চিঠি – অমিতাভ গুপ্ত
এই নাচিকেত অগ্নিকে চেনো, কমরেড
এই নাচিকেত অগ্নিকে চেনো, কমরেড
মেয়েদের শরীরে আলাদা আলাদা গন্ধ থাকে, মুখের আর বুকের গন্ধ একরকম না। প্রতিটা মেয়ের ঘামের গন্ধ আলাদা, ভিন্ন তাদের আবেদন, ইশারা। প্রতিটা মেয়ের স্বপ্নের একটাই গন্ধ- “মাটির হোক, আমাকে একটা ছাদ দিও”
ভূমধ্যসাগর ও আইজাক নিউটনের পঞ্চম গতিসূত্র একটি বিষধর ভাইপার সুবর্ণ বালির ভেতরে ক্রমশ ডুবে যাচ্ছে, অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির গাঁদা ফুলের পাতায় একেকটা ভূমধ্যসাগর আর বাবার সাদা চুলের মতো নির্জন দরজা শুয়ে আছেআমি শুধু বৃষ্টিকে অপেক্ষা করি যার কোনো আলাদা লম্ব উপাংশ থাকে না, নীল প্লাইয়ের দোকানে আইজ্যাক নিউটন পঞ্চম গতিসূত্র আবিষ্কার করবেনহরপ্পাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখেছি প্রতিটি…
হারাতে হারাতে আর অবসাদ নেই–চেনা জানারা ক্ৰমশ হারিয়ে যাচ্ছে অন্যপ্রান্তে… এক মুখ দাড়িতে তোমায় অচিন লাগতেই পারে !কোথায় সরে যেতে চাও তুমি ?স্টেশনের সিগনালে তাকিয়ে আছে গাড়ি।একটা সকাল যেন কতকাল দেখিনি !হারিয়ে হারিয়ে ক্ৰমশ নিজের দিকে এগিয়ে আসছি।আগামী খরার ফাটলে বৃষ্টির অবসাদ দেখি।দুরন্ত ছেলেটা কেমন দম হারিয়ে থমকে যায় !কখনও চেনা পৃথিবী হারিয়ে যায়–কুয়াশা ও…
মায়া বয়েস তো কমে এল, নীল নীল আলোজ্বলে আছে যে জাহাজ ভাসিয়েছ তাতেশুধু পরের প্রভাতেমিশিও না জল আর, নোনাবালি, চরাঢেউরৌদ্র প্রতাপে এ মায়ার বিষ নেই, বিষ নেইনৈঋতে আর; সন্ধের মাঝখানে ট্রাফিকের মতোকারা যেন মিশিয়েছে ভৈরবী রাগ ভৈরবী রাগে গাই, এই রাতে চুরি গেছেকোনো এক বৈষ্ণবী চাঁদতবুও অবুঝ প্রবাদকারা যেন রটিয়েছে মায়া নেই আশা নেই বলে…
বসন্ত পূর্ণিমা রোজ সকালকে বলছি আকাশের নামান্তরআমার তোমার মাঝের এই এক তীব্র প্রত্যয়এভাবে আমি ও তুমির সাংসারিক মিঠাতানবলি মাতৃত্ব বুঝিয়ে দাওবলে যাই দাম্পত্য কেন-নাবলা যায় না নীরবতাহাক্লান্ত বসন্ত!পূর্ণিমা খাচ্ছি এখন মাঝরাতক্ষুধা, অশ্রুর অস্তরাগএ বিচলন সময়ের হতদ্যমমাংস রান্নার রংটা তিতকুটেমাংস রান্নার স্বাদটা এমারল্ডবদ্ধ উঠানে মঞ্চ আবির, দোলের যাত্রাএত সোচ্চার! যেন নাভির উচ্চারণহাঁটু ভাঁজ করে ক্ষমা চাইছি…
এ ক্লিন ডেথ তারপর এক দুঃখ শেষ হইতে না হইতে অপর দুঃখ আসিল। সে বুঝিল জগতে ঢেউ কাহাকে বলে। বা জগৎরূপী ঢেউ সে বুঝিল। তাহার আতঙ্কের সম্মুখে দ্বিপ্রহরের ন্যায় মুখব্যাদান করিয়া সে গর্জন করিল, ‘চোপ্, চিৎকার করলে জ্যান্ত তুলে নিয়ে যাবো’। তখন তাহার পেছনে আরও তিন-চার লাইনের সেনা ছিল। আবছা অন্ধকার বলে তাদের পড়া যাচ্ছিল…