মাতৃত্বের হাওয়া – সেলিম মণ্ডল
অনেকটা ঘুমের ভিতর তুমি বড় হয়ে গেছ স্বপ্নে এখন ফড়িং আসে ফড়িংয়ের হাঁটুতে কান থাকে আমি সেই হাঁটুতে চোখ রেখে শুনি বড় হওয়ার গল্প গল্প তুমি এখনও স্তন টিপে টিপে পান করছ মাতৃত্বের হাওয়া
অনেকটা ঘুমের ভিতর তুমি বড় হয়ে গেছ স্বপ্নে এখন ফড়িং আসে ফড়িংয়ের হাঁটুতে কান থাকে আমি সেই হাঁটুতে চোখ রেখে শুনি বড় হওয়ার গল্প গল্প তুমি এখনও স্তন টিপে টিপে পান করছ মাতৃত্বের হাওয়া
বাংলায় প্রবাদ আছে – রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়। উলুখাগড়া কী? এখানে বলা হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সাধারন মানুষ কোনোদিনই যুদ্ধ চায়নি, এখনও চায়না। কিন্তু রাষ্ট্রশক্তি ক্ষমতার দর্প, সেইসঙ্গে সম্পদ লুট এবং পরাজিত গোষ্ঠীর মানুষকে বন্দী করে নিয়ে যেত শ্রমশক্তি ব্যবহারের প্রয়োজনে। প্রাচীন কাল থেকেই সম্পদ এবং শ্রম লুন্ঠন চলে আসছে। এই লুন্ঠনের জন্যেই…
অন্যান্য দিনের মতই অশান্ত কম্পমান বুকে, ছেলেটি ভীত সন্ত্রস্ত চোখ রাখল জানালায়। সূর্য উঠেছে আজও প্রতিদিনের মতই, শুধু পুঞ্জীকৃত কালো ধোঁয়ার আস্তরণটা নেই আজ। “আজ কি তবে কোন উৎসব?” ভালো খারাপের পার্থক্য না বোঝা বারুদের প্রাণঘাতী পোড়া গন্ধ নেই আজ। নেই বোমারু বিমানের আগ্রাসী হুংকার। নির্দয় ট্যাংকারের তালে তালে, ভারী জুতোর শব্দগুলোও কোথাও হারিয়ে গেছে…
শতক পেরিয়ে ধেয়ে আসছে উদ্বেলিত জনস্রোত সীমান্তের দিকে.. ইতিহাস! ধোঁয়ার আড়ালে কী খুঁজছো তার হাতে? ধ্বজা? পদাতিক নগ্নতা? শতক পেরিয়ে সীমান্তের দিকে ধেয়ে আসছে উত্তাল জনস্রোত, মানুষ! কাঁটাতার, তোমার শরীরেই ওর পায়ের রক্ত লেগে থাকবে, শেষ অবধি.. অভিযাত্রির শবের অনামিকায় আটকানো প্রশ্নচীহ্ন তোমারই চোখে পড়বে প্রথম। তবু যদি এই আজ সীমান্ত পেরিয়ে তার নগ্নতার আভরণ…
ওটা কি ? ওটা ? ওটা কামান , সোনা । কামান ! ওটা এখানে কেন মা ? স্মৃতি বোলতে পারো । কিসের স্মৃতি মা ? যুদ্ধের । ওও । যে যুদ্ধে বাবা মরে গেছে ?
খেললে তো অনেক রক্তের খেলা, ইতিউতি ছড়ানো শবের মেলা, এনেছো ডেকে অকাল বসন্ত, হিংসার আগুন জ্বলছে অনন্ত, নিয়েছ কেড়ে কতো নিরীহ প্রাণ, অনাথ হয়েছে অগণিত সন্তান, বিবর্ণ করেছ সিঁথি, তোমার দীর্ঘশ্বাসে, মায়ের শূন্য কোল চোখের জলে ভাসে, ভাইকে পাঠিয়েছ অচিন পরপারে, বোনের নিস্ফল আকুতি তোমার দরবারে, মৃত্যুপুরীর শোকের বেদনার্ত হাহাকার, তোমায় কি করে না একটুও…
যুদ্ধ চেয়ে তোমার কী কোনো লাভ হয়েছে হে আমার মহাদেশ এশিয়া ? হিরোশিমা দিবস তোমার চোখে অশ্রু উদ্গত করে না? না কী, চোখ বন্ধ করে থাকো ওই দেশের ধনতন্ত্রের লিপ্সার সংস্কৃতিতে? ইতিহাসের পাতায় শুধু লুন্ঠনের পতাকা – যুদ্ধ পাতা উল্টিয়ে দ্যাখো কতো কতো সাম্রাজ্যের উত্থান পতন মানুষের মৃত্যু ধ্বংস – এই ট্রাডিশন যুদ্ধের আজ পৃথিবী…
দাও বেয়নেট ওকে হাঁটার সাথে ছুঁতে দাও ইস্পাত রক্ত মাখার দাও ওকে বুলেটই কিশলয় প্রাতে বিদ্বেষ শিখে যাক্ প্রথম শেখার। শিখে যাক্ সুখটুকু বয়েস চল্তে শিখুক না ভীতু শিরা হিম হতে পারে করণা পেতে পেতে ভাঁড়ামোর সাথে শয়তান হতে হবে সুতোর মোচড়ে। এইভাবে আত্মাকে বাতাসই শুষবে নিমেষেই জ্বালাবে সে সারাটা আকাশ অগ্নি বিস্ফোরণে যতো নরক…
পৃথিবী যখন উন্মাদ-কেন্দ্রীয় উল্কা বলয় , সমস্ত তার গুটিয়ে স্পর্শক-বরাবর তুমি মহাশূণ্যে আছড়ে পড়েছো ! হাত-পা চিরে লালচে স্রোতের মাথায় বন্দুকধারী জওয়ান — ধর্ম না জানায় একগুচ্ছ হেমলক মুখে গুঁজে দেয় । নীলচে বৃত্ত সারা শরীরে আলতা ঢেলে স্নান সেরেছে ; পতাকারা গলা অবধি ডুবে পায়ে ধরে শ্বাস-ভিক্ষে করে । ক্লিশেড শরীরেও ধর্ম , জাতি…