কাদম্বরীর  বিরহ – সোহিনী সামন্ত

কাদম্বরীর বিরহ – সোহিনী সামন্ত

“যেদিন মুক্ত প্রেমের রাংতা পুড়েছিল…… বিরহ প্রেম দগ্ধে মরেছিল …… ঝিলিক দেওয়া রাংতার আবেশ … চোখের জলে অব্যক্ত অশেষ …” অগ্নিদাহ প্রেমের রাংতার টুকরো ভেঙে দায় মনের কামনার অনেক অব্যক্ত দুঃখের অন্তিম নির্যাস । কাদম্বরী দেবীর চোখের কালি বুঝিয়েছিল ভালবাসা কি? আসক্তি কি? কামনা কি?ছোট রবির কাব্য রস মুগ্ধ করেছিল তাকে। কবিগুরুর সাথে অজস্র কথোপকথন…

ফিরে এসো কাদম্বরী – তুলি রায়

ফিরে এসো কাদম্বরী – তুলি রায়

ছাদের একচিলতে রৌদ্র ছুঁতে চাওয়া রবির কিরন উদ্ভাসিত অনুরনণে সেই প্রথমবার… শুকনো পাতার মর্মরধ্বনি আজো শুনি ঐ বুঝি তুমি এলে? চেনা চৌকাঠ দোলনা আমার না বলা লুকোনো দুপুর পরশে নাজানি কি হরষে আঁখিতলে কাজললতা জ্বলে খাঁচার পাখীর ডানার ঝাপট কুটে মরে দেয়াল থেকে দেয়াল

ওগো দুখজাগানিয়া – আফজল আলি

ওগো দুখজাগানিয়া – আফজল আলি

ওগো দুখজাগানিয়া (  কাদম্বরী দেবীর মৃত্যুতে কবিগুরুর একটি অসম্পূর্ণ দলিল ) রাত্রির মতো ভেসে যাচ্ছে রাত কল্পনার মুখে একচামচ সন্ধ্যা তুলে দিলাম তুমি সেই তাকিয়ে ছিলে  –   তোমার চোখের  থেকে মুক্তা ঝরে  অনুরূপ  – ওগো দুখজাগানিয়া-    তোমায় গান শোনাব নীরবতার কাছে ঘনিষ্ঠ হয়ে যা কিছু ছিল সে সব আমার ছড়িয়ে  গিয়েছে কোথায় ছেলেবেলার সেই খেলা…

কাদম্বরী – শৌনক সরকার

কাদম্বরী – শৌনক সরকার

সময়টা তখন ১৮৭০ থেকে ১৮৮৪ -এর মধ্যে ,ইংরেজদের তখন রাজত্ব কলকাতায়,এক এক করে বাংলার প্রতিভারা উন্মেষিত হচ্ছেন । এই সময় বাংলার ঠাকুর পরিবারও পিছিয়ে নেই , দ্বিজেন্দ্র;নাথ , সত‍্যেন্দ্রনাথ ছাড়াও ছিলেন জ‍্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর অর্থাৎ রবি ঠাকুরের প্রিয় নতুন দাদা । তাঁর জ‍্যোতি দাদা প্রসঙ্গে রবি ঠাকুর বলেছিলেন- “জ‍্যোতি দাদা যাকে আমি খুব মানতুম,বাইরে থেকে তিনি…

শাল্যদানীর লেখা

শাল্যদানীর লেখা

সন্ধ্যেটা টুক করে নামছে। তোমার দেশেতো আবার সবসময় সন্ধ্যে। নন্দনকানন? তাও বুঝি আছে। তা যাই থাক আমার কাছে হেকেটি আছে, তোমার কাছে রবি নেই। কিরকম মজা! ধূলো জমা ট্রাঙ্কে হাত দি না, পাছে দাগ থেকে যায়। ওই চিহ্নেরই যত দোষ। যেমন সিঁদুরের চিহ্ন, যে চিহ্নে নাকি তোমরা বন্ধু থেকে বউ হয়ে যাও আর অন্যের জন্য…

তৃষাতুর পরমা : নীরবতার নীলকণ্ঠ পালক – ঐন্দ্রিলা মহিন্তা

তৃষাতুর পরমা : নীরবতার নীলকণ্ঠ পালক – ঐন্দ্রিলা মহিন্তা

যজ্ঞপথের প্রবাসী নাবিক চড়ে বসলেন বটমূলের প্রাচীন ঘূর্ণিতে । মধ্যরাতে আঙুল কেটে নতুনের আভাস — এশুধু অগরু নয় যেন আস্ত ব্রহ্মপুত্র… একে একে পেরোতে থাকলো বৃদ্ধ স্ফটিক । যুবকের দ্রোণাচার্য আকাশের বুকে এঁকে দিল হাহাকারের বাণিজ্য । এলো কিশোর পাতার মাতাল আঁচল , যে আঁচলে শঙ্কা নয় ‘ মায়ার খেলা ‘ য় স্নেহ বোনা ”…

আঁধার-প্রবাসী  – সাগর সূত্রধর

আঁধার-প্রবাসী – সাগর সূত্রধর

হেথা হতে যাও, পুরাতন। হেথায় নূতন খেলা আরম্ভ হয়েছে। আবার বাজিছে বাঁশি, আবার উঠিছে হাসি, বসন্তের বাতাস বয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চলে গেছি আমি, দূরে, বহুদূরে, শত-অভিমান ভরে ফিরবো না জেনো কোনোদিন, বিদায় চিরোতরে। শুভ্র মেঘ য্যামন অস্পৃর্ষনীয় সুন্দর সুদূর আকাশে তারা-ফুল শুধুই দেখা যায় নক্ষত্র প্রকাশে। শ্রান্ত দিঘিতে ফোটে যেমন ক্ষণিকের আলো-ছায়ার খেলা তোমার জীবনে…

চন্দনের ঝিল্লিময়তা – ঐন্দ্রিলা মহিন্তা
|

চন্দনের ঝিল্লিময়তা – ঐন্দ্রিলা মহিন্তা

( প্রবাসের যাঁতিখেলায় একমাত্র অন্তমিলে যে ত্রিমুণ্ড ফাগ-আলপনা রচিত হয় , তারই কৃপাণের একফালি তারজালিতে আদিত্যর তপস্যা ধীর পায়ে প্রণাম করে ) নবীন কেতকী বেছানো হাসি , ভাঁজ করা এসরাজের আঙিনায় বিছিয়ে রেখেই — মেঘ থেকে একমুঠো শৈশব হাতড়ায় । রচিত হয় গ্রীস্মের কলতানে কদমের ভস্ম । ঘোমটাজড়ানো জাহাজ-ডেকে অস্তমিত ভানু জানান দেয় : পশ্চিমপারের…

দুটি কবিতা – মহাদেবাশা

দুটি কবিতা – মহাদেবাশা

বাতাসে লতিয়ে ওঠা ঢেউ বাতাসে ঝড় উঠেছে, তুমি কুড়িয়ে রেখেছো নদী,তোমার & চাওয়া পাওয়ার সিঁড়িগুলো ছোটো হতে হতে দূরবীণ হয়ে উঠেছে, রাস্তার ঘরে ঘাসফুলের মলাট, ঘ্রাণে ঘ্রাণে ভরে যাচ্ছে আঁচল, আয়না হয়ে উঠেছে টিপ, একেই সংস্কার বলি, আর চোখকে নদী, বারান্দায় অনায়াসে পৌঁছে যায় রোদ, রোদের পেয়ালায় চুমুক উঠে ঘোড়ার, এসময় অন্ধকারে মেঘ উঠে, গম্বুজ…

সদুত্তর – অর্পণ কুমার মাজি

সদুত্তর – অর্পণ কুমার মাজি

যাকে তুমি পরকীয়ার বলো বিটনুন, মরিচগুঁড়ো মাখিয়ে সুস্বাদু গসিপ বিক্রি করো হাটে বাজারে মসৃণ মলাট, রঙ্গিন কভারে মুড়ে; তার পিছনের দহনের গল্প শুধু সেই ছাই হয়ে যাওয়া খড়কুটোই জানে। যা তুমি উপভোগ করো তারিয়ে তারিয়ে বাজারি গল্পের মতো, হঠাৎ করে কোনো ভোরে ডেকে না ওঠা একটা মোরগ নামিয়ে আনে যে চিরঘুমের রাত; সেই ক্ষতেও তুমি…