Similar Posts
ছদ্ম বৈপ্লবিক – অহিন্দ্রিলা মুখার্জ্জী
চতুর্দিকে চাপ চাপ রক্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে মিত্রপক্ষ নাম দিয়েছে “বিপ্লবের রক্ত”! আর শত্রুপক্ষরা নানা নামে অলংকৃত করে চলেছে। বুদ্ধিজীবীরা স্ক্রিপ্ট হাতে তৈরী ক্যামেরার সামনে বসতে। প্রশ্ন করলাম তাকে “আমাকে একটু বুঝিয়ে দেবেন, একটি দুবছরের কোমল শরীরের রক্ত বিপ্লবকে ঠিক কতখানি সাফল্য মন্ডিত করবে??” অথবা ওই রাস্তার মোড়ের চা এর দোকানের দিদিমার রক্ত কতটা এগিয়ে দেবে…
দাবানলের আগে – পার্থপ্রতিম চৌধুরী
বয়ঃবৃদ্ধ বৃক্ষের শুষ্ক শাখা, আকাশে আকাশ খোঁজে, শুধুই শূন্যতা । বসন্তের বাতাসেও, নেই ডালে সেই সজীবতা । ছায়া চায় — নীড়হীন নিরাশা, ছিন্ন ডানার প্রজাপতি , হায়! বটবৃক্ষ, তুমি বলো, সময় রয়েছে বাকি । সময় থমকে, মহীরুহর ঝুরির আড়ালে পাখিরা বাঁধেনা বাসা, ভাষা নেই কোকিলের চন্ডিমন্ডপের পাঠশালে । স্হবির পায়ের নীচে,জীর্ণ নকশিকাঁথা, লক্ষ্যহীন সময়ের —…
বঙ্কিমকুমার বর্মন-এর পাঁচটি কবিতা
আত্মীয় রক্তের হাড় তেড়ে আসে যুবতীর ঘুমেগলানো পিচের মতো রাত, এলোমেলো পায়েবিঁধে ফেলে আমাকে শস্যদানায়এত তীক্ষ্ণ খিদের নখ, এই বুঝি ছিঁড়ে ফেলে সম্ভ্রান্ত দাঁতের ফাঁকে আটকে পড়ে ভূখণ্ড পড়শিকেউ নেই যে—হৃদয় বিকোবে স্বপ্নসাজেমেঘলা মন তবু মেঘ হাঁকে জলদরেঅখণ্ড হৃদয় দুলে ওঠে আমলকীর বনে ভস্মতাপে মুখ লুকিয়ে রশ্মির ভেতর—ঢুকে পড়ে বুনে রাখা শুনশান কবিতাঘরনেচে ফেরে ঘরে…
একজন পৃথিবী বিক্রেতা – শুভ্র সরকার
এরপর, অনধীত সমগ্র বর্ষার পতনধ্বনি— একজন পৃথিবী বিক্রেতার ঘুমসংক্রান্ত দুঃস্বপ্ন বিচ্ছুরিত হ’য়ে পড়ে চতুর্দিক। দ্যাখো মানুষগুলো তলিয়ে যাচ্ছে ঘুমঘুম হিমে। মা’র ঘুম থেকে উঠে আসা হাঁসের পালকাবৃত পথের পাশে—তুমি একটা ‘স্নান’ রেখে গ্যাছো। একজন পৃথিবী বিক্রেতার জন্য রেখে গ্যাছো— শেকড়। দ্যাখো, রৌদ্রপ্রখর এক নির্জন জলাশয়ে শেকড় ছড়িয়ে আছে সূর্যাস্ত। আর তোমার বুকের বাঁ-পাশে সব আলো…
মাদমোয়াজেল – অর্ণব সাহা
আমরাই কবীর, আমরা সুমনের বৈধ সন্তানযেকোনো ধ্বংসের মুখে আমাদের সাবলীল গান টেলিগ্রাফ তারে বসে ডেকে ওঠে অলৌকিক পাখিআমরা তার ছেঁড়া ডানা যত্নে কুড়িয়ে তুলে রাখি ফুটপাথশিশুকে পিষে ছুটে যায় হিংস্র স্করপিওআমাদের গিটারের শরীরে বসেছে প্রজাপতি চে আঁকা টি-শার্ট পরে প্রজন্মের শান্ত শ্লোগানসদর দপ্তরের ঠুনকো কাচ ভেঙে দিতে পারে দেবর্ষি নবরূপার হাত ধরে ফুটপাথ পেরোয়নতজানু স্টেটবাস…
প্রিয়া সামন্ত-র পাঁচটি কবিতা
১ প্রেম ভেঙে গেলে মানুষ কী করে?গান শোনে, বাজার যায়?হুটহাট বেরিয়ে যায় ঠিকঠিকেনি সন্ধেবেলা?হেঁটে যায় অগস্ত্যের পথেফেরে না আর নদীপাড় ঘেঁষা ইটভাটার চুল্লি থেকে! মানুষ তবুও দেখি উৎসবে যায়ফিঙের উৎসাহের মতো বালিকার ইচ্ছের পাশেবসে থাকি অবিচল, তীর্থের স্থবির কাকভাঙা ভাঙা শব্দবন্ধ, অশ্রুত গোটাতিনেক বাক্যওঠে আর ঝরে যায়হিরের কুচির মতো জল, বিন্দু বিন্দু জলঝরে আর মিহিন…
দারুন দারুন
ধন্যবাদ দাদা