মা – দেবলীনা দলুই

মা – দেবলীনা দলুই

মা তোমাকে  আঁকার জন্য ভাষা পাইনা আমি হাতড়ে বেড়াই, শব্দ খুঁজি কিন্তু পাইনা তোমার  হৃদয়ের অনন্ত ঝারলন্ঠনকে নাম দেওয়ার শব্দ পুড়তে দাওনি কখনও দাওনি আমায়  গলতে তোমার  ওই দুহাত দিয়ে আমার  ক্ষত যত ছিল সব নিয়েছো টেনে  নিজের বুকে ঘুম পাড়িয়ে আমায় নিজে  থেকেছো নিদ্রাহীন দিনের পর দিন তোমার চোখ, নাক, চুল বেয়ে নেমে আসা…

শরীর ছোঁয়ার যুক্তি – অমিত পাটোয়ারী

শরীর ছোঁয়ার যুক্তি – অমিত পাটোয়ারী

প্রথম দ্বিতীয় সব পাতা জুড়ে টাইপ সুস্থ যোনি আসলেতে তকমা তোমার জুটলো ভাবমোহিনী ছুরির মত বাক্য তোমার বেশ আলোচ্য আমাদের তো অস্ত্র কেবল ভাববাচ্য ঘাড়ের ওপর নিশ্বাস নেয়, পা মাড়ায় চুপ করে থাকি | রয়েছি এখন বেপাড়ায় | সানগ্লাসে দেখি অন্য রঙের রক্ত মাংস দলা কী বললেন , গল্পটা বেড়ে ? ছোঁয়াচ রজস্বলা ! শেষমেশ…

অন্তর্বাসে লজ্জাকঙ্কাল – অনুরূপা পালচৌধুরী

অন্তর্বাসে লজ্জাকঙ্কাল – অনুরূপা পালচৌধুরী

সস্তা মাল : আমদানিতে মেটারনিটি চাঁদফল পবিত্র ফুলজরায়ুতে বিরোধী গন্ধ অথচ নগ্ন পাঁপড়িতে অতৃপ্ত দেবতারই দীর্ঘায়ু আউলিয়া ফুটপাতে বরফ ঊর্বরতা : কেটে ফেলি উন্মাদ কুয়াশার সাদাটে স্রোত শিকড়ে অর্ধনারীশ্বর। পদ্মযোনির হুতাশে লজ্জাবতীর লালছোপ।আমি নারী দিনের লোমশবুকে রাতের ঘনিষ্ঠ চোখ। চোখের পাতা। পাতায় সবুজ স্টেরিওটাইপ। নক্ষত্রসন্ধি।পৃথিবীর ভেদচিহ্ন পালন মা তুমিও____ পরিপূরক আলোপিন্ডে আবেগের দইবড়ায় রজত জয়ন্তী…

বন্ধনী – মোহর ব‍্যানার্জী

বন্ধনী – মোহর ব‍্যানার্জী

         মাতৃস্তন‍্য  পান করা          শিশুর ছবি দেখে       যুগল  ভ্রু হয় কি কুন্চিত?       অথচ জামা পিছলে গিয়ে       অন্তর্বাস দিলে  উঁকি          সমাজ  শঙ্কিত ।      “সুডৌল বুকের অধিকারী        হবার”বিজ্ঞাপনের ছবি      …

অন্তজা – শুভদীপ রায়

অন্তজা – শুভদীপ রায়

শেষ পর্যন্ত তোমার কাছেই ফিরে আসি- বারবার, ক্ষতবিক্ষত অন্তঃকরনের কোনো নিরাময় তুমি জাননা- আমি জানি, তবু অহংকারের সামনে বারবার হেরে যাওয়া অসহায়, ঠিক তোমার মতোই, খেয়াল করি – তোমার পায়ের নুপুর , শিকল হয়ে কামড়ে ধরেছে, রক্ত ঝরছে , তবু তুমি নেচে চলেছ যমরাজের বুকের উপর, তোমার লখিন্দরকে বাঁচাতে,……. কিন্তু আমি পারি নি , ভরা…

ছাপ।বৈধতা – কৃষ্ণেন্দু দাসঠাকুর

ছাপ।বৈধতা – কৃষ্ণেন্দু দাসঠাকুর

সময়ে, সময়ে গলাগলি হয় চেঞ্জ হয়ে যায় লাল আলো জ্বলা গলি যন্ত্রণা দুগালে জড়িয়ে মেয়েটির বিপরীত মুখে বয়ে যাওয়া স্রোতে লেপ্টে যায় কালো রঙ নিজের সামনে আয়না, কোনদিন দাঁড়ায়নি তবু অবৈধ শিশির গুড়ো মিশে যায়– মেয়েটির অবুঝ সবুজ শিরায় পলাশ নামক শব্দ তালুর রেখায় পুরেনি মাখতে চাইনি আবির।বসন্ত এসেছে লোমকূপে তার ঝুরো ঝুরো নিসপিসে হাত…

ঘর – অয়ন চৌধুরী

ঘর – অয়ন চৌধুরী

শরীর ছুঁয়েছে অদম্য বিষ রাত্রির কিনারে এক একটি খোলা ভেঙেছে জ্যোৎস্নার মতো যেটুকু পর্ণমোচী বিকেল লুকোনো ছিল একান্ত নিঃস্তব্ধতায় কখন যেন বছর পেরিয়ে হারিয়ে গেল জীর্ণতায়! বুকের উপর যে দুটি শালুক সান্ধ্য-কোলাজে আজ না-হয় বৃষ্টি নামুক একটা ঘর সাজুক মোমবাতিতে না কোনও শোকের সিম্ফনিতে যে ঘরের প্রথম ও শেষ একটা সমুদ্রের বুকের মতো ধরে থাকবে…

আহত বাস্তব – তনুজা চক্রবর্তী

আহত বাস্তব – তনুজা চক্রবর্তী

যতবার পুরুষ কে মানুষ ভাবতে চেয়েছি ততবার গোল খেয়েছি! প্রতিপক্ষ বড়ো কমজোরি , শব্দের খেলায়ও নারীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে, অতর্কিতে আক্রমণ জারি রাখার চেষ্টা চলতে থাকে ! জন্মদাতা ও পরাজয়ে আনন্দ পায়, নারী দিবসের শুভেচ্ছা জানায় ! জন্মদাত্রী আনন্দ পায় শুধুমাত্র , সইতে জানে বলে।

জাগরণ – দীপন বন্দ্যোপাধ্যায়

জাগরণ – দীপন বন্দ্যোপাধ্যায়

সৃষ্টি-সেরা নারী-রে তুই, তবুও অনাহূত, বোঝা ভেবে আজন্ম অপমান, আজও অব্যাহত। মাটির প্রতিমা পুজিতা হন, জ্যান্ত প্রতিমা লাশ, বিকৃত পুরুষ, বিকৃত বাসনা, ঘটায় সর্বনাশ। পুরুষ-জাতির ভোগ্যা হয়ে, হারাস নিজ শরীর, মৌন পৃথিবী দেখে শুনে, স্বার্থ মগ্নেই বধির। তিন কিংবা তিরাশি হোক, কেউই পেলনা ছাড়, মানবরূপী দস্যু পশুর, অবাধ অত্যাচার। ‘ধর্ষিতা’ তকমা নিয়ে-রে তুই, সম্মান খুঁজিস…

রাঁধুনি – সংস্কৃতি ব্যানার্জী

রাঁধুনি – সংস্কৃতি ব্যানার্জী

আলো থেকে অসুখের দিকে যেতে আস্ত এক সরাইখানা, আঁশটে, স্যাঁতস্যাঁতে পাকানো তেলছোপ। লেগে যেতে যেতে সম্পর্কের তলায় আরো মোচড়, ওপর থেকে নিচ। ধিমে আঁচে স্মৃতি রেঁধে যাই রোজ পাত পেড়ে বসে থাকে অভুক্ত সংসার।