কেউ নেই…….. নির্বাসন। আর কেউ জেগে উঠবে না। অপলকের কাছাকাছি …. মনুষ্যত্বের নাম প্রেম। স্মৃতি তর্পনে রাত্রি নামে অন্ধ হওয়ার পর। আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি আমার চারপাশের বেঁটে মানুষের…

সোনালী ঘোষের গুচ্ছ কবিতা : এসো চরণ ধুয়ে দিই
এসো চরণ ধুয়ে দিই ১.অনিবার্য। আড়মোড় ভাঙছে প্রিয় শব্দগুচ্ছ… এখন উত্তরায়ণ। হরিতকীর বন থেকে উঠে আসা হাওয়া ফুঁ দিয়ে নিভিয়েছে বোধ। উপচে পড়া ঘুম খুঁটে খাচ্ছে চোখহীন একটি ঝুঁটিওয়ালা মোরগ… দ্বিতীয়বার তথাগত, জ্যোৎস্নার প্রপাতের কাছে নিয়ে চলো। যেখানের দুরন্ত স্রোতে পাঠ করেছি বহু অধীত বিদ্যা আর তোমার পায়ের কাছে ফোটা সেই সেই পদ্মখানির আকর্ণ হাসি……