চিঠি – অমিতাভ গুপ্ত
এই নাচিকেত অগ্নিকে চেনো, কমরেড
এই নাচিকেত অগ্নিকে চেনো, কমরেড
ধপধপে সাদা একটা বক বসে আছেছোটো ছোটো কচুরিপানার উপর,জলের মধ্যে ডুব দিচ্ছে ডাকপাখি,খেলা করছে ঝিঁঝিঁপোকা, ফড়িং।ঘাটের সিঁড়িতে সুরকি আর ভাঙা ইট বেরিয়েআসছে, পড়ে আছে বিসর্জনের কাঠামোভেসে আসছে ফুরফুরে বাতাস,হালকা আঁচড় কেটে, জলের গা বরাবর। এখানে আর কিছুদিনের ভিতরে,একটা আর্টিফিশিয়াল লেক হবেআর তার চারিদিকে থাকবে একটাজগিং ট্রাংযাক আর ঝলমলে বাতির সারি।খালের ধার বরাবর গজিয়ে উঠবে একাধিকহাইরাইজ,…
পৃথিবীর চারদিকে আজও তারা আছে যাদের আঙ্গুলী হেলনে বাকী সব বাঁচে। রাজনীতি নয় শুধু তাদের সৈকতাবাস ধর্ম ও দেয় তাদের কাঙ্খিত বিশ্বাস। রুক্ষতার ধ্বজা ওড়ে প্রান্তিক কামনায়। জীবনের মদিরা আকন্ঠ পান করে অসাম্যতার হার পরে উঠে আসে যারা। বৈধ অসুখী হয়ে যারা অাজন্মকাল ধংসের মাতোয়ারায় মগ্ন হয়ে রয়। সকলেই বাঁচতে চায় আপন মহিমায়। কিছু জন…
বন্যায় সব ভেসে গেছে ক’টা জামাপ্যান্ট ছাড়া কিছুই আনতে পারিনি… ত্রাণের লাইনে দাঁড়িয়ে কথাটা বলেছিল সে। হঠাৎ করে ঘরে আগুন লেগে গেলেকিংবা আচমকা ভূমিকম্প হলেমানুষ কী নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে! কী নিয়ে! ও রকম কোনও দিন যদি আমার জীবনে আসেতা হলে কী কী নেব? কী কী?তার একটা তালিকা তৈরি করে রেখেছিলাম আমি। সেই তালিকার…
পুরোনো প্রেম, এর মানে কিছু হয়? হয় রে হয়, রক্তাক্তহয়, তারপর যদি মনে হয় তাতে আকাশ মেশাব তা-ওহয়, তবে আমার সম্বন্ধকে ওইরকম করে মিশিয়ে দিয়ে?তাতে আমার শেষ চিহ্ন রেখে দিয়ে যেতে পারবো গো! আমার তো আঁচল শতচ্ছিন্ন, ধরবে ওই আকাশ ভরাপ্রাণপ্রপাত, জন্মান্তর কি নিশ্চিতরূপে মৃত্যুর নিকটেআসে, নাকি আমারই অতিবাহিত সময়ের উলটোদিকতার প্রত্যয়, একাকীত্ব, মরুশব্দ বাহকের…
আলো থেকে অসুখের দিকে যেতে আস্ত এক সরাইখানা, আঁশটে, স্যাঁতস্যাঁতে পাকানো তেলছোপ। লেগে যেতে যেতে সম্পর্কের তলায় আরো মোচড়, ওপর থেকে নিচ। ধিমে আঁচে স্মৃতি রেঁধে যাই রোজ পাত পেড়ে বসে থাকে অভুক্ত সংসার।
ধ্রুবতারার জ্বলজ্বলে অনুভূতিতে লক্ষ্যভেদের ব্যাপক আশা, পথের মোড়ে একলা হেঁটে চলার বিশেষ অভিধান , উন্মুক্ত করে পাখির মতন স্বাধীন অভিব্যক্তির অক্লান্ত নেশা…… স্যাঁতস্যাঁতে চৌরাস্তায় , কাঁকড় বিস্মৃত লালমাটি………… শত্রুর দামামা বাজে বকুলের অসহায়তায় …… দুর্বহ পথে একলা নারীর গৌরবের জয়গান, মুগ্ধ পলাশ ছুঁয়ে যায় একান্ত স্বাধীনতায়……।।